উর্গেন তামাং (ইনসেটে)

Viral Video: ‘১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন মৃত, আমাকে বাঁচান’, রাশিয়ায় বাধ্য হয়ে ‌যুদ্ধ করছেন এই ভারতীয় ‌যুবক! বেঁচে দেশে ফেরার আর্তি! ভাইরাল ভিডিও

কালিম্পং: ভারতীয় সেনা থেকে অবসরের পর রাশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজে গিয়েছিলেন উর্গেন তামাং। কিন্তু রাশিয়ায় পৌঁছে তিনি জানতে পারেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে হবে। গত ছ’মাস ধরে কালিম্পংয়ের এই যুবক রাশিয়া সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে উর্গেন বলেন, ‘আমি কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। মার্চ থেকে আমি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে পড়েছি। রাশিয়ার বাইরে থেকে ১৫ জনকে যুদ্ধ করতে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১৩ জন মৃত। আমি এবং শ্রীলঙ্কার একজন এখনও বেঁচে আছি। আমাদের দেশে ফেরানো হোক।’

আরও পড়ুনঃ আঘাত লাগা-আমোদ উল্লাস, বরফ চাই-ই-চাই…! ভারতে প্রথম কীভাবে, কথা থেকে এল বরফ? ইতিহাস জানুন

উর্গেন তামাংয়ের প্রতিটা দিন যেন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে রাশিয়ায়। তারই সঙ্গে থাকা আরও ভারতীয় সঙ্গী যারা রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে কাজ করছিলেন তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। তবে এখনও কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন উর্গেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কালিম্পং পুরসভার চেয়ারম্যান রবি প্রধানের। উর্গেনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন রবি প্রধান। তিনি আশ্বস্ত করেছেন তাকে ফিরিয়ে আনার সবরকম প্রচেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুনঃ একবার খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে জীবনভর! ১০ মিনিটে বানিয়ে নিন এই ভর্তা, গরম ভাতে জমে ক্ষীর

তবে এটাই প্রথমবার নেই, আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মাধ্যমে তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ নেন  মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারপর লোকসভা নির্বাচনের কারণে থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়া। তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর আশার আলো দেখছেন উর্গেন।

সম্প্রতি যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে উর্গেন তামাংয়ের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এখন একটি জঙ্গলে ঘেরা মাটির নীচে বাঙ্কারে দিন কাটছে তাঁর। নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতে গিয়ে যে এমন পরিস্থিতি হবে তা কিন্তু স্বপ্নেও ভাবেননি উর্গেন। উর্গেনের স্ত্রী অম্বিকা তামাং বলেন, “অবসরের পর গুজরাত থেকে নিরাপত্তারক্ষীর কাজের প্রস্তাব এলে রাশিয়ায় যান স্বামী। সংসার চালাতে উনি বিদেশে চাকরিটা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে এজেন্টের প্রতারণায় পরে রাশিয়ার সৈন্য হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। আমার দু’টো ছোট সন্তান রয়েছে। জানি না কী হবে। এখন আমরা শুধু ওকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে চাই।”

অনির্বাণ রায়