Tag Archives: Bardhaman

Lord Shiva Temple: বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দির! রোজ এখানে বহু মানুষ কেন ছুটে আসে জানেন? অবাক হবেন

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরে রয়েছে ১০৮ শিবমন্দির। কম বেশি অনেকেই এই মন্দিরের কথা জানেন। বছরের প্রায় প্রত্যেকদিনই দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা আসেন এই মন্দির দর্শনের জন্য। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন যাদের এই মন্দির সম্পর্কে সেই অর্থে কোনও ধারণা নেই। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, এই প্রতিবেদনে জানানো হবে ১০৮ শিবমন্দিরের বিস্তারিত। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকায় রয়েছে এই মন্দির।

নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করলেই চোখে পড়বে এই মন্দির। তবে যারা মোটর সাইকেল অথবা চারচাকা গাড়ি নিয়ে আসবেন , তারাও নিশ্চিন্তে আসতে পারেন। পার্কিং থেকে শুরু করে বিশ্রাম নেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে এই মন্দিরে। এই প্রসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে হরিহর দে বলেন , বর্ধমান স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির রয়েছে স্টেশন থেকে টোটো করে এই মন্দিরে আসা যাবে মন্দিরে পার্কিংয়ের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ঘরও রয়েছে।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই মাস্টারস্ট্রোক! কী ঘটতে চলেছে? সুজাতার প্রচারে বড় চমক

ভক্তদের পুজো দিতে কোনও অসুবিধা হবে না মন্দির প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মণ থাকেন। সকাল আটটা সময় এই মন্দির খোলা হয় এবং সন্ধ্যা আরতির পর আবার সন্ধ্যা আটটায় বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দির। মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুই টাকা দিতে হবে। যদিও এই টাকা মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার রাখার জন্য নেওয়া হয়।

মন্দিরে প্রবেশ করলেই আপনি সম্পূর্ণ ঘুরে মন্দিরগুলির দর্শন করতে পারবেন। পুজো দেওয়ার জন্য ফুল , ধুপকাঠি অথবা অন্যান্য সরঞ্জাম লাগলে তা পেয়ে যাবেন মন্দিরের মধ্যেই। এছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গণেই থাকবে পুরোহিত, পুজো দিতে কোনও সমস্যা হবে না। তবে যদি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে অনুষ্ঠান করে পুজো দিতে চান , তাহলে সেই ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে। এছাড়াও মন্দিরে বিশ্রাম নেওয়ার ঘরের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আরও পড়ুন: থাইরয়েডে কষ্ট পাচ্ছেন? এই ছয় ঘরোয়া উপাদানেই দূর হবে সমস্যা! জানুন কী করতে হবে

কিন্তু পুজোর আয়োজন এবং ঘরের জন্য ৮৬৫৩৩৭২০৮৮ অথবা ৮৬৫৩৫১২০৮৮ এই নাম্বারে ফোন করে আগে থেকে জানাতে হবে। বিশ্রাম নেওয়ার ঘরের ব্যবস্থা থাকলেও মন্দির প্রাঙ্গণে রাত্রী যাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই। এই মন্দির নামে ১০৮ হলেও আদতে রয়েছে ১০৯ টি শিব মন্দির। জপমালার মত ছড়িয়ে রয়েছে ১০৮টি শিব মন্দির এবং একটি রয়েছে কিছুটা দূরে।

বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকার এই শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের সারা বছরের ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন অনন্য এই স্থাপত্য শৈলির টানে। আজ থেকে ২৩০ বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় এই অনন্য স্থাপত্যটি নির্মাণ করেছিলেন বর্ধমানের তৎকালীন মহারানী বিষ্ণু কুমারী দেবী। ১৭৮৮ সালে এই মন্দির নির্মাণ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৭৯০ সালে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Madhyamik Result 2024: বাবার কোলে চড়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে যেত বিষ্ণু, মাধ্যমিকে তাক লাগানো সাফল্য, ফলাফল জানলে চমকে যাবেন

