বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ শ্যামল কুন্ডু বলেন, "দুর্ঘটনা অর্থাৎ সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১০০ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ১০০ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।"

বিষাক্ত সাপের ছোবল! সঙ্গে সঙ্গে কী করা উচিত? জেনে নিন কীভাবে কমাতে পারেন বিষের প্রভাব

ভারতে প্রতি বছর সাপের কামড়ে ৫৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এটা সরকারি পরিসংখ্যান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। বর্ষার মরশুমে সাপে কাটার সংখ্যা বাড়ে। যার ৮০ শতাংশই গ্রামের। বিবিসি আর্থের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে ৩০০ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৬০ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত।
ভারতে প্রতি বছর সাপের কামড়ে ৫৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এটা সরকারি পরিসংখ্যান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। বর্ষার মরশুমে সাপে কাটার সংখ্যা বাড়ে। যার ৮০ শতাংশই গ্রামের। বিবিসি আর্থের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে ৩০০ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৬০ প্রজাতির সাপ বিষাক্ত।
চারটি প্রজাতি – রাসেলস ভাইপার, স স্কেলড ভাইপার (Saw-Scaled Viper), ইন্ডিয়ান কোবরা এবং কমন ক্রেইট সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সাপে কাটা রোগীর বেশিরভাগ এই সাপগুলোর কামড়েই আক্রান্ত হন। কমন ক্রেইট এমন সাপ যা বিছানায় ঢুকে কামড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে ঘরোয়া টোটকার উপর বেশি ভরসা রাখে মানুষ। অনেক সময় ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়। সাপে কামড়ালে কী কী করা উচিত, কী কী এড়িয়ে যাওয়া উচিত, সে সব জানার পাশপাশি কী সাপে কামড়েছে সেটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ।
চারটি প্রজাতি – রাসেলস ভাইপার, স স্কেলড ভাইপার (Saw-Scaled Viper), ইন্ডিয়ান কোবরা এবং কমন ক্রেইট সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সাপে কাটা রোগীর বেশিরভাগ এই সাপগুলোর কামড়েই আক্রান্ত হন। কমন ক্রেইট এমন সাপ যা বিছানায় ঢুকে কামড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে ঘরোয়া টোটকার উপর বেশি ভরসা রাখে মানুষ। অনেক সময় ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়। সাপে কামড়ালে কী কী করা উচিত, কী কী এড়িয়ে যাওয়া উচিত, সে সব জানার পাশপাশি কী সাপে কামড়েছে সেটা জানাও গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় ভয়ের চোটে সাপে কাটা রোগীর হার্টফেল করে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সাপের কামড়ে কেমন দাগ পড়েছে সেটা জানা জরুরী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কামড়ের জায়গায় যদি দুটি দাঁতের দাগ থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেই সাপ বিষাক্ত। যদি কোনও চিহ্ন না থাকে তাহলে সেই সাপ বিষধর নয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে অ্যান্টি ভেনমের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া বিষাক্ত সাপে কামড়ালে ওই স্থানে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও ফোলাভাব থাকতে পারে।
অনেক সময় ভয়ের চোটে সাপে কাটা রোগীর হার্টফেল করে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সাপের কামড়ে কেমন দাগ পড়েছে সেটা জানা জরুরী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কামড়ের জায়গায় যদি দুটি দাঁতের দাগ থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেই সাপ বিষাক্ত। যদি কোনও চিহ্ন না থাকে তাহলে সেই সাপ বিষধর নয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে অ্যান্টি ভেনমের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া বিষাক্ত সাপে কামড়ালে ওই স্থানে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও ফোলাভাব থাকতে পারে।
সাপে কামড়ালে কী কী করা উচিত: সাপে কাটা ব্যক্তিকে আরামদায়ক জায়গায় শুইয়ে দিতে হবে। ঘড়ি, আংটি, চুড়ি ইত্যাদি আঁটসাঁট জিনিস পরে থাকালে তৎক্ষণাৎ খুলে ফেলা উচিত। যেখানে সাপ কামড়েছে সেই জায়গা কাপড় দিয়ে হালকা করে বেঁধে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সাপে কাটা ব্যক্তি যেন ভয় না পান। তাঁকে শান্ত রাখাটাই সবচেয়ে বড় কাজ।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে অ্যান্টি ভেনম ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
সাপে কামড়ালে কী কী করা উচিত: সাপে কাটা ব্যক্তিকে আরামদায়ক জায়গায় শুইয়ে দিতে হবে। ঘড়ি, আংটি, চুড়ি ইত্যাদি আঁটসাঁট জিনিস পরে থাকালে তৎক্ষণাৎ খুলে ফেলা উচিত। যেখানে সাপ কামড়েছে সেই জায়গা কাপড় দিয়ে হালকা করে বেঁধে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সাপে কাটা ব্যক্তি যেন ভয় না পান। তাঁকে শান্ত রাখাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে অ্যান্টি ভেনম ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
কী কী করা উচিত নয়: আক্রান্ত স্থান আঁটসাঁট কাপড় বাঁধা চলবে না। চা, কফি, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কামড়ের জায়গায় ঠান্ডা বা গরম কিছু দেওয়া চলবে না। কামড়ের জায়গা হাত দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত নয়। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে ছেদ করে বিষ বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এটা মারাত্মক হতে পারে। চুষে বিষ বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। হু-র গাইডলাইন অনুযায়ী, কোবরার মতো সাপ কামড়ালে বমি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাম দিকে পাশ ফিরিয়ে শোয়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঘরে যাতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জায়গা থাকে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি না হয়।
কী কী করা উচিত নয়: আক্রান্ত স্থান আঁটসাঁট কাপড় বাঁধা চলবে না। চা, কফি, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কামড়ের জায়গায় ঠান্ডা বা গরম কিছু দেওয়া চলবে না। কামড়ের জায়গা হাত দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত নয়। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে ছেদ করে বিষ বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এটা মারাত্মক হতে পারে। চুষে বিষ বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। হু-র গাইডলাইন অনুযায়ী, কোবরার মতো সাপ কামড়ালে বমি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাম দিকে পাশ ফিরিয়ে শোয়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঘরে যাতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জায়গা থাকে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি না হয়।