প্লাস্টিক এর বোতল দিয়ে সাজানো হচ্ছে স্কুল

Plastic Bottles: প্লাস্টিকের বোতলে সেজে উঠছে স্কুল

বীরভূম: বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও রাস্তাঘাটে যত্রতত্র প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এই প্লাস্টিক যে পুরোপুরি ফেলে না দিয়ে দারুনভাবে কাজে লাগানো যায় তা প্রমাণ করে দিল বীরভূমের এই স্কুল। প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়তে ও বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষক করে তুলতে প্লাস্টিকের জলের বোতলকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা আকারের বোতল ও তাদের নবরূপে সেজে উঠেছে মল্লারপুরের বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

প্লাস্টিক থেকে পরিবেশ ভয়াবহভাবে দূষিত হয়। কিন্তু সঠিকভাবে কাজে লাগালে গোটাটাই অন্যরকম হতে পারে। আর সেটাই করে দেখিয়েছে মল্লারপুরের বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্লাস্টিকের বোতলকে কাজে লাগিয়ে একদিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিদ্যালয় চত্বর, আবার অন্য দিকে প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ গড়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্কুলের এই ‘মেকওভার’-এ উদ্যোগী হয়েছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ফেলে দেওয়া বোতল কেটে তাকে মুড়িয়ে, বেঁকিয়ে বানানো হচ্ছে ফুলের উদ্যান।

আর‌ও পড়ুন: বাজারে কেমন আছে আলু-পটল-ঝিঙেরা? খোঁজ নিতে সাতসকালে হাজির বিডিও

জলের বোতলকে নানা আকার ও রূপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে গাছ রাখার আধার। তাতে মাটি ভরে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন লতানো ফুলগাছ ও পাতাবাহারের গাছ। তারপর সেই বোতলগুলিকে সারিবদ্ধভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুল চত্বরে। এমনকি, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের বারান্দার সামনেও ঝোলানো হচ্ছে এই গাছ, লাগানো হচ্ছে সুসজ্জিত জলের বোতল। যার ফলে এক অন্য রূপ পাচ্ছে স্কুলটি।

শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুল সাজানোর কাজে হাত লাগিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরাও। স্কুলের শিক্ষক শঙ্কর বাগচি বলেন, সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের উদ্যোগে মাসখানেক আগে থেকেই ফেলে দেওয়া জলের বোতল জোগাড় করে তা বিভিন্ন ডিজ়াইন করে, কেটে তাতে রং ও নকশা এঁকে গাছ লাগানো হচ্ছে। স্কুলের সৌন্দর্যায়নে সেই গাছ-সহ বোতলগুলি ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিক পড়ে থাকা প্লাস্টিকের দূষণ কমছে, অন্য দিকে বোতলগুলিকে টব হিসেবে ব্যবহার করে তাদের রিসাইক্লিং হচ্ছে। স্কুল সেজে ওঠায় পড়ুয়াদের কাছে তা আরও আকর্ষক হয়ে উঠছে।

সৌভিক রায়