পূর্ব বর্ধমান: মনের জোরে পরীক্ষার ভয় আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করেছিল আগেই। আর এবার মাধ্যমিকে সফল পূর্ব বর্ধমানের বিশেষ ভাবে সক্ষম সেই পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক ২০২৪-এর ফলাফল। নিজেদের মেধার জোরে, মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অনেকেই। যে তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমান একাধিক পরীক্ষার্থীও। তবে পূর্ব বর্ধমান থেকেই সামনে এল আরও এক সফলতার গল্প। বাবার কোলে চড়ে পৌঁছেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে, মনের জোরে মাধ্যমিকে সফল বিষ্ণু বসাক।

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাট শিমলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণু বসাক। এই বিষ্ণু বসাক বাবার কোলে চেপে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল। সে পরীক্ষাও দিয়েছিল নিজের হাতে লিখেই। তবে বিষ্ণু কী উত্তীর্ণ হবে ? এই প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই। তাই ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিষ্ণুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় বিষ্ণু ভালভাবে পাস করেছে।

আরও পড়ুন-      শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিষ্ণুর বাবা মা জানিয়েছেন, বিষ্ণু হাঁটতে কিংবা দাঁড়াতে পারে না। ছোট থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গী তার। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তাকে কোলে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। আর ফল প্রকাশের পর সেই ছেলের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি বিষ্ণুর মা বাবা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। ৪২২ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে বিষ্ণু বসাক। বিষ্ণু নসরতপুর পারুল ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। শারীরিক অবস্থার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারত না সে। বাড়িতে বসেই পড়াশোনা করত বিষ্ণু। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুর বাবা বলেন, “কোলে করে টোটোতে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেতাম , আবার আমিই নিয়ে আসতাম। ও সবসময় বাড়িতেই বসে থাকত আর বই নিয়েই থাকত। একটা ঘরের মধ্যে বন্দী জীবন কাটিয়ে ও যে এত ভাল রেজাল্ট করেছে আমি অনেক খুশি হয়েছি।”

আরও পড়ুন-   সদ্যোজাত শিশুর কি AC-তে ঘুমানো উচিত? ৯০% বাবা-মায়েরা এই ভুলটাই করে, এখনই সতর্ক না হলে ঘনঘন অসুস্থ হবে আপনার সন্তান

ঘরবন্দী অবস্থার মধ্যেও মনের জোরকে হাতিয়ার করে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে বিষ্ণু। তার মায়ের কথায়, ছেলে সারাদিন ঘরেই থাকত। নিজের মত করেই পড়াশোনা করত। এই প্রসঙ্গে তার মা আরও জানান, “ও পাস করবে সেটা জানতাম তবে এত ভাল ফলাফল করবে সেটা আশা করিনি। আমাদের খুবই ভাল লাগছে ও যতটা পড়তে চায় আমরা পড়ানোর চেষ্টা করব।”

জানা গিয়েছে, মোট তিনজন গৃহশিক্ষক ছিল বিষ্ণুর। সারাদিন ঘরে বই নিয়েই থাকত সে। অবসরে টিভির পর্দায় চোখ রাখত কখনও কখনও। নিজের মনের জোরে ছেলে এত ভাল ফল করায় কার্যত আপ্লুত তার মা বাবা। বিষ্ণুর বাবা তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।তার মাও বাড়ির কাজ সামলে হাত লাগান সেই কাজে। আগামী দিনেও বিষ্ণু তার পড়াশোনা চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে তার বাবা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bardhaman Zoo: কেউ খাচ্ছে তরমুজ, কেউ ORS ! গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: কেউ খাচ্ছে তরমুজ। কেউ ওআরএস। কেউ কেউ আবার স্নান করছে পরম আনন্দে। এই জ্বালাপোড়া গরমে অতিষ্ঠ বর্ধমানের রমণাবাগান অভয়ারণ্যের পশুপাখিরা। তাদের সুস্থ রাখতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর।

তীব্র দাবদাহে নাজেহাল বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্তুরা। তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস। চিতাবাঘ, ভাল্লুককে ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে। রয়েছে বড় ফ্যানের ব্যবস্থাও। এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খড়ের ছাউনি। খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার। কিছু সময় অন্তর জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে।

আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন।চলতি গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়তেই গরম হওয়া বইছে। আগামী কয়েকদিন একই রকম দাবদাহ বজায় থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ।

বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক। এখানে চিতাবাঘ থেকে ভাল্লুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে।

এই সমস্ত প্রাণীদের গরম থেকে স্বস্তি দিতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন।

আরও পড়ুন– পরিচালকের কথায় গভীর রাতে হোটেলের ঘরে যাননি বলে একটি ছবির নায়িকা হওয়া ভাগ্যে জোটেনি ! ‘বিস্ফোরক’ তথ্য অভিনেত্রীর

জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধরী বলেন, এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে সমস্ত পশু পাখিদের। শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের। পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়। এনক্লোজারের ভিতরে স্প্রিঙ্কলার মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের ভেতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। যাতে কুমিরদের কোনও সমস্যা না হয়।

ভাল্লুকের খাঁচায় বড় ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভাল্লুকের প্রধান খাদ্য মধুর পরিমাণ কমিয়ে তরমুজ বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যান্য পশুদের জন্যও খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বক্ষণ সমস্ত পশু পাখিদের ওপর নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রমনাবাগান জু – এ সমস্ত বন্যপ্রাণী সুস্থ রয়েছে। গরমের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত আগামী কিছুদিন তীক্ষ্ণ নজরদারি রাখা হবে পশুদের উপর।

Bardhaman News: মাঠ নিয়ে তুমুল চাপানউতোর, বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর সভা কোথায় হচ্ছে ?

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ নিয়ে বুধবার বর্ধমানে তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক চাপানউতোর। বর্ধমানের গোদার মাঠে এই সভা করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সেই মাঠ ব্যবহারের অনুমোদন দেয় নি। রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট হয়েই বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা এই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাহলে প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন কোন মাঠে ?

৩ মে শুক্রবার বর্ধমানে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই একই দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় কর্মসূচি রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই দিন সমুদ্রগড় ও বর্ধমানের রায়নার আলমপুরে জনসভা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য বর্ধমান শহরে নবাবহাটের কাছে গোদা মাঠ চিহ্নিত করে বিজেপি। ওই মাঠ ব্যবহারের জন্য বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে লিখিত আবেদন জানায় বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। ওই মাঠের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সরকারি ওই মাঠ রাজনৈতিক সভার জন্য ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তা নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আরও পড়ুন– কেউ খাচ্ছে তরমুজ, কেউ ORS ! গরমে বন্যপ্রাণীদের জন্য নানা ব্যবস্থা বন দফতরের

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই মাঠে বারে বারে সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য সেই মাঠ দেওয়া হবে না কেন? ’’

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত জানান, ‘‘ওটি একটি সরকারি মাঠ। সেই সরকারি মাঠ শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠানের জন্যই ব্যবহার করা যায়। এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মাঠে প্রশাসনিক সভা করেছেন। রাজনৈতিক সভা করার জন্য ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি আমরা দিচ্ছি না।’’

আরও পড়ুন- এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?

এ ব্যাপারে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার নামে কি হয় তা আমাদের জানা আছে। প্রশাসনিক সভাযর ব্যানার টাঙিয়ে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানান কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ ওরা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার কথা ভেবেই এই মাঠ প্রধানমন্ত্রী সভা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। পাশেই জাতীয় সড়ক এবং জি টি রোড। বিভিন্ন গাড়ি সহজেই দাঁড় করানো যেত। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য একসঙ্গে তিনটি হেলিকপ্টার নামবে। সেই জন্য প্রয়োজনীয় জমি এখানে ছিল। কিন্তু বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা এই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় বিকল্প মাঠের কথা ভাবতে হয়েছে। বর্ধমান শহর থেকে কিছুটা দূরে তালিতে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সাই-এর মাঠকে প্রধানমন্ত্রী সভার জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেখানেই ৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা হবে। সেই অনুযায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে এই মাঠে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Lok Sabha Election 2024: প্রচারে বেরিয়ে একী করে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী! জানলে অবাক হবেন

