Tag Archives: Train Accident

Kanchankanya Express: বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস! পুরো ঘটনা শুনলে গা শিউড়ে উঠবে

জলপাইগুড়ি: রেল কর্মীর গাফিলতিতে আবার হতেই পারত একটা বড় রেল দুর্ঘটনা। এমন‌ই অভিযোগ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চালসা-মালবাজার স্টেশনের মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিংয়ে। জানা গিয়েছে, শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালসার দিক থেকে মালবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেন থেকে হঠাৎ চালকের নজরে আসে রেল গেট নামানো নেই। অথচ সিগন্যাল সবুজ বাতি। রেল গেটের কর্মীকে দাঁড়িয়ে থাকতে না দেখে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার অতলে লাল টং বস্তির বাসিন্দারা! অস্তিত্বের সংকটে গ্রাম

গেট খোলা থাকার কারণে সাইকেল বাইকসহ এতে অনেক মানুষ পারাপার করছিল রেলগেট দিয়ে। আচমকা ট্রেনের হর্ণ এবং ব্রেকের শব্দে দুই পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে সকলে, যার ফলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। অল্পেতে প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা ট্রেন থেকে নেমে এসে গেটম্যানের ঘরে ঢুকে দেখে ঘরেই রয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন এই রেলকর্মী।

কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।কিন্তু কর্তব্যরত অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত থাকা রেল কর্মীর কেন এই গাফিলতি উঠছে প্রশ্ন! তবে এবিষয়ে কোন রকম মন্তব্য করতে চায়নি রেল আধিকারিকরা।

সুরজিৎ দে

Habra Train Accident: লোকাল ট্রেনে দুর্ঘটনা হাবড়ায়! অল্পের জন্য রক্ষা… বন্ধ থাকে শিয়ালদহগামী ট্রেন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ডাউন বনগাঁ শিয়ালদহ লোকাল। গাড়ির ধাক্কায় আগেই ভেঙে ছিল হাবড়া এলাকার ৩০ নম্বর রেলগেট। ওই রেলগেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান ম্যানুয়ালি এরপর ওই ভাঙা রেলগেট দিয়ে ট্রেন পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিলে সিগন্যাল দিয়ে দেওয়া হয়। সিগন্যাল পেয়ে বনগাঁ থেকে আসা ট্রেনটি হাবড়ার দিকে এগিয়ে যেতেই ঘটে চরম বিপত্তি। গেটের ভাঙা পোস্ট ট্রেনের তারে লেগে হঠাৎই হাই ভোল্টেজের ট্রেনের তার ছিঁড়ে রীতিমতো আগুনের ফুলকি দেখা যায়। আর এতেই তৈরি হয় চরম আতঙ্ক।

ঘটনায় মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে লোকাল ট্রেনের কামরায়। হাবড়া স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে এমন ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে ট্রেনের কামরা থেকেও ঝাঁপ দেন বহুযাত্রী। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের তার ছিঁড়ে তড়িদাহত হওয়ায়। এই দুর্ঘটনায় রীতিমত বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। ঘটনায় ছুটে আসে আশপাশের স্থানীয়রাও, ছড়িয়েছে ব্যাপক চঞ্চল্য।

আরও পড়ুন: বিদেশিনীর গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত! কেমব্রিজে নদীর ধারে ‘আমার প্রাণের মানুষ’ গাইলেন সাহানার ছাত্রী

ঘটনাস্থলে আসেন হাবড়া পৌরসভার পৌর প্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহা-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এক্ষেত্রে রেলের চরম গাফিলতিকেই দায়ী করছেন তাঁরা। গেটম্যানের দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীর ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনযাত্রীরা। পরে বারাসত থেকে টাওয়ার ভ্যান গিয়ে তার জোড়া দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে। তবে দীর্ঘক্ষণ এভাবে ট্রেন বন্ধ থাকায় রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, হাবড়া থেকে ট্রেনগুলি আবার পুনরায় শিয়ালদহে ফেরানোর এবং হাবড়া থেকে সিঙ্গল লাইনে বনগাঁর দিকে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

