প্রায় ৫৮৬ ফুট গভীর গুহার গহ্বরের নিকষ অন্ধকার চিরে নামছে ক্যামেরা; ভাইরাল ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখে আতঙ্কিত নেটিজেনরাও

প্রায় ৫৮৬ ফুট গভীর গুহার গহ্বরের নিকষ অন্ধকার চিরে নামছে ক্যামেরা; ভাইরাল ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখে আতঙ্কিত নেটিজেনরাও

গভীর কোনও গহ্বর বা গুহায় যেতে সাধারণত ভয় লাগে। কারণ সেখানে পৌঁছনোর পথ বড়ই ভয়ঙ্কর! এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ সেখানে পৌঁছতে পারে না। কিন্তু রোমাঞ্চপ্রেমী মানুষেরা অবশ্যই এই পথে যেতেই পছন্দ করেন। আবার কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা এই গুহাগুলিতে পৌঁছনোটাকে সাহসিকতার প্রতীক বলে মনে করেন। আর এই ক্যাটাগরিতে পড়েন অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুইন্স কেভ রিসার্চ টিম নামের ইউটিউব চ্যানেলের সদস্যরা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউটিউবার নেট এবং বেন তাঁদের চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। আসলে তাঁরা আমেরিকার গভীরতম গুহাগুলির মধ্যে অন্যতম এলিসন গুহায় একটি GoPro ক্যামেরা পাঠিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- কলকাতা জুড়ে চলছে ৮,০৫৫ কোটি টাকার খাবারের ব্যবসা, ইন্ডিয়া ফুড সার্ভিসেস রিপোর্টে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের বিশদ চিত্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার ৫৮৬ ফুট গভীর এলিসন গুহার গহ্বরের অংশের দুর্ধর্ষ ভিডিও পাওয়া গিয়েছে GoPro ক্যামেরা থেকে। যা দেখলে অধিকাংশ মানুষের শিরদাঁড়া দিয়েই হিমশীতল স্রোত নামতে বাধ্য! পৃথিবীর পৃষ্ণতল থেকে ৫৮৬ ফুট পর্যন্ত গভীরে ক্যামেরাটি পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল। অর্থাৎ গুহার একেবারে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছেছিল ক্যামেরা। বলে রাখা ভাল যে, এই গুহার গভীরতা স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দৈর্ঘ্যের দ্বিগুণ। কিন্তু কীভাবে ক্যামেরা পাঠানো হল? দুই ইউটিউবার গুহার গহ্বরে ক্যামেরাটি ছেড়ে দিয়েছিলেন একটি লম্বা দড়ির সাহায্যে। আর ওই দড়িটি ছিল ইলেকট্রিক ড্রিলের সঙ্গে জড়ানো। ক্যামেরা যত নিচে যাচ্ছিল, ততই ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। কিছু কিছু জায়গায় সংকীর্ণ ঝিল্লিও ভেসে উঠছিল।

আরও পড়ুন– মদের নেশা কাটাতে তেঁতুল কিংবা লেবুর রস খাচ্ছেন? এটা একেবারেই ভুল, উল্টে খাওয়া উচিত ফ্রিজে থাকা এই খাবার; বলছেন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ

অন্ধকারের বুক চিরে ক্যামেরা নীচে নামার সঙ্গে সঙ্গে টেনশনও পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। মনে হচ্ছিল যেন, এই বুঝি কিছু বেরিয়ে এল! সেই সঙ্গে একটা দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাও হচ্ছিল। এই ভিডিও-র ভিউ ৭ লক্ষেরও বেশি। এমনকী, হাজার হাজার মানুষের মন্তব্য জমা পড়েছে কমেন্ট বাক্সে। কিছু নেটিজেনের দাবি, ক্যামেরা যখন নীচে যাচ্ছে, তখন তাঁরা অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছেন। একজনের দাবি, তিনি না কি পাথরের ভিতরে মানুষের অবয়ব দেখতে পেয়েছেন।