পূর্ব বর্ধমান: প্রচারে বেরিয়ে পুজোর রান্নার কাজে হাত লাগালেন বর্ধমান পূর্বের জোড়া ফুল প্রার্থী।সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক দলীয় নেতা কর্মী ও এলাকার বিধায়ক। মঙ্গলবার এমনই ছবি ধরা পড়ল আপূর্ব বর্ধমানের পুর্বস্থলীতে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন, তার পরেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা শুরু করেছে জন সংযোগ। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই মাঠে নেমেছে দলীয় প্রার্থীরা।

প্রচারে বেরিয়ে বিভিন্ন কাজে হাত লাগাতেও দেখা গিয়েছে তাদের। এবারও সেই ছবিই দেখা গেলপূর্ব বর্ধমান জেলায়। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের এবারের তৃণমূল প্রার্থী ডঃ শর্মিলা সরকার। প্রচারে বেরিয়ে তাকে এবার দেখা গেলো পুজোর রান্নার কাজে হাত লাগাতে। মঙ্গলবার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদিক পাড়া এলাকায়, বুড়ো মা দক্ষিণা কালীর পুজোয় হাজির হনশর্মিলা সরকার। বুড়ো কালীর কাছে পুজো দিতে দেখা যায় তাকে। এবং সেখানেই ঠাকুরের ভোগ রান্নার জন্য যে উনুন রয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে উনুন ধরানোর কাজে হাত লাগান তিনি। শর্মিলা সরকারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তপন চ্যাটার্জী।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বুড়ো কালী মন্দিরে বাৎসরিক অনুষ্ঠান আছে। এখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। প্রার্থীও এখানে এসেছিলেন।”প্রসঙ্গত পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বৈদিক পাড়া এলাকায় বুড়ো মা দক্ষিণা কালীর পুজোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভক্ত সমাগম মঙ্গলবার সকাল থেকেই। মঙ্গলবার সকালে কাস্টশালীর গঙ্গার ঘাট থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এই শোভাযাত্রায় প্রায় ৫ হাজারের উপর ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। মন্দিরে এক পুরোহিতের কথায়, শুধু পূর্বস্থলীর বাসিন্দারাই নয়, ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা হাজির হন এই বুড়ো মা পুজোকে কেন্দ্র করে।

আরও পড়ুন: গরমে কড়া করে মাছ ভেজে খাচ্ছেন? বড় ক্ষতি! জানুন কীভাবে মাছ খাবেন

বুড়ো মায়ের মন্দিরের এই বাৎসরিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন বর্তমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শর্মিলা সরকার। তিনিও এখানে এসে পুজো দেন, আর এরপরই তিনি জনসংযোগ করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

প্রচারে বেরিয়ে বড় চমক দিলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ

প্রচার চলাকালীন বৃদ্ধা মহিলাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে এবং হাত জোড় করে নমস্কার করতেও দেখা যায় কীর্তি আজাদকে। একইসঙ্গে প্রচারে চমকও দিলেন তৃণমূল প্রার্থী।

দলীয় পতাকা নিয়ে নাচ, বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটারকে দেখতে ভিড় বর্ধমানে

বর্ধমান:  রবিবারে জমজমাট প্রচার। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রে। দলীয় পতাকা নিয়ে মাদলের সঙ্গে জমিয়ে নাচলেন তিনি।

দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থক, বিধায়কের উপস্থিতিতে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাট গোবিন্দপুরে জোরদার প্রচার করেন তিনি। প্রচারের শেষ লগ্নে দলীয় পতাকা হাতে বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা গেল কীর্তি আজাদকে। একই সাথে মাদলও বাজালেন তিনি।

দলীয় পতাকা হাতে এই রকম নাচ কেন? কীর্তি আজাদ জানান, ইয়ে দিদি কা ঝান্ডা হে, জো হর বকত লহেরানা চাহিয়ে। তার পরই তাঁর জবাব, পার্টির ঝান্ডা, কর্মীদের উৎসাহ ও আদিবাসী বোনেরা যখন সঙ্গে আছে, বাজনা বাজছে তখন নাচতে মন চায়।

