দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্স৷

Keshpur road accident: লরি-অ্যাম্বুল্যান্স মুখোমুখি সংঘর্ষ, কেশপুরে নিহত ৬! বিয়ের একমাসের মধ্যেই শেষ সংসার

কেশপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৬ জনের৷ গুরুতর আহত আরও অন্তত ২ জন৷ ঘাটাল থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুরের দিকে আসার পথে কেশপুরের কাছে পঞ্চমী এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে সিমেন্ট বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ মৃতরা প্রত্যেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরেরই চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা৷ মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছেন৷

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ক্ষীরপাই থেকে রোগী নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দিকে আসছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি৷ লরিটি যাচ্ছিল কেশপুরের দিকে৷ মেদিনীপুরগামী রাজ্য সড়কের উপরেই লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অ্যাম্বুল্যান্সের৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশপুর থানার পুলিশ৷ ঘটনাস্থলে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারও৷ আহতদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়৷

আরও পড়ুন: গণধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, ফিরে এল পরিত্যক্ত সন্তান! তিরিশ বছর পর বিচার পেলেন মা

দুর্ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা পাঁচ জনের মৃত্যু হয়৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷

এই দুর্ঘটনার খবর আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্ষীরপাই এলাকায়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্ষীরপাই পুরসভার কাশিগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামাপদ বাগের(২৫) সঙ্গে একমাস আগে বিয়ে হয় কেশপুরের নেড়াদৌড়ের ভগবানচক এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা (২৫) নামে এক তরুণীর। হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে শ্যামাপদের স্ত্রী অপর্ণার পেটের যন্ত্রণা শুরু হলে প্রথমে তাকে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে ঘাটাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

শনিবার গভীর রাতে ঘাটাল হাসপাতালে অপর্ণার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে অপর্ণার স্বামী সহ শ্যামচক গ্রামের বাপের বাড়ি সদস্যরা অপর্ণাকে ঘাটাল হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন। মাঝপথে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অপর্ণা ও অ্যাম্বুল্যান্সের চালক।

প্রতিবেদন- শোভন দাস ও সুকান্ত চক্রবর্তী