মৃত রেলকর্মী।

North East frontier Railway: সীমান্ত রেলের কল্যাণে অর্থনৈতিক সূচকের বদল ঘটছে পণ্য পরিবহণে! গত বছরের তুলনায় কত বাড়ল?

কলকাতা: লোডিঙ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে। চলতি বছর জুন মাসে ০.৮৩৩ মিলিয়ন টন পণ্যসামগ্রী লোড করা হয়েছে। অন্যান্য সামগ্রী সহ ভাল মানের কন্টেনার, পি.ও.এল, সার, সিমেন্ট, খাদ্যশস্য লোডিংইয়ের অগ্রগতি নথিভুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। সিমেন্টের লোডিং ২০২৩ সালের জুন মাসে ০.০০১ মিলিয়ন টন ছিল। সেটিই ২০২৪ সালের জুন মাসে বেড়ে হয়েছে ০.০৩২ মিলিয়ন টন। সার লোডিঙ গত বছর ছিল ০.০১১ মিলিয়ন টন, সেটিই এ বছর জুন মাসে বেড়ে হয়েছে ০.০২২ মিলিয়ন টন। খাদ্যশস্য লোডিঙে ২০২৩-এর জুন মাসে ০.১২৬ মিলিয়ন টন থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসে বেড়ে ০.২৫৪ মিলিয়ন টন হয়েছে।

সব মিলিয়ে, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে জুন ২০২৩ সালের তুলনায় জুন ২০২৪ সালে মোট ২০.১% মার্জিনসহ উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে। শুধু লোডিংইয়ে নয়, পণ্য আনলোডিংইয়েও উন্নতি অব্যাহত রেখেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। এপ্রিল মাসে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা ১১৩০টি পণ্যবাহী রেক আনলোড করা হয়েছে। তাতে এফসিআই চাল, চিনি, লবণ, খাদ্য উপযোগী তেল, সার, সিমেন্ট, কয়লা, সবজি, অটো, ট্যাঙ্ক মতো পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী একই মাসে পরিবহণ করেছে এবং নিজস্ব অধিক্ষেত্রের অধীনে বিভিন্ন গুডস শেডে সেগুলি আনলোড করেছে। এপ্রিল, ২০২৪ সালে অসমে পণ্যবাহী ট্রেনের ৫৪০টি রেক আনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩৫টি রেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী লোড ছিল।

আরও পড়ুন- ভোররাতে আইসক্রিমের গোডাউনে আগুন! দাউদাউ জ্বলছে যশোর রোড, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দমকল

এপ্রিলে ত্রিপুরায় ২৫টি রেক, নাগাল্যান্ডে ১৮টি রেক, অরুণাচল প্রদেশে ৯টি রেক, মণিপুরে ৩টি রেক এবং মিজোরামে ৫টি রেক আনলোড করা হয়। এছাড়াও, একই মাসে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৭৬টি পণ্য রেক ও বিহারে ৬৯টি পণ্য রেক আনলোড করা হয়। কেবল সাধারণ মানুষের অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্যই নয়, সেই অঞ্চলের স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ গতিশীল ও বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অন্যান্য পণ্যগুলি নিয়মিত পরিবহন করা হচ্ছে। মাল লোডিংয়ের অগ্রগতি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য রাজস্ব উৎপন্ন হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পণ্যলোডিং বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি থেকে সমগ্র এলাকার অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়। যা বেশ আশানুরূপ বলেই মনে করছেন রেলের কর্মকর্তারা।