যদিও ছুটির দিন থাকায় ভিড় কম হলেও, এই ঘটনায় যাত্রীরা পড়েছেন বেজায় সমস্যায়। এদিন লোকাল ট্রেনে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলো বলেই মনে করছেন রেলযাত্রীরা। এই দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বনগাঁয় আটকে পড়ে বন্ধন এক্সপ্রেস।

Rudra Narayan Roy

Train Accident: পরপর ৯ বগি লাইনচ্যুত, ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা! ভারতের ‘বন্ধু’ দেশে ভয়াবহ ঘটনায় আহত ৭০ জন

মস্কো: রাশিয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ট্রেনের অন্তত ৭০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। বৃহস্পতিবার রাশিয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (২৬ জুন) রাশিয়ার কোমি প্রজাতন্ত্রে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৭০ জন আহত হলেও এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: হঠাৎ বিকট আওয়াজ, তারপরই ভেঙে পড়ল ‘দানব’! কলকাতায় ভয়ঙ্কর ঘটনা, কাতরাতে-কাতরাতে মৃত্যু এক ব্যক্তির

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির নাম ট্রেন ৫১১। এটি উত্তর-পূর্ব কোমির ভোরকুটা থেকে প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণ সাগরের বন্দর নগরী নভোরোসিয়স্কে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় ১৪ বগির এই ট্রেনে ২৩২ জন যাত্রী ছিলেন।

রাশিয়ান রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের সহায়তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আহতদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব কোমি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই কারণে এই লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারপরও লাইনচ্যুত হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাশিয়ান রেলওয়ে জেনারেল ডিরেক্টর ওলেগ বেলোজারভের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।

Train: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আপার বার্থ! বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত‍্যু, রেলের সুরক্ষা আবার প্রশ্নের মুখে?

কেরল: বৃদ্ধ যাত্রীর ওপর ভেঙে পড়ল ট্রেনের আপার বার্থ। আচমকা এই ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই যাত্রীর। কেরল থেকে নয়া দিল্লিগামী এর্নাকুলাম-হযরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে (১২৬৪৫) ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা।

নিহত যাত্রীর নাম আলি খান (৬২)। রেলের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির ফলেই এমন দুর্ঘটনা বলেই উঠেছে অভিযোগ। এই ঘটনায় দায় যদিও অস্বীকার করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার কথা তারা নিজেরাই জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে আলি খান ট্রেনের স্লিপার কোচে দিল্লি যাচ্ছিলেন। নিচের সিটে বসে ছিলেন তিনি এবং আচমকা তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে আপার বার্থ। সিট এবং আপার বার্থের যাত্রীর ওজনের ফলেই গুরুতর আঘাত পান তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান বলেই খবর।

আরও পড়ুন: ‘তুমি ফর্সা নও’, হাজার অডিশন দিয়ে বাদ পড়েন! এখন তাঁর রূপেই কুপোকাত বলি থেকে হলি, চেনেন এই নায়িকাকে?

আলি খান মালাপ্পুরমের পোন্নানির বাসিন্দা। পেশায় এলআইসি এজেন্ট। গত ১৫ জুন রাতে বন্ধু মহম্মদের সঙ্গে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। জলন্ধরে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জুন সন্ধ্যায়। তিনি নিচের সিটে ছিলেন। তেলেঙ্গানার ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সহযাত্রীরা দ্রুত টিটিইকে জানান। ওয়ারঙ্গল স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে আলিকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার পরে থামানো হয়।

আরও পড়ুন: পুষ্টির ভাণ্ডার, মুঠো মুঠো খাচ্ছেন কালোজাম! কাদের একেবারে বারণ? খাওয়ার পর ভুলেও মুখে তুলবেন না এই দুই জিনিস, তাহলেই সর্বনাশ

