Tag Archives: West Medinipur

Lok Sabha Election 2024: ফের পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘নমো’, জনসভা রেলশহরে 

পশ্চিম মেদিনীপুর : ২০২১ এর পর ২০২৪, খড়্গপুরে জনসভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯ মে, রবিবার বিকেলে তার জনসভা করার কথা রয়েছে খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ স্কুলের মাঠে। এমনই বিজেপি সূত্রে খবর। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে খড়্গপুরে জনসভা করবেন তিনি। যদিও এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে। শনিবার মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় সভা করবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পরের দিন সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র পরিচিত ছিল দিলীপ ঘোষের খাস তালুক হিসেবে। এবারের লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এ দিলীপ ঘোষের গড়ে বিজেপি, প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া। ইতিমধ্যে জুন মালিয়া সমর্থনে একাধিক জায়গায় সভা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার বিজেপির বড় চমক সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন : নেংটি ইঁদুর-বাঘের গল্প শোনালেন অভিষেক! ভোট প্রচারে অভিনব ভাবনা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

প্রসঙ্গত ২০১৬ এর পর ২০১৮ এবং ২০২১ এ হিরণ সহ একাধিক বিধানসভার প্রার্থীদের সমর্থনে খড়্গপুরের বিএনআর মাঠে সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে তিনি সভা করবেন নিমপুরাতে। ইতিমধ্যেই জোর প্রস্তুতি চলছে বিজেপির। প্রসঙ্গত মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, খড়গপুর, মেদিনীপুর, দাঁতন, মোহনপুর এবং এগরা ব্লক। লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর অধিকারী বলেন, এবারে সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালই জিতবেন তবে তার আগে কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী।

আরও পড়ুন : ভোট প্রচারে এসে বাংলায় কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ

লক্ষাধিক মানুষের টার্গেট রয়েছে তবে তার থেকেও বেশি ভিড় হবে। শুধু নরেন্দ্র মোদির নয় ২১ তারিখ রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সভাও, এমনই বিজেপি সুত্রে খবর। দুই দলই হেভিওয়েট দের নিয়ে সভা করছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কোথাও চলছে রোড শো। তবে নির্বাচনে কে জয়লাভ করে তা বলবে সময়।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: কালের নিয়মে হারিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ আমলের আদালত, জানেন কোথায় আছে এমন উদাহরণ?

পশ্চিম মেদিনীপুর: কালের নিয়মে ক্রমে হারিয়ে যায় ইতিহাস। সংরক্ষণের অভাব এবং সদিচ্ছার অভাবে ক্রমে অবলুপ্তি ঘটে বড় বড় ইমারতের ও। এমনই এক ইতিহাসের নিদর্শন ধ্বংসের মুখে।এক সময় এখানেই চলতবিচার। সারাদিন হত মামলা মোকদ্দমার খুঁটিনাটি আলোচনা। তবে প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরে এই ইমারতে পা রাখেনি কোনও আইনজীবী থেকে বিচারপতি । বর্তমানে এক পরিত্যক্ত ভূত বাড়ি দাঁতনের ব্রিটিশ সময়ে নির্মিত এই আদালত।

ব্রিটিশ আমলে একসময় এখানে মামলা মোকদ্দমার জন্য আসতেন এলাকার মানুষ। গমগম করত। এখন যদিও তা খন্ডহর। পরিত্যক্ত ব্রিটিশ আমলে গড়ে তোলা মুন্সেফ কোর্ট। যা কালের নিয়মে মাটির সঙ্গে মিশে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। যার সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন দাঁতনবাসী। তৎকালীন বাংলা ওড়িশার বহু মামলা ও তার নিষ্পত্তি হয়েছে এই আদালতে যা চলেছে সত্তরের দশক পর্যন্ত। কিন্তু এখন সেই ইমারতে জরাজীর্ণ অবস্থা পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে দলিল, দস্তাবেজ ,রাখার তাক থেকে ঘর। ধ্বংসের মুখে উকিলদের ঘর ও।ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ওড়িশা সীমান্তবর্তী সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী দাঁতনে ব্রিটিশ আমলে গড়ে উঠেছিল মুন্সেফ কোর্ট।

আরও পড়ুন : ভোটে ফ্লেক্স-ব্যানারের প্রচার অনেক হল, এবার চোখ রাখুন এই মাধ্যমে

এলাকার দেওয়ানি মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তির জন্যেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই আদালত। তবে দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল এখনও পর্যন্ত অধরা দাঁতনবাসীর কাছে।দাঁতন থেকে এযাবৎ কাল অবধি লিখিত ও প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকেরা মনে করেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দাঁতনে কোর্ট স্থাপিত হয়েছিল। যা সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের পরবর্তী কোনও সময়ে।

আরও পড়ুন : এই পেশায় চলছে না সংসার, ভোটের আগে কী কী দাবি কামারদের?

