পশ্চিম মেদিনীপুর, লাইফস্টাইল Weekend Trip: পর্যটনকেন্দ্রে ঠাসা পশ্চিম মেদিনীপুরও! এই ৫ অচেনা জায়গা বর্ষায় বেড়ানোর আদর্শ, অল্প খরচে ঘুরে আসুন Gallery July 12, 2024 Bangla Digital Desk *ঘুরতে যেতে সকলেই ভালবাসে। মন্দির, পাহাড়, সমুদ্র অন্তত একদিনের জন্য আউটিং এর জায়গা খোঁজে প্রত্যেকে। সাংসারিক চাপ হোক কিংবা অফিসের কচকচানি, যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায় সকলে। তবে এই জেলায় রয়েছে নানা সুন্দর সুন্দর দেখার জায়গা যা আগে হয়তো আপনি দেখেননি। তাই একদিনের ছুটিতে হোক কিংবা সপ্তাহান্তে ঘুরে দেখুন জেলার এই ৫ অফবিট জায়গা। ইতিহাস থেকে প্রকৃতি, এমনকি মানবসৃষ্ট সুন্দর এক নগরী উপভোগ করতে পারবেন আপনি। প্রতিবেদনঃ রঞ্জন চন্দ। সংগৃহীত ছবি। *পশ্চিম মেদিনীপুরের নাম যেমন ভারতের বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত তেমনই অন্যান্য জেলার মতো পর্যটন মানচিত্রেও বেশ পরিচিত এই জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে একটি মন্দির গ্রাম, বিভিন্ন গঠনশৈলির একাধিক মন্দির। সংগৃহীত ছবি। *এটি মন্দিরময় পাথরা গ্রাম। শুধু তাই নয় পাশে শান্তভাবে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে করে মেদিনীপুর পৌঁছলে সেখান থেকে অটো, টোটো কিংবা ছোট গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া যাবে পাথরাতে। থাকতে পারবেন শহরের একাধিক সরকারি কিংবা বেসরকারি লজে। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/118789xPBPJ6xuzf8। সংগৃহীত ছবি। *শহর থেকে কিছু দূরে রয়েছে কৃত্রিম নগরী। যেখানে রয়েছে সুন্দর ঘর, এয়ারপোর্ট, ট্রেন লাইন, স্টেশন তৈরি করা হয়েছে এখানে। এখানে রয়েছে একটি প্লেন। একাধিক সুন্দর সুন্দর ছবির মত ঘর। চন্দ্রকোনা রোডের ডুকি এলাকায় ফিল্ম সিটি এক অন্যতম ডেস্টিনেশন। কলকাতা থেকে খুব কাছেই রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা। কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনে। এখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে আসতে পারবেন এই সুন্দর সাজানো নগরীতে। খরচও নাম মাত্র। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/YHPpovma1RDX5sdL8। সংগৃহীত ছবি। *প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চান? ভূগোলের পাতায় যা পড়েছেন তা চাক্ষুস করতে হলে আপনাকে আসতে হবে মেদিনীপুর জেলার এই বিশেষ প্রাকৃতিক শিল্প ভাণ্ডারে। জেলা সদর থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে গড়বেতা ব্লক। এই ব্লকের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে শিলাবতী। শিলাবতী নদীর প্রবাহ পথে প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে নানান ভূমিরূপ। যাকে বলা হয় বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। সংগৃহীত ছবি। *গনগনি আসতে পারবেন বাস কিংবা ট্রেনে। কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে গড়বেতা স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ধরে আসা যাবে গনগনি। রাত্রিযাপনের জন্যএর কাছে আপনি সরকারি হোমস্টে পেয়ে যাবেন। সামান্য খরচে যন্ত্রের শহর ছেড়ে আপনি কাটাতে পারবেন সবুজ নির্জন এলাকায়। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/738uzW4JfhmbutFs5। সংগৃহীত ছবি। *জেলার অপর প্রান্তে রয়েছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ দুটি জায়গা। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারী। বেশ কয়েক বছর আগে মাটির তলায় চাপা পড়ে যাওয়া এই ইতিহাস কে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সকলের সামনে। জড়িয়ে রয়েছে বুদ্ধের সময়ের নানা স্মৃতি। এখানে এলে যেমন মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া প্রাচীন ইতিহাসকে চাক্ষুষ করতে পারবেন, তেমনইমাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া নানান জিনিস দেখতে পারবেন। সংগৃহীত ছবি। *ট্রেনে এলে নামুন বেলদা কিংবা দাঁতন স্টেশনে। সেখান থেকে বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন মোগলমারী। অথবা খড়গপুর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এই ইতিহাসক্ষেত্র। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/fDh14YWxohGeptud6। সংগৃহীত ছবি। *জেলার প্রান্তিক ব্লক কেশিয়াড়িতে রয়েছে ঐতিহাসিক গগনেশ্বর কুরুমবেড়া। চারিদিকে উঁচু প্রাচীর ঘেরা এই ইতিহাসক্ষেত্র। ভিতরে দেওয়াল, পিলারকে রুপ দেওয়া হয়েছে মাকড়া পাথর কেটে। ভিতরে থাকা প্রাচীন তিনটি গম্বুজ আপনাকে ইতিহাস জানার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। বিশাল এলাকায় ঘুরে আপনি দেখলে আপনি পৌঁছে যাবেন ইতিহাসের হাতছানিতে। শুধু তাই নয় সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে এই ইতিহাসক্ষেত্রকে। ট্রেন পথে এলে আপনাকে খড়্গপুরে নেমে কেশিয়াড়ির বাস কিংবা ছোট গাড়ি ধরে আপনি আসতে পারবেন গগনেশ্বরের কুরুমবেড়া। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/mqucoC66sKkFHP418। সংগৃহীত ছবি।