Category Archives: পশ্চিম মেদিনীপুর

June Malia: ভোটের ঠিক আগেই বড় চমক দিলেন জুন মালিয়া, অগ্নিমিত্রাকে উড়িয়ে দিতে বিরাট চাল TMC প্রার্থীর!

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের আর খুব বেশি বাকি নেই। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন আগামী ২৫ মে। তার আগেই নিজের বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নের কাজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করলেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। বিধায়ক থাকাকালীন নিজের কেন্দ্রে কতটা উন্নতি করেছেন, তার বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন তিনি। যা ভোটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

হাতে এখনও ১৫ দিন বাকি। তার আগেই মেদিনীপুর লোকসভার প্রার্থী তথা মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া তাঁর রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করলেন। এদিন তিনি জেলার ফেডারেশন হলে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন জুন। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর সদর বিধানসভার বিধায়ক হওয়ার জন্য লড়েছিলেন। এলাকার মানুষ অভিনেত্রীকে বেছে নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের সেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলি? নাম জানেন? NIRF-এর তালিকা দেখুন

তারপর কেটেছে তিন বছর। ফের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। সাতটি বিধানসভাতে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। প্রচারে গিয়ে শোনাতেন নিজের বিধানসভায় উন্নয়ন ও মানুষের পাশে থাকার কথা। এবারে আর মুখে নয়, সেই উন্নয়ন কাজের রিপোর্ট কার্ড পেশ করলেন জুন মালিয়া। বৈঠক করেই যা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: গরমে শেষপাতে রোজ টক দই খাচ্ছেন? শরীরে এর ফলে কী হয় জানেন? চমকে যাবেন জানলে

জুন মালিয়ার মেদিনীপুর সদর বিধানসভায় কাজের রিপোর্ট কার্ড লোকসভা নির্বাচনে অনেকটা কাজে আসবে বলে জানাচ্ছে তৃণমূল।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদ্যুৎ ঘোষ, পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী-সহ অন্যরা।

রিপোর্ট কার্ড পেশ করে প্রার্থী জুন মালিয়া বলেন, “এই তিন বছরে এই মেদিনীপুর বিধানসভার জন্য একাধিক কাজ করেছি। যার বেশিরভাগটাই গ্রামের উপর ভিত্তি করে। কাজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সেতু নির্মাণ, রাস্তা নির্মাণ, কালভার্ট নির্মাণ, বাতিস্তম্ভ এবং যাত্রী প্রতীক্ষালয়-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প।” সব মিলিয়ে তার কয়েক লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। যা রিপোর্ট কার্ডে লিখেছেন জুন। সাধারণ মানুষ যা জানতে পারবেন। বিপক্ষ অগ্নিমিত্রা পালকে হারিয়ে কি সংসদে যেতে পারবেন জুন, জুনে কি ফল হয় তা সময় বলবে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: যোগ্যতা অনুযায়ী চাই কর্মসংস্থান! আর কী কী দাবি নতুন ভোটারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। পক্ষ-প্রতিপক্ষ, প্রচার-পাল্টা প্রচার মিলিয়ে বেশ জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি। সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংসদে গিয়ে মানুষের হয়ে সাওয়াল করবেন। তুলে ধরবেন তার লোকসভা এলাকার নানান সমস্যার কথা। তবে নির্বাচনে ভোটার তালিকায় রয়েছে যুবরাও। যারা প্রায় ছাত্র এবং নতুন ভোটার।

স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির দাবি জানিয়েছেন সকলে। ১৮ বছর অতিক্রম হলেই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে তাদের উপর চাপে সাংসারিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের পড়াশোনার উন্নতি। স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব প্রজন্মের দাবি, পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বৃত্তি, যাতে পড়াশোনাটা স্বপ্ন না হয়ে বাস্তব রূপ পায়।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

এছাড়াও বর্তমান দিনে প্রতিটি ব্লকে রয়েছে একটি করে কলেজ এবং গ্রাম কিংবা শহরে রয়েছে বিদ্যালয়ও। প্রাথমিকভাবে পড়াশোনার পরিকাঠামো থাকলেও বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পড়াশোনাবা উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগমের দাবি জানিয়েছেন সকলে। কেউ দ্বিতীয়বার, কেউ আবার প্রথমবার ভোট দেবে। স্বাভাবিকভাবে ভোটের নানা গল্প শুনেছে তারা কিন্তু বাস্তবে তাদের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর ভোট দান।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তবে ভোট দেওয়ার পরে প্রতিটি মানুষেরই দাবি থাকে। নতুন ভোটার বা যুব প্রজন্মের মূল দাবি শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান। ছাত্রী তথা নতুন ভোটার ভাস্বতি সাহু, তপতী শী রা বলেন, নতুন ভোটার যারা হয় তারা মূলত হয় শিক্ষার্থী তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তবে এই দাবি কতটা সফল হয় তার আশায় সকলে।