১৮০৩ সালে দেবগ্রামে মারাঠা-বর্গী ও ইংরেজদের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এবং সুবর্ণরেখা নদী ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে সীমানা নির্ধারিত হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী দাঁতনের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এখান থেকে আদালত কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত হলে তার নিজস্ব জৌলুস হারায় পুরানো এই আদালত ভবন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই ব্রিটিশ স্থাপত্যকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: চাকা ঘুরিয়ে চলে না সংসার, ভোটের আগে এ কী দাবি করছেন কুমোররা!

পশ্চিম মেদিনীপুর: চাকা ঘুরিয়ে মাটি দিয়ে ঘুরিয়ে কলসি, ঘট, ধুনুচি সহ একাধিক জিনিস তৈরি করেন কুমোরেরা। বংশ পরম্পরায় তাদের এই পেশা টিকিয়ে রেখেছেন তারা। তবে বর্তমানে সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমছে কুমোরদের হাতে তৈরি মাটির জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে ফাঁপরে পড়েছেন তারা। লোকসভা নির্বাচল ২০২৪ এর আগে তাদের একাধিক দাবি জোরালো হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকেই রয়েছে কুমোর পরিবার।প্রথাগতভাবে চাকা ঘুরিয়ে তার ওপর মাটি দিয়ে হাতের নানা কারসাজিতে তৈরি করেন হাঁড়ি, কলসি, ঘট সহ নানান জিনিস। বিক্রি করেন স্থানীয় বাজার কিংবা হাটে। তবে বর্তমানে সেই বিক্রিও কম। অথচ তাদের মাটি, বালি কিনে বানাতে হচ্ছে সবকিছুই। পরিশ্রমের থেকে লাভ জুটছে যৎসামান্য। অন্যদিকে বিক্রি কম হওয়ায় সংসার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের। লোকসভা নির্বাচন এর আগে জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহযোগিতার দাবি করছেন তারা।

আরও পড়ুন : নেংটি ইঁদুর-বাঘের গল্প শোনালেন অভিষেক! ভোট প্রচারে অভিনব ভাবনা, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

এখন মাটির তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদা কমছে। স্বাভাবিকভাবে জিনিস তৈরি হলেও বিক্রি হয় না। কুমোরদের দাবি, তাদের বিক্রির বন্দোবস্ত করা হলে সুবিধা হয়। অন্যদিকে সরকারি নানান সুযোগ-সুবিধা পেলে নিশ্চিন্তে সংসার চালাতে পারবেন তারা। স্থানীয় এলাকায় বাজারে স্থায়ীভাবে বিক্রির বন্দোবস্ত করা হলে তাদের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে পারবেন তারা। যার ফলে কিছুটা হলেও ভালোভাবে চলবে সংসার।

আরও পড়ুন : মাসে মাসে কড়কড়ে ৩০০০ টাকা! অন্নপূর্ণা ভাতা মহিলাদের? বিরাট প্রতিশ্রুতি অগ্নিমিত্রার

মাত্র কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে দিল্লিতে যাবেন যে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে ভোটে জয়লাভের পর কতটা দাবি মানা হয় এই কুমোরদের তা এখন দেখার।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: এই পেশায় চলছে না সংসার, ভোটের আগে কী কী দাবি কামারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: সারাদিন হাপর টেনে লোহাকে গরম করে, তা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন তারা। সারাদিন সামান্য কটা টাকা রোজগার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় তাদের। তবে বর্তমানে তাদের ব্যবসা তথৈবচ অবস্থায়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা বদল করে নিয়েছেন তাদের পেশাও। তবে এখনও বেশ কিছুজন তাদের পূর্বপুরুষের এই কামারের পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন। তবে সংসার চালাতে ভোটের আগে তাদের একাধিক দাবি রয়েছে লোকসভা নির্বাচল ২০২৪ এর প্রার্থীদের কাছে।

