নয়াদিল্লি: তেইশ বছর ধরে চলছে এক রেল প্রকল্পের কাজ। স্বল্প অংশের জমি সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল প্রকল্প বাস্তবায়ন। জমির সমস্যা দূর করতে পারলেও, আটকে আছে নিরাপত্তার জন্য কাজ৷ তাই কাজ শুরু করতে চেয়ে অগ্রসর হলেও পিছিয়ে আসতে হচ্ছে রেলকে।
মূল কাজ তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর (৮২.৪৭ কিমি) – নতুন লাইন – কাজ ২০০০-২০০১ সালে অনুমোদিত হয়েছিল এবং প্রকল্পের খরচ ৪৭৯ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছিল। তারকেশ্বর-গোঘাট (৩২.৮৫ কিমি) নতুন লাইন – ২০১৬ সালে চালু হয়েছে। ময়নাপুর – বিষ্ণুপুর (২২.৬৮ কিমি) নতুন লাইন –২০১২ সালে চালু হয়েছে। গোঘাট – কামারপুকুর (৫.৫০ কিমি) ২০১৮-১৯ সালে ৯৫০ মিটার প্রসারিত ব্যতীত সম্পূর্ণ হয়েছিল যেখানে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ভবাদিঘি পুকুরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
কামারপুকুর – জয়রামবাটি (৫.১৯ কিমি) তারকেশ্বরের অংশ – বিষ্ণুপুর (৮২.৪৭ কিমি) প্রকল্প হুগলি জেলায় পড়ছে। আপাতত কাজ শেষের লক্ষ্য: মার্চ ২০২৫।
অন্যদিকে, জয়রামবাটি – ময়নাপুর (১৪.৬২ কিমি) তারকেশ্বরের অংশ – বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প বাঁকুড়া জেলায় পড়ছে, যেখানে কাজ শেষের- লক্ষ্য – ডিসেম্বর’ ২০২৪৷
রেলের অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারণ প্রায়ই কাজ বন্ধ করে দেয়। অতিরিক্ত ব্রিজের চাহিদা ইস্যু করে। রেলের অভিযোগ গোঘাট – কামারপুকুর যা ৫.৫০ কিমি। যদিও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে, কিন্তু মার্চ’ ২০১৭ থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দ্বারা “ভবা দীঘি পুকুর” এর কাছে প্রায় ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের সাথে ক্রমাগত ফলোআপ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা সমাধানের জন্য চলছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, আমরা কাজ ১৬ জুলাই থেকে শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে মিলছে না নিরাপত্তা। তাই পিছিয়ে আসতে হয়েছে। আমরা রাজ্যের থেকে সাহায্য চাই।