মালদহ: আবারও ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে মালদহের কান্তুটোলা। ভোররাত থেকে ভাঙনে মুহূর্তে গঙ্গায় তলিয়েছে একাধিক বাড়ি। অসহায় হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছেন ভাঙন বিধ্বস্ত মানুষ। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।
মাঝে ব্যবধান এক বছরের। ফের রুদ্রমূর্তি গঙ্গার। মালদহের রতুয়ার বিলাইমারি পঞ্চায়েতের কান্তুটোলায় ভয়াবহ নদী ভাঙন। এলাকার কয়েকশো বিঘে জমি, অন্তত ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি, শিবমন্দির, বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার, গ্রামীণ নলকূপ সবই নদীগর্ভে।
ক্রমশ, ঘরবাড়ি লোকালয়ে দিকে এগিয়ে আসছে গঙ্গা। বিপদ আসন্ন বুঝে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছেন বিপন্ন মানুষ। অনেকে শেষমুহূর্তে বাড়িঘর ভেঙে যেটুকু সম্বল শেষরক্ষার চেষ্টা করছেন। এককথায় শোচনীয় পরিস্থিতি। এলাকায় পানীয় জল অমিল, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এখন যেখানে গঙ্গা এসে দাঁড়িয়েছে, বছর দশেক আগে গঙ্গার দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। কিন্তু, প্রতিবছর ভাঙন হলেও স্থায়ী সমাধানের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গত বছর ভাঙনের পর নদীর পাড়ে কিছু বালির বস্তা ফেলে সুখা মরসুমে কাজ হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেচ দফতর। এরপর আর কারও দেখা মেলেনি। ভাঙন রোধের কোনও কাজই হয়নি।
ফলে, এক বছরের ব্যবধানে ফের অবাধে নদীপার গিলে খাচ্ছে গঙ্গা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেচদফতর, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাতেও ক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দা জিতেন মণ্ডল, বলরাম মণ্ডল বলেন, ‘‘বারবার এলাকার তৃণমূল বিধায়ক এবং বিজেপি সাংসদ এসে ভাঙন রোধের আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কেউই করেননি। সুখা মরসুমে ভাঙন রোধের কাজ হলে পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না। এলাকায় লক্ষ্মী মন্দির রয়েছে, বাড়িঘর, লোকালয়ে রয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ না হলে সমস্যা আরও ভয়াবহ হতে পারে।’’
সেচ দফতর অবশ্য জানিয়েছে, ওই এলাকা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করে কীভাবে ভাঙনের গতি ঠেকানো যায় সেই চেষ্টা হবে।