পাঁচমিশালি Aeroplane Tyre: প্লেনের টায়ারেও কি হাওয়া ভরা থাকে? রবার দিয়েই তৈরি…নাকি অন্যকিছু, জানেন না ৯৯% শতাংশ মানুষ Gallery July 15, 2024 Bangla Digital Desk বাস, ট্যাক্সি হোক বা বাইসাইকেল। রাস্তায় চলা প্রতিটি যানবাহনেই থাকে চাকা। চার, তিন হোক বা দুই, চাকার সংখ্যা আলাদা আলাদা হলেও প্রতিটি যানবাহনে চাকা থাকবেই। বেশিরভাগ গাড়ির চাকাই তৈরি হয় রবারের। গাড়ির চাকার সংখ্যার মতো চাকার আকৃতিও আলাদা হয়। ভারী এবং বড় গাড়িগুলির চাকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মোটা হয়। আবার রবারের চাকাগুলিতে হাওয়া ভরতে হয়। কিন্তু বিমানের চাকা কী দিয়ে তৈরি হয়? বিমানের চাকাতেও কী অন্যান্য গাড়ির চাকার মতো হাওয়া ভরতে হয়? জেনে নিন খুঁটিনাটি। সাধারণ গাড়ির চাকার থেকেও মজবুত হওয়া প্রয়োজন প্লেনের চাকা। কয়েক টন ওজনের প্লেন যখন আকাশ থেকে প্রচণ্ড গতিতে মাটি ছোঁয়, সেই গতির সঙ্গে প্লেনের ভার বহনের দায়িত্ব পড়ে চাকার ঘাড়েই। প্লেনের চাকাকে সহ্য করতে হয় প্রচণ্ড চাপ। কংক্রিটের তৈরি শক্ত রানওয়েতে বিপুল ভারী বিমানকে নিয়ে এগিয়ে চলার কাজ চাকার। প্লেন ওড়ার সময় এবং অবতরণের সময়েই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে প্লেনের চাকা। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, কী দিয়ে তৈরি হয় এইসব শক্তিশালী চাকা? যা এত চাপ, ওজন সহ্য করতে পারে? প্রবল চাপেও ফেটে যায় না। অন্যান্য চাকার মতো এতেও কী হাওয়া ভরা হয়? নাকি এ চাকায় কোনও বাতাস ভরার বালাই নেই? ট্রেনের চাকা তৈরি হয় রবাবের সঙ্গে অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের মিশ্রণে। রবারের সঙ্গে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল ও নাইলন ইত্যাদি আরও কিছু কিছু জিনিস মিশিয়ে তৈরি করা হয় প্লেনের চাকা। মজবুত ভাবে তৈরি এক একটি টায়ারের ওজন প্রায় ১১০ কেজি হয়। এগুলিকে প্রায় ৩৮ টন ওজনের ক্ষমতা সহ্য করার জন্য পরীক্ষা করা হয়। বিমানের টায়ার ট্রাকের টায়ারের চেয়ে দ্বিগুণ এবং গাড়ির টায়ারের চেয়ে ছয়গুণ বেশি স্ফীত হয়। বিমানের আকারের উপরেও নির্ভর করে বিমানের চাকার আকার। বিমানে চাকাতেও গ্যাস ভরা হয়। তবে যেকোনও গ্যাস নয়, প্লেনের চাকায় ভরা হয় নাইট্রোজেন গ্যাস। নাইট্রোজেন গ্যাস দাহ্য নয়। প্লেনের টায়ারে নাইট্রোজেন গ্যাস থাকায় এটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপের পরিবর্তনেও স্বাভাবিক হাওয়ার তুলনায় কম প্রভাব ফেলে। নাইট্রোজেন গ্যাস থাকায় টায়ারের ঘর্ষণে আগুন লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই। যে কারণে দ্রুত গতিতে রানওয়েতে নামার সময় ঘর্ষণ সত্বেও প্লেনের টায়ার গরম হয় না এবং ফেটে যায় না। টায়ারে নাইট্রোজেন জেনারেটর মেশিন দিয়ে ভরা হয়।