আরও পড়ুন- ট্রাফিক যতই থাক, ভুলেও ‘এই’ কাজগুলো করা চলবে না, করলেই গাড়ি একেবারে নষ্ট

পাশাপাশি মিছিল চলাকালীন এক পুলিশ কর্মীর ভুড়ি দেখে তাঁকে ফিটনেস ঠিক রাখার পরামর্শও দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ফিটনেস রাখার জন্য সবাইকে বলি। ফিটনেস থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, মাথা ভাল কাজ করবে, উজ্জীবিত থাকবেন, কাজে মন পাবেন। আমি পুলিশ কর্মীকে বলেছি আমার সাথে প্রতিদিন চলো, আমি ফিট করে দেব।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী, কীর্তি আজাদ বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাটগোবিন্দপুরে যান জনসংযোগ ও প্রচারে। সেখানে বড় কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রথমে দলীয় বৈঠক করেন। তার পর কলেজ মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত জনসংযোগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক, ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার,যুব সভাপতি সৌভিক পান সহ অনান্যরা।

প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার দিনই বর্ধমানে এসে দলীয় নেতৃত্বে সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এর পর বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে পুজো দেন। সেদিন নিজের নামে দেওয়াল লিখন করেছিলেন কীর্তি।

আরও পড়ুন- পেট্রোল গাড়িতে ডিজেল ঢেলে ফেললে কী হতে পারে? এমন ভুলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড হবে

এর পর বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলতে নামেন বিশ্বকাপ জয়ী জাতীয় দলের এই প্রাক্তন সদস্য। এরপর কয়েক দিন দুর্গাপুরে প্রচার সেরে রবিবার বর্ধমানে আছেন কীর্তি আজাদ। অনেকের সঙ্গে ভাঙা ভাঙা বাংলাতেও কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের বলেন, আর একমাসে বাংলা অনেকটাই শিখে যাব।

East Bardhaman News: আলুর পরোটার জন্য বিখ্যাত এই ধাবা, দূর-দূরান্ত থেকে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়, কোথায় জানেন?

পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যস্ততম রাস্তা হল কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তা। জেলার বিভিন্ন সদর দফতর রয়েছে বর্ধমান শহরেই। যেকারণে প্রত্যেকদিনই বহু জনকে বিভিন্ন কারণে যেতে হয় বর্ধমান। কাটোয়া - বর্ধমান রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন কারণে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যেতে হয় মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার বহু মানুষকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যস্ততম রাস্তা হল কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তা। জেলার বিভিন্ন সদর দফতর রয়েছে বর্ধমান শহরেই। যে কারণে প্রত্যেকদিনই বহু জনকে বিভিন্ন কারণে যেতে হয় বর্ধমান। কাটোয়া – বর্ধমান রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন কারণে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যেতে হয় মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার বহু মানুষকে।
তবে এই কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যারা যাতায়াত করেন তাঁদের খাবার খাওয়ায় জন্য কোনও না কোনও জায়গায় একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। এই প্রতিবেদনে সেরকমই কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তায় খাবার খাওয়ার একটি আদর্শ জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে।
তবে এই কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যারা যাতায়াত করেন তাঁদের খাবার খাওয়ায় জন্য কোনও না কোনও জায়গায় একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। এই প্রতিবেদনে সেরকমই কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তায় খাবার খাওয়ার একটি আদর্শ জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে।
এই রোডেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় ধাবা। বর্ধমান রোডে যাতায়াত করেছেন অথচ এই ধাবায় আসেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার দু’ধারে বেশ কয়েকটি ধাবা থাকলেও , এই রাস্তায় অবস্থিত তিরুপতি ধাবার জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায়।
এই রোডেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় ধাবা। বর্ধমান রোডে যাতায়াত করেছেন অথচ এই ধাবায় আসেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার দু’ধারে বেশ কয়েকটি ধাবা থাকলেও , এই রাস্তায় অবস্থিত তিরুপতি ধাবার জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায়।
এই তিরুপতি ধাবায় বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ রকমের পদ দিয়ে পাওয়া যায় সাজানো ভাতের থালি।
এই তিরুপতি ধাবায় বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ রকমের পদ দিয়ে পাওয়া যায় সাজানো ভাতের থালি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ধাবায় খাবার খাওয়ার জন্য ভিড় জমান। জানা গিয়েছে এই ধাবার সবথেকে বিশেষ খাবার হল আলুর পরোটা। এই আলুর পরোটা খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ধাবায় খাবার খাওয়ার জন্য ভিড় জমান। জানা গিয়েছে এই ধাবার সবথেকে বিশেষ খাবার হল আলুর পরোটা। এই আলুর পরোটা খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।
কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যদি কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়া হয়, তাহলে নিগন বাসস্ট্যান্ডের পরেই রাস্তার বামদিকে পড়বে এই তিরুপতি ধাবা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই ধাবা খোলা থাকে।
কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যদি কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়া হয়, তাহলে নিগন বাসস্ট্যান্ডের পরেই রাস্তার বামদিকে পড়বে এই তিরুপতি ধাবা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই ধাবা খোলা থাকে।

