শুক্রবার অর্থাৎ ১২ জুলাই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট। জানলে অবাক হবেন যে অনন্ত-রাধিকার প্রেমকাহিনিও কিন্তু আদতে বলিউডের রোম্যান্টিক ফিল্মের থেকে কোনও অংশে কম নয়।একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ছোটবেলা থেকেই তাঁদের মধ্যে লালিত হয়েছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক।যদিও দুই পরিবারের তরফে অনন্ত-রাধিকার প্রেমকাহিনি নিয়ে তেমন কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে প্রায় বছর ছয়েক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সাল নাগাদ অনন্ত এবং রাধিকার প্রেমের সম্পর্কের কথা লোকচক্ষুর সামনে এসে পরে।আসলে ওই বছরেই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, একে অপরের চোখে যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেছেন অনন্ত-রাধিকা!যদিও সেই সময় প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দেননি অনন্ত কিংবা রাধিকাও। তবে আম্বানি পরিবারের একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যেত রাধিকাকে।এমনকী ২০১৮ সালে ইশা আম্বানি এবং আনন্দ পিরামলের বিয়েতে, আবার ২০১৯ সালে আকাশ আম্বানি এবং শ্লোকা মেহতার বিয়েতেও উপস্থিত ছিলেন রাধিকা।প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানের নাথদ্বারার শ্রীনাথজি মন্দিরে অনন্ত এবং রাধিকার রোকা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি সম্পন্ন হয়েছিল তাঁদের গোলধানা অনুষ্ঠান। আম্বানি পরিবারের বাসভবন অ্যান্টিলিয়াতেই অনন্ত-রাধিকার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের নামীদামি ব্যক্তিত্বরা।এই অতিথি তালিকায় ছিলেন শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর, শ্রেয়া ঘোষাল, রাজকুমার হিরানি এবং বিধু বিনোদ চোপড়া।শুক্রবার অনন্ত-রাধিকার বিবাহ উৎসবে সামিল হতে চলেছেন গোটা বিশ্বের রাজনীতি, ব্যবসা এবং শিল্পক্ষেত্রের নামীদামি ব্যক্তিত্বরা। জমকালো এই বিবাহে উপস্থিত থাকতে চলেছেন নামীদামি, দক্ষ শিক্ষাবিদ, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক এবং চিকিৎসকেরাও।আর বছরের পর বছর ধরে রিলায়েন্স এবং আম্বানিরা যে বুদ্ধিবৃত্তীয় আর বৈজ্ঞানিক সম্পর্কের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন, সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে।এই বিবাহ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মুকেশ আম্বানির আহ্বায়ক ক্ষমতার একটি প্রমাণও হতে চলেছে। যিনি ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