লোহাকে গরম করে তাকে পিটিয়ে কখনও কুড়ুল, কাস্তে, হাতুড়ি, ছেনি সহ একাধিক জিনিস তৈরি করেন কামারেরা। বেশ কিছু বছর পিছনে গেলে দেখা যাবে তাদের ব্যবসা বেশ ভালোই চলত। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেভাবে বিক্রি নেই কাস্তে, হাতুড়ি, দা, কোদাল কিংবা বিভিন্ন লোহার তৈরি জিনিসের। স্বাভাবিকভাবে সংসার চালাতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কামারদের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ১ ব্লকের মানিকড়া এলাকায় রয়েছে একাধিক কামার পরিবার।

আরও পড়ুন : ট্রেনের স্টপেজের দাবি, আবেদন জমা পড়ল রেলমন্ত্রীর কাছে

বেশ কিছু জন তাদের পূর্বপুরুষের পেশা চালিয়ে রাখলেও সে অর্থে তাদের আয় নেই। হাপর টেনে সারাদিনের সংসার চালানোর অর্থ উপার্জন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চাষবাস কিংবা গৃহস্থালির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিক্রিও প্রায় বন্ধ। গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে গিয়ে কোনও জিনিস বিক্রি, ততটা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। সম্ভব হলেও আয় বেশ কম।

আরও পড়ুন : প্রকৃতির আজব লীলা! প্রতিবছর বসন্তকালে একইগাছে বাসা বোনে এই পাখি

স্বাভাবিকভাবে তাদের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দাবি, সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার প্রদানের। কিংবা স্থানীয় এলাকায় বাজার তৈরি এবং সরকারি সুবিধা দিয়ে বিভিন্ন লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়া।দিন কয়েক পরেই নির্বাচন। নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদে গিয়ে সাধারণ মানুষের নানান কথা তুলে ধরবেন জনপ্রতিনিধিরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে আদৌ কি দাবি মিটবে কামারদের সে প্রশ্ন এখন তাদের মনে।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: চরম দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর সাফল্যের কাহিনী চোখে জল আনবে

পশ্চিম মেদিনীপুর : ছোট থেকেই সে জানে না বাবার পরিচয়। মামা বাড়িতে থেকেই মানুষ। কখনও কীর্তন, আবার কখনও অন্যান্য কাজ করে মেয়েকে মানুষ করে তুলেছে তার মা। তবে সম্পূর্ণ নিজের জেদে ও পরিশ্রমে উচ্চমাধ্যমিকে তার ফল চমকে দিয়েছে সকলকে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার সামান্য দিন না দিন খাওয়া পরিবারে খুশির মেজাজ। মেয়েকে আরও এগিয়ে দিতে চায় তার মা ও মামা বাড়ি পরিবারের সকলে। আগামীতে আইন নিয়ে পড়তে চায় সে কিংবা ডব্লিউবিসিএস অফিসার হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখে এই কৃতি ছাত্রী। জন্মের পর থেকে বাবাকে দেখেনি। মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকে মেয়ে। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।

সামান্য একচালা ছিটেবেড়া বাড়িতে থাকে। মামা-মামীদের আদর যত্ন, দাদু দিদিমা স্নেহ পেয়ে ১৭ টা বছর কাটিয়েছে। তবে তার লক্ষ্য বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের পাকুড়সেনী পঞ্চায়েতের কুরুমপুর এলাকার সোমা নায়েক। এবারে উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৪৭২ নম্বর। নারায়ণগড় হৃষিকেশ লাহা উচ্চ শিক্ষা নিকেতনের ছাত্রী। অভাবকে জয় করে তার এই সাফল্যে খুশি সকলে। প্রতিদিন পড়াশোনার জন্য তার লড়াই চোখে জল আনবে। বাড়ি থেকে নারায়ণগড় বাজার এর দূরত্ব প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে টিউশন পড়তে যাওয়া এমনকি স্কুল যাতায়াত করত সে।

আরও পড়ুন : শহরের কাঁড়িকাঁড়ি সুবিধা পেয়েও কিছু হচ্ছে না? প্রত্যন্ত গ্রামে অভাবী এই মেয়েকে দেখুন, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে চমকে দিল