রঞ্জন চন্দ

BJP: ফ্যাশন ছেড়ে এখন ব্যস্ত ‘নেশনে’, তুখোড় নেত্রী অগ্নিমিত্রা ঠিক কতটা বড়লোক? হইহই রব চারিদিকে

*বয়স ৫১ হলেও তিনি তুখোড় নেত্রী। কখনও পুলিশকে চোখ রাঙানি, আবার কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার। ভোটের আগে নতুন কেন্দ্রে যেন চেনা ছন্দে দেখা গেছে বিজেপির মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে। সম্প্রতি তিনি তার মনোনয়ন দাখিল করেছেন মেদিনীপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ে। মনোনয়ন পত্রে জমা দিয়েছেন তার সম্পত্তির হিসেব নিকেশ। প্রতিবেদনঃ রঞ্জন চন্দ। ফাইল ছবি। 
*বয়স ৫১ হলেও তিনি তুখোড় নেত্রী। কখনও পুলিশকে চোখ রাঙানি, আবার কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার। ভোটের আগে নতুন কেন্দ্রে যেন চেনা ছন্দে দেখা গেছে বিজেপির মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে। সম্প্রতি তিনি তার মনোনয়ন দাখিল করেছেন মেদিনীপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ে। মনোনয়ন পত্রে জমা দিয়েছেন তার সম্পত্তির হিসেব নিকেশ। প্রতিবেদনঃ রঞ্জন চন্দ। ফাইল ছবি।
*অগ্নিমিত্রা লাখপতি নাকি কোটিপতি? আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের উপর ভরসা রেখেছে বিজেপি। মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষের জয়ী আসনে অগ্নিমিত্রাকে মনোনীত করে জুনের বিরুদ্ধে লড়তে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জেনে নিন তার আয় ব্যয়ের খুঁটিনাটি। ফাইল ছবি। 
*অগ্নিমিত্রা লাখপতি নাকি কোটিপতি? আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের উপর ভরসা রেখেছে বিজেপি। মেদিনীপুর থেকে দিলীপ ঘোষের জয়ী আসনে অগ্নিমিত্রাকে মনোনীত করে জুনের বিরুদ্ধে লড়তে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জেনে নিন তার আয় ব্যয়ের খুঁটিনাটি। ফাইল ছবি।
*অগ্নিমিত্রা পালের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ১৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৬০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৪০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর এ কমে হয় ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে কমে তার আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৮২ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ২২০ টাকা। ফাইল ছবি। 
*অগ্নিমিত্রা পালের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ১৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৬০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৪০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর এ কমে হয় ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে কমে তার আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৮২ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ২২০ টাকা। ফাইল ছবি।
*তাঁর স্বামী পার্থ পাল অবশ্য কোটিপতি মানুষ। হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রার স্বামীর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ১ কোটি ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা। অগ্নিমিত্রা পালের দুই ছেলে বিঘ্নেশ পাল এবং সিদ্ধেশ পাল। ফাইল ছবি। 
*তাঁর স্বামী পার্থ পাল অবশ্য কোটিপতি মানুষ। হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রার স্বামীর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪০ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ১ কোটি ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা। অগ্নিমিত্রা পালের দুই ছেলে বিঘ্নেশ পাল এবং সিদ্ধেশ পাল। ফাইল ছবি।
*নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, অগ্নিমিত্রা পালের নামে এগরা থানা, মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা, বিষ্ণুপুর থানা, বারাসাত থানা, আসানসোল দক্ষিণ থানা, বারাবানি থানা, হিরাপুর, ময়না, বীরভূম সাইবার ক্রাইম, তমলুক, তালতলা থানায় একাধিক কেস রয়েছে। ফাইল ছবি। 
*নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, অগ্নিমিত্রা পালের নামে এগরা থানা, মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা, বিষ্ণুপুর থানা, বারাসাত থানা, আসানসোল দক্ষিণ থানা, বারাবানি থানা, হিরাপুর, ময়না, বীরভূম সাইবার ক্রাইম, তমলুক, তালতলা থানায় একাধিক কেস রয়েছে। ফাইল ছবি।
*বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর হাতে রয়েছে ৪৩ হাজার ৩৯১ টাকা। ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট, সেভিংস ব্যালেন্স, গোল্ড বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ারে ইনভেস্ট, লাইফ ইন্সুরেন্স, মেডিকেল ইন্সুরেন্স এবং ৩৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৪৯ টাকার গয়না সবমিলিয়ে প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের রয়েছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৬৪ টাকার সম্পত্তি। ফাইল ছবি। 
*বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের হলফনামায় জানানো হয়েছে, তাঁর হাতে রয়েছে ৪৩ হাজার ৩৯১ টাকা। ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট, সেভিংস ব্যালেন্স, গোল্ড বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ারে ইনভেস্ট, লাইফ ইন্সুরেন্স, মেডিকেল ইন্সুরেন্স এবং ৩৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৪৯ টাকার গয়না সবমিলিয়ে প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের রয়েছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৬৪ টাকার সম্পত্তি। ফাইল ছবি।
*অগ্নিমিত্রা পালের নামে নিউটাউনে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৬ টাকা। এছাড়াও তাকে পরিশোধ করতে হবে ১ কোটি ২০ লক্ষ ১১ হাজার ২৭০ টাকা। যদিও অগ্নিমিত্রার নেই কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি। ফাইল ছবি। 
*অগ্নিমিত্রা পালের নামে নিউটাউনে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৬ টাকা। এছাড়াও তাকে পরিশোধ করতে হবে ১ কোটি ২০ লক্ষ ১১ হাজার ২৭০ টাকা। যদিও অগ্নিমিত্রার নেই কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি। ফাইল ছবি।
*দিলীপ ঘোষের জয়ী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রনরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিতে চান তিনি। কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফাইল ছবি।
*দিলীপ ঘোষের জয়ী লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রনরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিতে চান তিনি। কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফাইল ছবি।

