প্রতিকী ছবি

Crime News: ইউটিউব দেখে বোমা বানালেন ১৮ বছরের যুবক, রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে যা ঘটালেন… বীভৎস!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোশ্যাল মিডিয়া দেখে বোমা তৈরি শিখেছিলেন ১৮ বছরের যুবক। জোগাড় করেছিলেন বোমা তৈরির মশলা-সহ নানা সরঞ্জাম। বোমা বেঁধে গভীর রাতে পাড়ার রাস্তায় সেই বোমা ফাটিয়ে পরীক্ষা করেও দেখছিলেন তিনি। তখনই নজরে পড়ে পাড়ার কয়েকজনের। খবর পেয়ে পুলিশ এসে যুবককে ধরে। উদ্ধার হয় আধ ফাটা বোমাগুলি। পরে যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির মশলাও।

ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিলিপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের নাম প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি মন্দিরবাজার থানা এলাকায়। কয়েকবছর আগে তিলিপাড়া এলাকায় এসে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ স্থানীয় তিলিপাড়া-সীমানিপাড়া রাস্তার উপর বোমা ফাটাচ্ছিলেন তিনি। সেখানে গোটা দু’য়েক বোমা ফাটান।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চিন্ময় দে বলেন, “রাতে এলাকা নিঃস্তব্ধ হয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় বেরিয়ে সম্ভবত বোমা ফাটিয়ে পরীক্ষা করছিল। আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে।”

আরও পড়ুন: সাপের যম আপনার রান্নাঘরেই! লাগবে না ব্লিচিং-অ্যাসিড…! ‘এই’ কয়েকটি জিনিস বর্ষায় রাখুন হাতে

পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় গিয়ে দু’টো আধ-ফাটা ও একটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। ধরা হয় যুবককে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকায় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় বোমা তৈরির মশলা-সহ নানা সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে যুবক জানিয়েছে, ইউটিউব দেখে বোমা বানানো শেখেন তিনি। তারপর নানা ভাবে সরঞ্জাম জোগাড় করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছিল। তাঁদের শায়েস্তা করতেই বোমা বানানোর পরিকল্পনা করেন। সেই মতো ইউটিউব দেখে প্রস্তুতি নেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, এই এলাকায় আগে কখনওই বোমা-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। জয়নগর পুর এলাকাতেই এধরনে ঘটনা বিরল। ফলে অবাক বাসিন্দারা।

চিন্ময় বলেন, “এলাকাটি জয়নগর ও মন্দিরবাজার থানার সীমান্তবর্তী এলাকা। যুবকের আসল বাড়িও মন্দিরবাজারে। হতে পারে মন্দিরবাজার থেকে দুষ্কৃতীরা ওকে বোমা তৈরির জিনিস সরবরাহ করেছে।”

জয়নগর থানার আইসি পার্থসারথী পাল বলেন, “জেরায় যুবক জানিয়েছে ইউটিউব দেখে বোমা তৈরি শেখে। সমাজমাধ্যমের ভাল দিক যেমন আছে, তেমন এর খারাপ দিকও রয়েছে। এই ঘটনাই তার প্রমাণ।”

সুমন সাহা