অভাবের সংসারে কষ্টকে মুখ বুজে সহ্য করে পড়াশোনা চালিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করে চমকে দিয়েছে সকলকে। তবে তার এই সাফল্যে খুশি হলেও ততটা আনন্দ পাচ্ছে না পরিবার। মেয়ের ইচ্ছে আইন নিয়ে পড়ার। বাধ সাধছে দারিদ্র। সোমার মা সংসার চালাতে কঠিন পরিশ্রম করেন। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। কখনও অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ, কখনও এলাকার কীর্তন দলে যোগ দিয়ে যতটুকু উপার্জন হয় তা দিয়েই মা ও মেয়ের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে কীভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন তা নিয়ে কার্যত এখন দিশাহারা তিনি।

আরও পড়ুন : শরীরের নমনীয়তায় যোগাভ্যাসে বাজিমাত! প্রত্যন্ত গ্রামের বালিকার গলায় স্বর্ণপদক

অভাবকে জয় করার অদম্য ইচ্ছা সোমার। সে প্রতিদিন প্রায় সাত কিলোমিটার উজিয়ে বিদ্যালয়ে ও টিউশনে আসত। নারায়ণগড়ের চাতুরিভাড়া এলাকাতে একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত সোমা। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে আসা-যাওয়া করত। সোমা ও তার পরিবার জানাচ্ছে, শিক্ষকেরা অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন। নইলে পড়াশোনা করতে পারত না সে। প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ নম্বর পেয়েছে। বাংলা ও ভূগোলে ৯৪, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৮, পুষ্টিবিজ্ঞানে ৯৫ ও ইতিহাসে ৯১ পেয়েছে। সোমার জানাচ্ছে, ইংরেজিতে তার নম্বর কমেছে। সে পেয়েছে ৮০।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে আগামীতে সোমার স্বপ্ন কি সফল হবে, নাকি দারিদ্র্যের ভিড়ে অচিরে হারিয়ে যাবে মেধা, সেই প্রশ্ন এখন সকলের মধ্যে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: যোগ্যতা অনুযায়ী চাই কর্মসংস্থান! আর কী কী দাবি নতুন ভোটারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। পক্ষ-প্রতিপক্ষ, প্রচার-পাল্টা প্রচার মিলিয়ে বেশ জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি। সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংসদে গিয়ে মানুষের হয়ে সাওয়াল করবেন। তুলে ধরবেন তার লোকসভা এলাকার নানান সমস্যার কথা। তবে নির্বাচনে ভোটার তালিকায় রয়েছে যুবরাও। যারা প্রায় ছাত্র এবং নতুন ভোটার।

স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির দাবি জানিয়েছেন সকলে। ১৮ বছর অতিক্রম হলেই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে তাদের উপর চাপে সাংসারিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের পড়াশোনার উন্নতি। স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব প্রজন্মের দাবি, পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বৃত্তি, যাতে পড়াশোনাটা স্বপ্ন না হয়ে বাস্তব রূপ পায়।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

এছাড়াও বর্তমান দিনে প্রতিটি ব্লকে রয়েছে একটি করে কলেজ এবং গ্রাম কিংবা শহরে রয়েছে বিদ্যালয়ও। প্রাথমিকভাবে পড়াশোনার পরিকাঠামো থাকলেও বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পড়াশোনাবা উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগমের দাবি জানিয়েছেন সকলে। কেউ দ্বিতীয়বার, কেউ আবার প্রথমবার ভোট দেবে। স্বাভাবিকভাবে ভোটের নানা গল্প শুনেছে তারা কিন্তু বাস্তবে তাদের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর ভোট দান।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তবে ভোট দেওয়ার পরে প্রতিটি মানুষেরই দাবি থাকে। নতুন ভোটার বা যুব প্রজন্মের মূল দাবি শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান। ছাত্রী তথা নতুন ভোটার ভাস্বতি সাহু, তপতী শী রা বলেন, নতুন ভোটার যারা হয় তারা মূলত হয় শিক্ষার্থী তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তবে এই দাবি কতটা সফল হয় তার আশায় সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Success Story: শরীরের নমনীয়তায় যোগাভ্যাসে বাজিমাত! প্রত্যন্ত গ্রামের বালিকার গলায় স্বর্ণপদক

