হাঁটুর প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচারে চিকিৎসকরা

অস্ত্রোপচারে সফল হাঁটু প্রতিস্থাপন! নজির প্রান্তিকের এই জেলা হাসপাতালে

বসিরহাট: অস্ত্রোপচারে সফল হাঁটু প্রতিস্থাপন, নজির বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। আধুনিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাঁটু প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল বসিরহাট জেলা হাসপাতাল।

উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাত মহকুমার দেগঙ্গা থানার ভাসিলা গ্রামের বাসিন্দা ৫৯ বছরের পেশায় দিনমজুর রোস্তাম আলী। বেশ কিছুদিন আগে হাঁটুতে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন।

চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন তার বাঁ পায়ের হাঁটুর অবস্থা খুবই শোচনীয়। অবিলম্বে সেই হাটুর প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। সেই মতো তাকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের এমএসডাব্লিউ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

আরও পড়ুন- রোগী নিয়ে ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে অ্যাম্বুল্যান্স, আশঙ্কাজনক চালক-সহ

এদিন বসিরহাট জেলা হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জেন ডাক্তার সাহির মন্ডলের নেতৃত্বে ও ডাক্তার এম শিরুল ইসলামের সহযোগিতায় তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হয় ওই ব্যক্তির‌। যা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ব্যতীত জেলা হাসপাতাল গুলির মধ্যে প্রথম।

এই হাঁটু প্রতিস্থাপনের ফলে এক নতুন জীবন ফিরে পান ওই ব্যক্তি। চিকিৎসক সাহির মন্ডল জানান,  প্রান্তিক এলাকার প্রান্তিক জেলায় এই ধরনের পরিষেবা দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আগামী দিনে আরো ভালো পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর।

বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গাইন বলেন, এই হাঁটু প্রতিস্থাপন করে জেলা হাসপাতাল গুলির মধ্যে অনন্য নজির গড়লো বসিরহাট জেলা হাসপাতাল। আগামী দিনে আর হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য কলকাতায় ছুটে যেতে হবে না। বসিরহাট জেলা হাসপাতালেই এর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দেখা গিয়েছে, ৬০ পেরোতে না পেরোতেই হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন সমাজের অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে সেই সমস্যা দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে। ক্যালশিয়ামের অভাবে এই ধরনের হাঁটুর ব্যথা লেগেই থাকে। তাই সেই সমস্যার সমাধান করতে আর কলকাতায় না ছুটে বসিরহাটেই তার চিকিৎসা পেয়ে যাওয়ায় খুশি বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের কয়েক লক্ষ মানুষ।

জুলফিকার মোল্যা