প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন কমল হাসান এবং সিদ্ধার্থ। আর এটা সম্ভব করেছে ‘হিন্দুস্তানি ২’ ছবি। সবথেকে মজার বিষয় হল এই ছবির প্রিক্যুয়েল মুক্তি পেয়েছিল ২৮ বছর আগে। আর ‘হিন্দুস্তানি ২’ ছবিতে সিদ্ধার্থকে যে চরিত্রটিতে দেখা যাবে, সেই চরিত্রটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য লড়াই করবেন। কিছু সময় আগে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিদ্ধার্থ। আর সুপারস্টার কমল হাসানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর কাছে বিষয়টা যেন ঐশ্বরিক। এমনকী অভিনেতা এ-ও জানান যে, এটা তাঁর অতীতের কাজের পুণ্যের ফল।
এবার News18 Showsha-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ জানালেন, কীভাবে তিনি এবং তাঁর প্রজন্মের অভিনেতারা কমল হাসান এবং রজনীকান্তের মতো কিংবদন্তি তারকাদের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। এমনকী তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের নেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথাও তুলে ধরেছেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতার কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে রজনী স্যার এবং কমল স্যার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেটা তাঁরা আজও মেনে চলছেন। আসলে তাঁরা অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, পান মশলা এবং এই ধরনের পণ্যের সারোগেট অ্যাডভার্টাইজিংকে সমর্থন করেন না।”
‘রঙ দে বসন্তী’ অভিনেতা আরও বলেন যে, “যদি তাঁরা এমনটা করতেন, তাহলে দক্ষিণে অন্যান্যরাও সেটা করতেন। কিন্তু কেউ এটা করেন না, কারণ তাঁরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এমন দুই কিংবদন্তি থাকায় আমরা ভীষণই গর্বিত। কারণ তাঁরা এমন দুই ব্যক্তিত্ব, যাঁরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন।”
‘বয়েজ’-এর প্রায় ২১ বছর পরে ‘হিন্দুস্তানি ২’ ছবির হাত ধরে একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন পরিচালক এস শঙ্কর এবং সিদ্ধার্থ। আসলে ‘বয়েজ’ ছবির হাত ধরেই ডেবিউ করেছিলেন সিদ্ধার্থ। ফলে আরও একবার এস শঙ্করের পরিচালনায় কাজ করতে পেরে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। কারণ এই পরিচালকের পরিচালনাতেই তৈরি হয়েছিল দু’টি বড় ছবি ‘হিন্দুস্তানি’ এবং ‘রোবট’। যেখানে অভিনয় করেছেন কমল হাসান এবং রজনীকান্ত। সিদ্ধার্থের বক্তব্য, “যে বিষয়টা তাঁদের একসঙ্গে আনছে, সেটাই হলেন শঙ্কর স্যার। তাঁরা দু’জনেই শঙ্কর স্য়ারকে পাচ্ছেন এবং শঙ্কর স্যার পাচ্ছেন তাঁদের। আর শঙ্কর স্যারও ওঁদের দুজনকে নিখুঁত ভাবে ব্যবহার করেছেন।
পরিচালক প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থ জানান, “আমি নিজের জীবনে ২০০ দিনেরও বেশি শঙ্করের সঙ্গে সেটে থাকার সম্মান পেয়েছি। আর আমার প্রথম ছবি থেকে এখন আমার ৩৮-তম ছবি পর্যন্ত আমি কখনওই তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখিনি। আমি যদি ওঁর জায়গায় থাকতাম, তাহলে হয়তো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আমার নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে যেত।”