June Malia TMC Lok Sabha Elections 2024: এত দিনের অভিনেত্রী, অথচ সম্পত্তির পরিমাণ এরকম! ‘নেত্রী’ জুনের টাকা-সোনার অঙ্ক চমকে দিচ্ছে সকলকে

পশ্চিম মেদিনীপুর: আপাতত তিনি মেদিনীপুরের বিধায়ক। তবে বড় দায়িত্ব দিয়েছে দল। লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের জয়ী কেন্দ্র মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁকে। তিনি জুন মালিয়া। বয়স তাঁর ৫৪ হলেও এখনও তিনি রোদে ঘুরে প্রচার করছেন এবং বিপক্ষ প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে জোর টক্কর দিতে প্রস্তুত।

তবে টলিউড তারকা, মেদিনীপুরের বিধায়ক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়ার সম্পত্তির পরিমাণ জানেন?

নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রা পালের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ৮ লক্ষ ১১ হাজার ৪৪৭ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ ১ হাজার ৮০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় কমে হয় ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে কমে তাঁর আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে হয় ১৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫০ টাকা।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম অভীক ভবিষ্যতে কী হতে চান? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন

অন্যদিকে, বেশ ভাল আয় করেন জুন মালিয়ার স্বামী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ২৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৬৫ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ২৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৯০ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর কমে হয় ৩০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৭০ টাকা, ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে তার আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৬০ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই টাকার পরিমাণ হয় ২৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৭০ টাকা।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

যদিও তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে কোনও থানায় কোনও অভিযোগ নেই। তবে মনোনয়ন জমার প্রাক্কালে তাঁর হাতে ছিল ২২ হাজার ৫৩৫ টাকা এবং তাঁর স্বামীর হাতে ছিল ২৭ হাজার ৯৫৪ টাকা। জুন মালিয়ার সঞ্চয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইনভেস্ট, একাধিক বীমা এবং ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৬৮৫ টাকার সোনা মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৭৫ টাকার। তবে প্রার্থীর নিজের নেই কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি।

অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর সঞ্চয়, বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেসমেন্ট, একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়ি মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি ১৯ লক্ষ ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। এছাড়াও স্বামী সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, পাশাপাশি বালিগঞ্জ সার্কাস এভিনিউতেও রয়েছে একটি ঘর। সব মিলিয়ে বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৮৪ টাকা। অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর রয়েছে শুধুমাত্র এই জয়েন্ট প্রপার্টি।