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স সবেমাত্র সাত। যেন ফ্লেক্সিবল তার শরীর। বিভিন্ন যোগব্যায়ামে পারদর্শী সে।এই বয়সে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য, রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে সোনা জয় করল প্রত্যন্ত গ্রামের এক মেয়ে। পরিবারের সাহায্য এবং নিজের জেদে এই সাফল্য মিলেছে তার। যখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কিংবা যুব প্রজন্ম মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে নজর কেড়েছে সকলের। সম্প্রতি জাতীয় স্তরে যোগা প্রতিযোগিতায় সাফল্য মিলেছে তার, তার ঝুলিতে এসেছে স্বর্ণপদক। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে সকলে।

অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে তার বয়সের ঊর্ধ্বে প্রতিযোগীদের হারিয়ে জাতীয় স্তরের যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সোনা জয় করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা মোহনপুরের মেয়ে সানাম খাতুন। সম্প্রতি হরিয়ানার পানিপথে আয়োজিত ন্যাশনাল স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ যোগা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে সানাম। তার বিভাগে ছিল ১৭ বছর বয়সি প্রতিযোগীরাও। তবে নিজের অনুশীলন এবং জেদ নিয়ে এই সফলতা জুটেছে।

আরও পড়ুন : টাটকা তালরস জ্বাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়! গরম থেকে বাঁচতে তালপাটালি যেন অমৃতসমান

সানামের বাবা শেখ সাব্বির আলি, মা তাহেরা খাতুন। বাবা গ্রামীণ চিকিৎসক, মা গৃহবধূ। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী সানাম। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসরে সে যোগা প্রশিক্ষণ নেয়। শিক্ষকের পাশাপাশি বাড়িতেও প্র্যাকটিস করে সে। ছোট থেকেই যখন মোবাইলের নেশায় আসক্ত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা, তখন ব্যাতিক্রমী চরিত্রের সানাম।

প্রায় এক বছর সেই যোগাভ্যাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পার্শ্ববর্তী যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করেছে সে। পরবর্তীতে যোগা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় সানাম। এক বছরের প্রশিক্ষণে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক প্রতিযোগিতার সার্টিফিকেট এবং ১০ এরও বেশি পদক। তার এই কৃতিত্বে খুশি পরিবারের সকলে। ছোট্ট মেয়ের এহেন প্রতিভাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।

West Medinipur News:মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পরীক্ষা স্থগিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে 

পশ্চিম মেদিনীপুর:পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৭ ডিগ্রির বেশি। স্বাভাবিকভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছেন মেদিনীপুরের মানুষ। সকাল আটটা পেরোলেই বইছে লু। দশটার পর বাইরে বেরোনো দায় হয়ে উঠেছে সকলের। প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ২,৩ এবং ৪ মে এর পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টার, বি.এড, বি.পি.এড, বিএফ.এসসি এবং এগ্রিকালচার বিষয়ের চার বছরের বিএসসি কোর্স সহ একাধিক বিভাগের ২, ৩ এবং ৪ মে এর সকল পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও ৬মে’এর পরীক্ষার দিনক্ষণ অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ১৬ বছর ধরে করে চলেছেন এই কাজ! ভোটের আগে মুদি ব্যবসায়ীর কাণ্ড শুনলে চমকে উঠবেন

প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে উষ্ণতম স্থান কলাইকুন্ডা। মেদিনীপুর শহর এবং ঝাড়গ্রামেরও অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৪৭ পেরিয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া স্টেশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৭.১ ডিগ্রি। একইভাবে বুধবারের জেলার তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শনিবার থেকে জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : বাঁশি আর তোলে না সুর, অভাবের জেরে শেষমেশ এইকাজ করেন শিল্পী! জানলে চোখে জল আসবে

তাই এই গরম পরিস্থিতিতে, লু এর কারণে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত খবর। যদিও পরবর্তীতে বাতিল হওয়া এই পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে সিদ্ধান্তকে বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরাও।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: কৈলাস থেকে সোজা মর্তে? গরমের রাস্তায় খালি পায়ে মহাদেব

