South Bengal News: স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল স্ত্রী! তার জেরে ঘটল হাড়হিম করা কাণ্ড

দক্ষিণবঙ্গ: বেআইনি ভাবে পণের টাকা দাবি করা থেকে শুরু করে কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া  নিয়ে গঞ্জনা! সব কিছুই চলছিল৷ কিন্তু, তার পরেই সামনে এল স্বামীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ৷ এরপরেই উদ্ধার হল গৃহবধূর দেহ৷ গোটা ঘটনায় মৃতার স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে মৃতার পরিবার৷

অন্য কোনও রাজ্যে নয়, এ রাজ্যেই বর্ধমান শহরে ঘটেছে এমন নৃশংস ঘটনা। বাড়ির মধ্যেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই খুন করেছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের সদস্যদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহরে।

মৃত গৃহবধূর নাম পৃথী ঘোষ। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া মৃতার স্বামী। তার হদিস পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বর্ধমান থানার পুলিশ মৃত বধূর বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত গৃহবধূর শ্বশুরকে আটক করেছে। তাঁকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সার্ভার থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ ডেটা! OMR কাণ্ডে ফের তল্লাশি…তৎপর সিবিআই

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে বর্ধমান শহরের সুকান্তনগর এলাকার বাসিন্দা পার্থ ঘোষের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার হিজলনার পৃথী ঘোষের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে। বিয়ের সময় মোটা টাকা পণ চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, খাট, বিছানা, সোনার গয়না সহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হলেও সেই পণের টাকা নাকি দিতে পারেনি পৃথীর বাপের বাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, সেই কারণে কন্যাসন্তান জন্মানোর পর থেকেই ওই গৃহবধূর উপরে চরম মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল।

শুধু তাই নয়, পৃথীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, পার্থ একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেই বিষয়টি পৃথী জানতে পেরে যায়। সে কারণেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বলেও অভিযোগ পৃথীর পরিবারের।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিলেছে…কিন্তু তা-ও তৈরি হয়নি ৫৫ হাজার বাড়ি! রিপোর্ট পেয়েই নড়েচড়ে বসল নবান্ন

বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে ফোন করে বলা হয়, পৃথীর মৃত্যু হয়েছে। সেই খবর শুনে বর্ধমানের সুকান্তনগরের বাড়িতে যান তাঁরা। দেখেন, সিলিং থেকে ওড়না ঝুলছে। মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা মৃতদেহ শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ঘণ্টা দুই পরে পুলিশের আশ্বাস বিক্ষোভ থামে।