রেল পুলিশ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেল মন্ত্রকের তরফে যদিও উপরে থাকার যাত্রীর ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়েছে। এস/৬ কোচের ৫৭ নম্বর সিটে উপরের বার্থে যাত্রী ঠিকমতো বার্থটিকে চেইনের সঙ্গে আটকাতে পারেননি বলে এই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই লোয়ার বার্থে যাত্রা করার সময়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।

Kanchanjunga Express Train Accident: পড়ে রইল কেক! মেয়ের জন্মদিনেই রেল-দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে বাবা

পড়ে রইল কেক! মেয়ের জন্মদিনেই রেল-দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে বাবা। সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে রাঙাপানি এবং নিজবাড়ি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পিছন দিকের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। মৃত্যু হয় একাধিক যাত্রীর, আহত বহু। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ওই ট্রেনে ধাক্কা মারে বলে খবর। সংঘর্ষের তীব্রতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিক থেকে পর পর দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশে ছিটকে পড়ে।

Rail Police: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল লাইনের ধারে পড়ে রক্তাক্ত ব্যক্তি, দেখা নেই রেল পুলিশের!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন স্থানীয়রা। কিন্তু যাদের দায়িত্ব পালনের কথা সেই রেল পুলিশের দেখা নেই। ট্রেনের ধাক্কায় জখম ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে এমনই দৃশ্য দেখা গেল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ বারাসত স্টেশন এলাকায়। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়েছে রেল পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ বারাসত ও হোগলা স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় রেল ট্র্যাকের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ‌দেখে মনে হয়েছে, তিনি সম্ভবত লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রেল পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। শেষে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রাই ওই জখম ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় যুবকেরা অভিযোগ করেন, রেল পুলিশকে খবর দিলে তারা আসেনি।

আর‌ও পড়ুন: কী এমন ঘটল! আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এই এলাকার বাসিন্দারা

এদিন দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার রেল লাইনের পাশে। স্থানীয়দের অনুমান, ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে অথবা ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়েছেন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। এদিকে ওই ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন থাকায় তাঁর পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আঘাতের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রেল পুলিশ না আসায় নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়ে বাধ্য হয়ে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালেই আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর।

সুমন সাহা

ট্রেন দুর্ঘটনার পর অভূতপূর্ব পরিষেবা, পুরস্কৃত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ

শিলিগুড়ি : ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ।কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিষেবা ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাল রাজ্য সরকার।

শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মুখ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে ওই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। সেই সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে মেডিকেল কে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে এই বাহবা পেয়ে খুশি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন- গভীর রাতে হাতির হানা! গ্রামবাসীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ব্যক্তির, শোকের ছায়া

হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “এটা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেকটি প্রাণ বাঁচাতে। সত্যি বলতে ওই দিন হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স থেকে সাফাই কর্মীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন তা সত্যি অভাবনীয়। রক্তের সংকট মেটাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা পর্যন্ত এগিয়ে এসে রক্তদান করেছে। রাজ্য সরকারের এই স্বীকৃতি ও শুভেচ্ছা আগামীতেও আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।”

ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পাওয়া মাত্র মেডিকেল ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং মেন অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসক নার্স ,স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটি দেওয়া হয়।

অপারেশন থিয়েটারে একাধিক টেবিলের প্রয়োজনে যাতে আহতদের অপারেশন করা যায়, সেই ব্যবস্থা এক ঘন্টার মধ্যেই তৈরি করে ফেলা হয়েছিল। জরুরি বিভাগে ও সিনিয়র জুনিয়র ডাক্তার চিকিৎসা কর্মী, ওষুধ , ইনজেকশনের ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন- ফের দুর্যোগের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে! অতি ভারী বৃষ্টির দাপট শুরু কোন কোন জেলায়

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসেছিলেন। কারও দুটি পা ভাঙা, কারও কোমরে গুরুতর চোট, কারও আবার মাথায় মারাত্মক ক্ষত হয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় সকলের ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৬ দিন ধরে যেভাবে দিন রাত এক করে চিকিৎসকরা আহতদের সুস্থ করে তুলতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন, তারই প্রশংসা করেছেন প্রধান সচিব।