বাইরে প্রচন্ড উত্তাপ। সূর্য তখন মাথার উপর। এর মাঝে গরম রাস্তার উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ালেন স্বয়ং মহাদেব। যা দেখে হতবাক সকলে।
বাইরে প্রচন্ড উত্তাপ। সূর্য তখন মাথার উপর। এর মাঝে গরম রাস্তার উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ালেন স্বয়ং মহাদেব। যা দেখে হতবাক সকলে।
কৈলাস থেকে মর্তে নেমে এলেন দেবাদিদেব মহাদেব? হাতে ডুগডুগি, অন্য হাতে ত্রিশূল। বাঘছাল পরে বাজারের রাস্তায় তিনি।
কৈলাস থেকে মর্তে নেমে এলেন দেবাদিদেব মহাদেব? হাতে ডুগডুগি, অন্য হাতে ত্রিশূল। বাঘছাল পরে বাজারের রাস্তায় তিনি।
রাস্তা যখন আগুন সমান গরম, তখন সেই রাস্তায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে বেড়ালেন মহাদেব। শুধুমাত্র বাঘছালের পোশাক পরা।
রাস্তা যখন আগুন সমান গরম, তখন সেই রাস্তায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে বেড়ালেন মহাদেব। শুধুমাত্র বাঘছালের পোশাক পরা।
সং সেজে গরমের দুপুরে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছেন এক বহুরূপী। যিনি এদিন মহাদেব সেজেছেন।
সং সেজে গরমের দুপুরে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছেন এক বহুরূপী। যিনি এদিন মহাদেব সেজেছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা তে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেছেন এই ব্যক্তি। সকাল থেকে বেরিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি তার পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা তে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছেন এই ব্যক্তি। সকাল থেকে বেরিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি তার পরিচয় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক।
বেলদার চা ব্যবসায়ী মুন্না জসওয়াল বলেন, তিনি দুপুরের এই গরমে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরে টাকা সংগ্রহ করছেন। তবে তার পোশাক আশাক দেখে অনেকের ভালো লেগেছে। মহাদেব সেজে ডুগডুগি বাজিয়ে তিনি টাকা সংগ্রহ করছেন।
বেলদার চা ব্যবসায়ী মুন্না জসওয়াল বলেন, তিনি দুপুরের এই গরমে বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরে টাকা সংগ্রহ করছেন। তবে তার পোশাক আশাক দেখে অনেকের ভালো লেগেছে। মহাদেব সেজে ডুগডুগি বাজিয়ে তিনি টাকা সংগ্রহ করছেন।

West Medinipur News: আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর অমিত পাত্র এবার বারাণসী আইআইটির ডিরেক্টর

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি আইআইটি খড়গপুরের প্রাতিষ্ঠানিক, প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি, প্রযুক্তিবিদ্যার প্রাচীনতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি যোগ দিচ্ছেন বারাণসী আইআইটির ডিরেক্টর পদে। খুশির হাওয়া আইআইটি খড়গপুরে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি একজন সঙ্গীত প্রিয় মানুষও। তবে তিনি সম্প্রতি যোগ দিচ্ছেন আইআইটি বেনারসে ডিরেক্টর পদে।

আইআইটি সূত্রে খবর, অধ্যাপক অমিত পাত্র একজন জ্ঞানী মানুষ। তিনি ১৯৮৪ সালে বিটেক পাশ করেন।১৯৮৬ সালে এমটেক পাশ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি করেছেন পি এইচডিও। ১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দেন আইআইটি খড়গপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এছাড়াও বিদেশের একাধিক গবেষণামূলক ক্ষেত্রে দায়িত্ব সামলেছেন।

আরও পড়ুন : বাঁশ দিয়ে তৈরি চুলের ক্লিপ থেকে ঘর সাজানোর উপকরণ, সৌখিন জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর দম্পতি

২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবীণ গবেষক হিসেবে পরিদর্শন করেন।২০০৭ থেকে ২০১৩ তে তিনি খড়গপুর আইআইটি এর অ্যালুমনি এফেয়ার এন্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস এর ডিন পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি একাধিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। গড়ে তুলেছেন একাধিক ছাত্রছাত্রীকে। গবেষণাকে তিনি ছোট থেকেই ভাবনায় নিয়েছেন। এছাড়াও আইআইটি খড়গপুরে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করেছেন।

আরও পড়ুন : কী কাণ্ড! বউ নয় পালকি চেপে বিয়ে করতে এলেন কে? একী ঘটে গেল? তুমুল ভাইরাল ভিডিও

এছাড়াও তিনি আইআইটি খড়্গপুরের ডেপুটি ডাইরেক্টর পদে প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তব্য পালন করেছেন। তার এই পদোন্নতিতে খুশি আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি তার সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অধ্যাপক অমিত পাত্রের এই পদোন্নতিতে।

রঞ্জন চন্দ