খুঁটি পুজো হয়ে গেল নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির

দুর্গোৎসবের শুভারম্ভ; খুঁটি পুজো হয়ে গেল নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির, এবারের থিম কী?

কলকাতা: মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই কলকাতা তথা গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো। এবারের দুর্গোৎসবেরও শুভ সূচনা ঘটে গেল খুঁটি পুজোর হাত ধরে। গত শনিবার অর্থাৎ ১৩ জুলাই দুপুর ১২টা নাগাদ শহরের প্রাণকেন্দ্রে খুঁটি পুজোর আয়োজন করেছিল নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।

ঐতিহ্য এবং মানুষের উন্মাদনাকে সম্মান জানিয়ে গত ২ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছে নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। চলতি বছরে তাদের পুজো ৩ বছরে পা দিতে চলেছে। আর এই বছরে নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির দুর্গাপুজোর থিম হল – ‘মৃচ্ছকটিক’। যার অর্থ হল মাটির খেলনা গাড়ি।

আরও পড়ুন- বৃষ্টি দেখতে দেখতে ইলিশের রকমারি পদের স্বাদ ! শহরের এই পাঁচ তারা হোটেলগুলোয় শুরু হচ্ছে ইলিশ উৎসব, দেখে নিন খরচ কত পড়বে

খুঁটি পূজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ওই খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেছেন টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুই বলিষ্ঠ অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য এবং মানসী সিনহা। এই নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার বাণীব্রত বসু। খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল সেন্ট্রাল মলের বিপরীতে নিউটাউন সিটি স্কোয়ারে।

আরও পড়ুন– পাকিস্তানে ১১৭ টাকায় হোটেল রুম! ভিতরে ঢুকে চমকে গেলেন নেদারল্যান্ডসের ট্রাভেল ব্লগার

আর খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে সকলেই একসঙ্গে যোগদান করেছিলেন। জায়গাটিকে সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল। আর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও। নিউটাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির এবারের পুজোর থিমটি আসলে শিল্পী অনির্বাণ দাসের মস্তিষ্কপ্রসূত। প্রসঙ্গত খুঁটি পুজোর এই রীতি প্রাচীন সময় থেকেই চলে আসছে। এর হাত ধরেই শুভ সূচনা ঘটে দুর্গোৎসবের প্যান্ডেল তৈরির। সেই সঙ্গে এটা দুর্গাপুজোর সূচনারও প্রতীক বটে! মাসের পর মাস ধরে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু করার শুভারম্ভ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একটি সমকালীন উদযাপনও হয়ে উঠেছে।

ওই অনুষ্ঠানে নিউ টাউন সর্বজনীন পুজোর প্রেসিডেন্ট লক্ষ্মীকান্ত কর বলেন যে, “নিউটাউন সর্বজনীন পুজো কমিটিতে আমরা খুঁটি পূজার জন্য অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের জন্য এটা এক বিশেষ অনুষ্ঠান। ফলে সকলের জন্য তা স্মরণীয় করে রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। উৎসবের প্রস্তুতির জন্য আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করছি। যাতে সেই উৎসবের আনন্দে সকলেই মেতে উঠতে পারেন। সকলে যাতে এই উৎসবে যোগদান করেন, সেটাই আমাদের কাম্য।”