শুধু তাই নয়, ভারতীয় রেলে রয়েছে শেষ স্টেশনও। অন্য কোনও রাজ্যে নয়, এমন একটি স্টেশন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই, যা ভারতের শেষ স্টেশন নামে পরিচিত।

Passenger fell from train: ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা! প্ল্যাটফর্মে শুয়ে ছটফট করতে করতে মৃত্যু বৃদ্ধের

মালদহ: ট্রেনের ধাক্কায় আহত বৃদ্ধের মৃত্যু হল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর স্টেশনে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অবহেলার অভিযোগ উঠেছে রেলপুলিশের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কোনও চিকিৎসা ছাড়াই বৃদ্ধ আহত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়েছিলেন প্লাটফর্মে। কর্তব্যরত জিআরপি দেখেও কিছু পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ। শেষপর্যন্ত কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অভিযোগ, অন্যান্য যাত্রীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলে উল্টে তাঁদেরকেই ধমক দিয়ে সরিয়ে দেয় কর্তব্যরত রেল পুলিশ। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

সূত্রের খবর, শনিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর রেল স্টেশনে অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নামতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। অসাবধানবশত রেলের চাকায় হাত এবং পা কাটা যায় তাঁর। আহত বৃদ্ধকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে শুইয়ে রাখা হয়। এমনকি যাত্রীরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাঁদেরকেও লাঠি উঠিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে দীর্ঘক্ষণ প্লাটফর্মে পড়ে থাকায় অতিরিক্ত রক্তপাতে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। কার্যত বিনা চিকিৎসাতেই ওই বৃদ্ধ হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছটফট করতে করতে মারা যান, বক্তব্য স্থানীয়দের।
এর পরে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন- চালকদের পাশেই আছে রেল! কী কী সুবিধা পান লোকো পাইলটরা?

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,আহত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ফলে চিকিৎসার কোনও চেষ্টাই করা যায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আগে আনলে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। কিন্তু, সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। এমনকি মৃত্যুর পরেও ওই দেহের দায়িত্ব কে নেবে এই নিয়েও দীর্ঘক্ষণ টানাপড়েন চলে রেলপুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের মধ্যে। মৃতদেহের পরিচয় বেলা পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
যদিও এই অমানবিক ঘটনার মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশন মাস্টার সহ কেউই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।