অনির্বাণ রায়

Kanchanjungha Express Accident: এখনও কানে বাজছে বিকট শব্দ, আর্তনাদ! ৭ দিন পরেও কাটেনি আতঙ্ক, এখনও শিউরে উঠছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রী

মালদহ: ঘটনার প্রায় সাত দিন হতে চলল। কিন্তু এখনও ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন পুরাতন মালদহের প্রফুল্ল রাজবংশী। এখনও যেন সেই মুহূর্তের ঘটনা মনে পড়লেই শিউরে উঠছেন তিনি। কিন্তু তিনি ভুলতে চান সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি।

তিনি যে সুস্থ অবস্থায় বেঁচে ফিরেছেন এটি তাঁর কাছে অনেক। পুরাতন মালদহের বাসিন্দা প্রফুল্ল রাজবংশী। পেশায় স্থানীয় হিমঘরের কর্মী। চলতি মাসের ১০ তারিখে সপরিবারে কোচবিহার জেলার রানীরহাটে শ্বশুরবাড়িতে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে গিয়েছিলেন। সাতদিন থাকার পর গত সোমবার সকালে ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় ওঠেন একা।

ট্রেনটি প্রায় ঘন্টা তিনেক চলার পর হঠাৎ ছন্দপতন, শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অল্প সময়ের জন্য দাঁড়িয়েছিল বলে জানান প্রাণে বেঁচে ফিরে আসা ব্যাক্তি প্রফুল্ল।

জেনারেল কামরার পেছনের দুই নাম্বার বগিতে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার মুহূর্তে তিনি ট্রেনের শৌচালয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ, ঝাঁকুনি শুরু হয়। আতঙ্কে দ্রুত শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর সেই দুর্ঘটনার দৃশ্য। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফেরার আতঙ্ক গ্রাস করে।

সে মুহূর্তে কি করবেন ভেবে উপায় খুঁজে পাননি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনওরকমে বাসে করে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরতে আতঙ্কের সেই ছাপ এখনও তার মনে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। প্রফুল্ল রাজবংশী জানান, সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গেলেও আমি একা বাড়ি ফিরছিলাম। ধুপগুড়ি স্টেশনে প্রথমে তিনি ট্রেনের সামনের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন।

কিন্তু ভিড় থাকায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে পেছনের জেনারেল কামরায় গিয়ে ওঠেন। পেছন থেকেই দ্রুত গতিতে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। যদিও তিনি জখম হননি। তবে চোখের সামনে ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চারিদিকে কান্নার আওয়াজ, অসহায় যাত্রীদের আর্তনাদ এখনও তাঁর মনে পড়ছে।

হরষিত সিংহ

Indian Railway: ‘নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ হয়নি!’ রেল দুর্ঘটনার জন‍্য দায়ী কে? উঠে আসছে মারাত্মক অভিযোগ

ট্রেন চালকদের বড় অংশের অভিযোগ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোনও ডিভিশনেই অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ হয়নি।

অন্য ডিভিশনের অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেমে কাজ করা চালক বা রেলকর্মী যাঁরা বদলি হয়ে এই ডিভিশনে এসেছেন তাঁদের থেকে শুনে শুনেই এখানকার লোকো পাইলটদের ট্রেন দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: সাত সকালেই বজ্রবিদ‍্যুত্‍-সহ বৃষ্টি! বইবে ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণের দুই জেলায় ঝমঝমিয়ে ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি, কেমন থাকবে শনিবারের আবহাওয়া?

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আলিপুরদুয়ারের ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের ডেকে পাঠালেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (সিআরএস) জনককুমার গর্গ। এবার তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এনএফ রেলেওয়ে মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশিস বিশ্বাস স্পষ্টই বলছেন, ‘অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না হওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

তদন্ত চলায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমারের বক্তব্য, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ করানো হয়। বাকি সবটাই তদন্তসাপেক্ষ।’