উদ্ধার প্রচুর হরিণের শিং ! ক্রেতা সেজে বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর, গ্রেফতার ৫

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: পাচার করা হচ্ছিল হরিণের সিং! ক্রেতা সেজে তা বাজেয়াপ্ত করল বনদফতর ও ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। জামালপুর থানা এলাকার কুলীন গ্রামে পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়িতে এনে রাখা হয়েছিল সিংগুলি। ৫ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন এগুলো বাইরে থেকে নিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড বা বিহার থেকে এই সিং-গুলি নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক সম্বর হরিণের শিং। ২০ পিস টুকরো রয়েছে। তবে কটা হরিণের শিং এখনই বলা যাবে না। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২ জন আসানসোলের বাসিন্দা বলে ধৃতরা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন– মঙ্গলবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, আজ আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

বন দফতরের বর্ধমান বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সোমনাথ চৌধুরী জানান, ‘‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ইস্টার্ন রিজিয়নের কলকাতা অফিসের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার থেকে এই সামগ্রী বর্ধমানের জৌগ্রামে আসার কথা রয়েছে বলে খবর আসে। সেই সূত্র অনুযায়ী বুধবার থেকেই তাঁরা তৈরি ছিলেন। বুধবার কুলীন গ্রামে বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫ টায় ঢোকে পাচারকারীরা। আমাদের দু’জন স্টাফ পরিচয় গোপন করে ক্রেতা হিসেবে দাম দর করতে শুরু করেন। কাল রাত হয়ে যাওয়ায় অপারেশন হয়নি। আজ সকাল থেকে অপারেশন হয়।’’

আরও পড়ুন-  রাশিফল ১৫ মার্চ; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

ধৃতদের মধ্যে ৩ জন জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাকি ২ জন আসানসোলের বাসিন্দা বলে ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে। তবে ঠিকানা এখনও খতিয়ে দেখা হয়নি। এই ২ জন প্রধানত বন্যপ্রান সংক্রান্ত অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে আসানসোল-বার্নপুর রোডের বাসিন্দা শরদ কুমার সিনহা, আসানসোলের চাঁদা মোড়ের বাসিন্দা নয়ন কান্তি বাউড়ি, জৌগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়, শংকর তালুকদার এবং সুশান্ত তালুকদার। সোমনাথবাবু জানিয়েছেন, সাধারণত ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেই এগুলি ব্যবহৃত হয়। তবে কেন এবং কোথায় তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Maha Shivratri 2024: শিবরাত্রি উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ঢল বর্ধমানের একশো আট শিবমন্দিরে, বসেছে মেলা