প্রার্থী জুন মালিয়ার নামে রয়েছে হোম লোন যা তাঁকে পরিশোধ করতে হবে ৭২ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৯১ টাকা। অন্যদিকে, হোম লোন, অটো লোন মিলিয়ে তাঁর স্বামীকে পরিশোধ করতে হবে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৬ হাজার ৮৪৬ টাকা। মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর দিলীপ ঘোষের জয়ী কেন্দ্র মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে জুন মালিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবে আগামী ২৫-এ জোর টক্কর হতে চলেছে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তবে কে জয় লাভ করে তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Elections 2024: একচুলও মাটি ছাড়তে নারাজ, লোকসভায় নরেন্দ্র মোদিকে বিরাট উপহার দিতে চান অগ্নিমিত্রা! কী জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুর: নাম ঘোষণার পর যেন এক চুলও মাটি ছাড়তে নারাজ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীই। বিধানসভা এবং লোকসভা দু’টি ক্ষেত্রে নির্বাচিত দিলীপ ঘোষের আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে।

অন্যদিকে, সেই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের আসনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের জুন মালিয়া। স্বাভাবিক ভাবে দুই প্রতিপক্ষই জোর টক্কর দিতে প্রস্তুত লোকসভা নির্বাচনে। তাই নাম ঘোষণার পর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছেন তিনি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনি খড়্গপুরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার করেন, উদ্বোধন করেন দলীয় কার্যালয়ও। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানুষের নানা সমস্যার সমাধানেরও আশ্বাস দেন অগ্নিমিত্রা। এদিন প্রথমে তিনি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন বাজার এলাকায় একটি মন্দিরের পুজো দিয়ে তার প্রচার কাজ শুরু করেন। পরে তিনি হুডখোলা জিপে চড়ে আবার কখনও পায়ে হেঁটে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

শুধু তাই নয়, এদিন অগ্নিমিত্রা পালের প্রচারে দেখা গেল অভিনবত্ব। হাতে পদ্মফুল নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান প্রার্থী। এরপর তিনি খড়গপুরের ভবানীপুরে একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি খড়গপুর পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অলি গলিতে প্রচার চালান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, শোনেন তাদের নানা অভাব অভিযোগের কথা।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা স্কুলের তালিকায় রয়েছে ভারতের এই স্কুল, পড়লেই কেউ IPS-কেউ IAS অফিসার! কোন স্কুল এটি জানেন?

পাশাপাশি, তিনি পৌর এলাকায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের আশ্বাসও দেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫ টার বেশি আসন নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে হবে শুধু তাই নয় মেদিনীপুর লোকসভার আসনটিও উপহার দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তবে নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের পুরানো কেন্দ্রে কোন ফুল ফোটে তা এখন দেখার।

রঞ্জন চন্দ

Fire Incident: বিধ্বংসী আগুন! লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই সবকিছু

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল দুটি দোকান। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে। সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ওই দুটি দোকানে থাকা লক্ষাধিক টাকার শাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা অজানা।

স্থানীয়দের পাশাপাশি দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। কাপড় থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন। তাঁদের থেকে খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিনও আসে। দমকল কর্মীদের চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: মরশুমের প্রথম বৃষ্টির স্বস্তি পেরিয়ে দুঃসংবাদ, ঝড়ে আম কুড়োতে গিয়ে…

প্রবল গরমের পর সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল আকাশ। সন্ধে ঘনাতেই ব‌ইতে শুরু করে দমকা হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টিও নামে। এর সঙ্গে পড়তে থাকে বাজও। এর‌ইমধ্যে রাত ১১ টা নাগাদ ডেবরার মলিহাটি চৌরাস্তা এলাকায় একটি অভিজাত কাপড় দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। জেনারেটর চালিয়ে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন সকলে। তবে প্রবল বাতাস ব‌ইতে থাকায় দ্রুত সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশে থাকা একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানেও আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। আশেপাশে কয়েকটি দোকানও এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রঞ্জন চন্দ

Success Story: শরীরের নমনীয়তায় যোগাভ্যাসে বাজিমাত! প্রত্যন্ত গ্রামের বালিকার গলায় স্বর্ণপদক

