প্রায় ৪৬ বছর পরে গত রবিবার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খুলেছেন সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। আর সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষে অমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি কিছু প্রাচীন মূর্তির দেখা মিলেছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ধরনের ৫ থেকে ৭টি সামগ্রীর আবার উল্লেখ ছিল না আগের বর্ণনামূলক তালিকায়। আর বছরের পর বছর ধরে ওই সামগ্রীগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে।
রত্ন ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তা দেখার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ। তিনি বলেন যে, বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে এই প্রাচীন ছোট্ট মূর্তিগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে। রথ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে বলেন, সঙ্গে সঙ্গে কমিটির সদস্যরা একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মূর্তিগুলির আরাধনা করেন।
১৮ জুলাই এই মূর্তিগুলিকে একটি অস্থায়ী দুর্ভেদ্যপ্রকোষ্ঠে স্থানান্তরিত করা হবে। এর পাশাপাশি মূর্তিগুলির ওজন এবং সেগুলি নির্মাণ সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকার পরেই নির্ধারণ করা হবে।
সেবাইতরা মনে করেন যে, এই মূর্তিগুলি আগে ভাণ্ডার পরিচালকদের দ্বারা সম্মানিত হত। বহু সময় আগে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন এই ভাণ্ডার পরিচালকেরা। ওই টিমের সদস্যরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠের অন্দরে এবং আলমারিতে কী কী সামগ্রী রাখা রয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই।
অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠে নানা প্রকার মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল লকেট, রুপোলি সিংহাসন, ব্রেসলেট, হিরে এবং মুক্তো খচিত নেকলেস, স্বর্ণ খচিত ময়ূর চন্দ্রিকা, সোনা এবং বাঘের নখ, সোনার পুষ্পস্তবক, স্বর্ণ চাকা, স্বর্ণ পুষ্প এবং সোনার মোহর (মুদ্রা)।
দুর্গা প্রসাদ দাসমহাপাত্র নামে এক সেবাইত ওই দলের সদস্য ছিলেন। ফলে তিনি রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করেছিলেন। ওই সেবাইতের বক্তব্য, বাইরের প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে তাঁরা শুধু সোনা এবং রুপোর সামগ্রীর হদিশই পেয়েছেন। প্রসঙ্গত দেবতাদের সুবিধার জন্য বার্ষিক উৎসবের সময় ওই ঘরটি খোলা হয়।
Post navigation
Just another WordPress site