বর্ধমান: শিবরাত্রিতে দর্শনার্থীদের ঢল বর্ধমানের একশো আট শিবমন্দিরে। বাহারি ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির চত্বর। চলছে নানান অনুষ্ঠান। বিশাল মেলাও বসেছে শিবরাত্রি উপলক্ষে। শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন, ভিন রাজ্য থেকেও আসছেন পুণ্যার্থীরা।

দেশের জাগ্রত শিব মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের একশো আট শিব মন্দির। শিবরাত্রি উপলক্ষে সেজে উঠেছে মন্দির চত্বর। অন্যান্যবারের মতো এবারও অগণিত ভক্ত সমাগম হচ্ছে। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এই মন্দিরে। অনেকেই চার ধাম দর্শনে বেরিয়ে বর্ধমানের এই মন্দিরে আসেন। শিবরাত্রি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে। মেলা বসে।

পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাট  অঞ্চলে অবস্থিত রাজ আমলের তৈরি একশো আট শিব মন্দির। আজ থেকে ২০০ বছরেরও বেশি আগে বর্ধমানের রাজমহিষী, রাজা তিলকচাঁদের পত্নী বিষ্ণুকুমারীর সাধ হয়েছিল শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করার। শোনা যায় ‘দশনামী’ শৈব সম্প্রদায় ছিল তাঁর মূল অনুপ্রেরণা। সেই ইতিহাসের সাক্ষী এই অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শন একশো আট শিবমন্দির।

আরও পড়ুন: বলুন তো বিশ্বের সবথেকে ‘বেশি’ বয়সি মা কে? আছেন এই ভারতেই…! কত বয়সে জন্ম দিলেন যমজ কন্যার? চমকে যাবেন উত্তর শুনলে!

বর্ধমান রাজপরিবারের উল্লেখযোগ্য দুই কীর্তি হল কালনার গঙ্গাতীরে একশো আট শিবমন্দির আর নবাবহাটের এই একশো আট শিবমন্দির। ৭১০ শকাব্দে বা ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল। ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়ে ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এই মন্দির বিষ্ণুকুমারীর পরিকল্পনার ফসল। তাঁর ইচ্ছে ছিল তিনি জপমালার আদলে মন্দির নির্মাণ করবেন। জপমালায় যেমন ১০৮টি পুঁথি থাকে এবং থাকে অতিরিক্ত পুঁথি বা মেরু, তেমনই এই মন্দির। বালেশ্বরের মন্দিরের আটচালার নকশার অনুকরণে নবাবহাটের ১০৮ শিবমন্দির তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চুম্বকের মতো টানবে টাকা! সংসার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে! বাথরুমে ‘এইভাবে’ রাখুন এক বাটি মসলা! দেখুন রেজাল্ট

প্রতিটি মন্দিরের আয়তন ১০ বাই ১০ এবং উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। একই রীতিতে নির্মিত মন্দিরগুলি।এই আয়তাকার মন্দিরে প্রবেশের দরজা পশ্চিম দিকে, পূর্ব দিকের কিছু দূরে আয়তক্ষেত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করা ১টি ছোট অর্থাৎ ১০৯তম মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল মেরুকে প্রদক্ষিণ করার জন্য। আয়তক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে বাগান, দুটি প্রশস্ত সরোবর।

রানি বিষ্ণুকুমারী স্বপ্ন দেখেন একটি রমণীয় স্থানে বহু মন্দিরের সমাবেশ। সেখানে তিনি শিবপুজো করছেন। সেই স্বপ্নে দেখা মন্দিরকেই তিনি নবাবহাটে শ্রীকান্ত তর্কালঙ্কার শ্লোক অনুযায়ী ১০৯টি শিব মন্দির স্থাপন করে সেখানে লক্ষাধিক ব্রাহ্মণকে সমবেত করেছিলেন। মহারানি বিষ্ণুকুমারী বিশ্বাস করতেন, প্রথম মন্দির থেকে শেষ মন্দির পর্যন্ত পরিক্রমা করলে, তা ১০৮ বার মন্ত্র উচ্চারণ করার চেয়ে বেশি ফলদায়ক। এখানে প্রতিবছর শিব চতুর্দশীতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পুজো ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।