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স সবেমাত্র সাত। যেন ফ্লেক্সিবল তার শরীর। বিভিন্ন যোগব্যায়ামে পারদর্শী সে।এই বয়সে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য, রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে সোনা জয় করল প্রত্যন্ত গ্রামের এক মেয়ে। পরিবারের সাহায্য এবং নিজের জেদে এই সাফল্য মিলেছে তার। যখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কিংবা যুব প্রজন্ম মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে নজর কেড়েছে সকলের। সম্প্রতি জাতীয় স্তরে যোগা প্রতিযোগিতায় সাফল্য মিলেছে তার, তার ঝুলিতে এসেছে স্বর্ণপদক। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে সকলে।

অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে তার বয়সের ঊর্ধ্বে প্রতিযোগীদের হারিয়ে জাতীয় স্তরের যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সোনা জয় করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা মোহনপুরের মেয়ে সানাম খাতুন। সম্প্রতি হরিয়ানার পানিপথে আয়োজিত ন্যাশনাল স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সানাম। তার বিভাগে ছিল ১৭ বছর বয়সি প্রতিযোগীরাও। তবে নিজের অনুশীলন এবং জেদ নিয়ে এই সফলতা জুটেছে।

আরও পড়ুন : টাটকা তালরস জ্বাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়! গরম থেকে বাঁচতে তালপাটালি যেন অমৃতসমান

সানামের বাবা শেখ সাব্বির আলি, মা তাহেরা খাতুন। বাবা গ্রামীণ চিকিৎসক, মা গৃহবধূ। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী সানাম। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে সে যোগা প্রশিক্ষণ নেয়। শিক্ষকের পাশাপাশি বাড়িতেও প্র্যাকটিস করে সে। ছোট থেকেই যখন মোবাইলের নেশায় আসক্ত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা, তখন ব্যাতিক্রমী চরিত্রের সানাম।

প্রায় এক বছর সেই যোগাভ্যাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পার্শ্ববর্তী যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করেছে সে। পরবর্তীতে যোগা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় সানাম। এক বছরের প্রশিক্ষণে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক প্রতিযোগিতার সার্টিফিকেট এবং ১০ এরও বেশি পদক। তার এই কৃতিত্বে খুশি পরিবারের সকলে। ছোট্ট মেয়ের এহেন প্রতিভাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।

Accidental Death: মরশুমের প্রথম বৃষ্টির স্বস্তি পেরিয়ে দুঃসংবাদ, ঝড়ে আম কুড়োতে গিয়ে…

পশ্চিম মেদিনীপুর: টানা তাপপ্রবাহ শেষে সোমবার বিকেলের পর দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় নেমে আসে অঝোর ধারায় বর্ষণ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমজনতা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মত সোমবার বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি। সকলের প্রাণ জুড়োলেও আনন্দের এই বৃষ্টি সবার কাছে সুখকর হল না। ঝড়ে এবং বৃষ্টিতে গাছ থেকে পড়া আম কুড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক যুবকের।

মর্মান্তিক ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার। সোমবার বিকেল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে ঝরে পড়েছে গাছের কাঁচা আমও। বাড়ির পাশে আম গাছ থেকে ঝরে পড়া আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক যুবকের। মৃতের নাম পিন্টু সামন্ত (৩২)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার দঙ্গলসা এলাকায়।

আরও পড়ুন: দুপুর ২ টো বাজলেই ধাঁ হয়ে যায় চিকিৎসক, এসে ফিরে যেতে হয় অসহায় পশুদের

পরিবার সূত্রে খবর, মৃত পিন্টুর বাড়িতে স্ত্রী, চার মাসের সন্তান, বাবা, মা ও দাদা রয়েছেন। অস্থায়ী ফলের দোকান ছিল পিন্টুর। দোকানের কষ্টার্জিত অর্থে চলত সংসার। তবে এদিন সন্ধে নাগাদ বাড়ির পাশে আম গাছে ঝরে পড়া আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের এক নিকট আত্মীয় নিশিকান্ত বেরা বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ির সামনে আম কুড়োতে গিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় পিন্টু। এক দাদা উদ্ধার করে ওকে বাড়িতে আনে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: জুনে মেদিনীপুরে জোড়াফুল ফোটাতে বিশাল শোভাযাত্রা করে নমিনেশন তৃণমূলের 

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঈশ্বরের উপর আস্থা রেখে মন্দির, মসজিদ এবং গির্জায় প্রণাম করে মহাসমারহে নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া। সোমবার সকাল থেকে জেলা জুড়ে ছিল অনুকূল আবহাওয়া। বাজনা সহকারে সুবিশাল র‍্যালি করে মেদিনীপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূলের প্রার্থী। এদিন সকালে কর্ণগড় মন্দিরে পুজো দেন, এরপর মেদিনীপুরে নির্মল হৃদয় আশ্রমে প্রার্থনা করে তিনি তার মনোনয়ন দাখিল করেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের হেভিওয়েট আসন মেদিনীপুরও। এখানে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের জুন মালিয়া এবং বিপক্ষ বিজেপি দলে অগ্নিমিত্রা পাল। দিন কয়েক আগে অগ্নিমিত্রা পাল তার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সোমবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজাকে সঙ্গে নিয়ে সাজানো একটি গাড়িতে চেপে এবং কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সুসজ্জিত র‍্যালি করে তিনি তার নমিনেশন জমা দেন। মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে সুসজ্জিত র‍্যালি করে তিনি তার নমিনেশন জমা দেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বা শশী পাঁজা শুধু নয় উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল বিধায়ক, নেতৃত্বরা।শুধু তাই নয় নমিনেশন জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচনে জয় লাভে তার আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত রবিবার পর্যন্ত জেলার তাপমাত্রা ছিল বেশ ঊর্ধ্বমুখী। সোমবার মেঘলা আকাশ, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া এবং অনুকূল পরিবেশ ছিল জেলার সর্বত্র। রোদে রোদে প্রচার করলেও মনোনয়নের দিন আবহাওয়া ছিল জুনের পক্ষে। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে এবং ভোটের পরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী।

জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুন মালিয়া। এককালের দিলীপ ঘোষের গড়ে কোন ফুল ফোটে তা এখন দেখার। তবে দিন আড়ম্বর সহকারে প্রার্থীর নমিনেশন নজর কেড়েছে সকলের। তবে জয় কার পক্ষে তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: প্রতিবছরই বন্যা! বানভাসি নদীতীরের মানুষরা চরম সঙ্কটে, ভোটের আগে কী দাবি তাদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: দিন আসে দিন যায়, সময় এলে নির্বাচনও হয়। কিন্তু যে তিমিরে থাকেন নদীতীরের মানুষ, সেই তিমিরেই পড়ে থাকেন তারা। ভোট এলে মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু প্রতি বছর বন্যায় বানভাসি হতে হয় নারায়ণগড় এবং সবং-এর নদীতীরের মানুষজনকে। মাত্র কয়েকদিন পরেই নির্বাচন। নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত নদীর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার এবং শাখা খাল সংস্কার করা হোক, যে ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে রেহাই পাবেন সাধারণ মানুষ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লক, সবং ব্লক এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু ব্লকের মধ্য দিয়েই গিয়েছে কেলেঘাই নদী। নদীর পাড়েই রয়েছে একাধিক গ্রাম। বর্ষার সময় বৃষ্টি হলেই বানভাসি হয় নারায়ণগড় ব্লকের খুড়শি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। শুধু তাই নয়, সবং ব্লকের কেলেঘাই নদীর তীরে একাধিক গ্রামও প্লাবিত হয়। শুধু ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়া নয়, ক্ষয়ক্ষতি হয় চাষের জমিরও। বন্যায় বেশ কিছু জায়গায় গৃহপালিত পশু এমনকি মানুষেরও প্রাণহানি ঘটে।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নদীর উপরের দিকে সংস্কার হলেও নদীর নিচে বরাবর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। গ্রামের মধ্যে অবস্থিত নদী কেন্দ্রিক শাখা খাল গুলিও সংস্কার না হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয় এলাকা। তাদের দাবি দ্রুত এই কেলেঘাই নদী পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করতে হবে। যার ফলে রক্ষা করা যাবে বসত বাড়ি থেকে চাষযোগ্য জমিও।লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি ফের জোরাল হচ্ছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে মুক্তি দিতে হবে নদী তীরের মানুষজনকে। তবে কতটা এই সমস্যার সমাধান হয় তা বলবে সময়। নাকি এই সামনের বৃষ্টিতেও প্লাবিত হবে এলাকা?

রঞ্জন চন্দ