Category Archives: বীরভূম

Lok Sabha Election 2024: প্রার্থীদের কাছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি শুনলে চমকে উঠবেন!

বীরভূম: আগামী ১৩ মে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। তার আগে এখানকার মানুষজনের দাবি-দাওয়া কী, তাঁরা কেমন আছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে কী চাইছেন তা নিয়ে খোঁজ নিলাম আমরা। আর সেখানেই উঠে এল এক চমকে দেওয়া ছবি।

ময়ূরেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলুর, নারায়নঘাঁটি ও আকলপুর গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলি আমরা। এখানকার গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কোন দলের প্রার্থী জিতবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। শুধু এলাকার উন্নয়ন চান তাঁরা। গত কয়েক বছরে এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জল সহ নানান পরিষেবার উন্নতি ঘটেছে। তবে এই কৃষি প্রধান এলাকায় জল সেচের বড় সমস্যা আছে। চাষের মরশুমে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর কেন্দ্র থেকে জিতে যিনিই সাংসদ হন না কেন তাঁর কাছে এখানকার মানুষের একটাই দাবি, জল সেচের পরিকাঠামোর উন্নতি করার পাশাপাশি এলাকার কৃষকরা এই কাজে সোলার ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পেতে চাইছেন। কারণ তাতে খরচ কমবে বলে তাঁদের ধারণা।

আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর আগে সিঁদুরে মেঘ! দু’বছর আগের অভিজ্ঞতা আবার হবে না তো?

এই এলাকার গ্রাম গ্রামগুলোতে ঘুরে আমরাও দেখলাম, চাষযোগ্য জমিতে ঠিকমত জল সেচের ব্যবস্থা নেই। বাম আমলের তৈরি পাকা নালার আজ ভগ্নদশা। এখনও বিভিন্ন চাষযোগ্য জমিগুলোতে পাকা নালার অভাবে ঠিকমত হচ্ছে না চাষ।

সৌভিক রায়

Abhishek Banerjee: হাজার-হাজার মানুষ অপেক্ষায়, তবুও পৌঁছতে পারলেন না অভিষেক! যা ঘটল, মন খারাপ বীরভূমের

বীরভূম: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর ভোটের আগে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূমের বিনোদপুর মাঠে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন বেলা ২:৩০ নাগাদ সভার ময়দানের পাশে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা ছিল। এরপরই সেখান থেকে সভাস্থলে এসে শতাব্দী রায়ের সমর্থনে জনসভা করতেন তিনি।

তবে সভায় সব কিছু ব্যবস্থা থাকলেও উপস্থিত হলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া রয়েছে বীরভূমে। সকালের দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়, তবে জল ঝড় উপেক্ষা করেই জনসভায় প্রায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত হন। প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই বীরভূমের হাসান বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত তারাপীঠের একটি বেসরকারি হোটেলে কর্মীদের নিয়ে সভা করেন অভিষেক। এর পরেই এই দিন পুনরায় আবার শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন, সেই কারণে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয় বিনোদপুর মাঠ।

আরও পড়ুন: এবার প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের! ২০২০ প্রক্রিয়ায় পড়ল ‘দাঁড়ি’

এদিনের জনসভায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেস লেখা টুপি পরে, আবার কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের পোস্টার নিয়ে হাজির হন। আবার কেও ‘WE LOVE AB ‘ লেখা অভিষেকের ছবি নিয়ে হাজির হন। তবে শেষ মুহূর্তে সমস্ত বাতিল হয়। ময়দানে তখন প্রায় ২০ হাজার কর্মী সমর্থক। স্টেজে উঠে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারছেন না। কিন্তু কেন?

আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ জেলায়।সকালে বৃষ্টি থামার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার কালীঘাট থেকে বীরভূমের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার করে রওনা দিলেও ১১ মিনিট হেলিকপ্টার ওড়ার পরে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে পুনরায় অবতরণ করতে হয়।এর ফলেই বীরভূমের জনসভায় যোগদান করতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কলকাতা থেকেই ভার্চুয়ালি ভাবে জনসভায় যোগদান করেন।

—– সৌভিক রায়

Lok Sabha Elections 2024: ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় প্রচার, বীরভূমে রাস্তায় তৃণমূলের প্রচারে ঝড় দেবের

বীরভূম: অপেক্ষার আর মাত্র হাতে চারটি দিন। তারপরেই চতুর্থ দফায় বীরভূমের লোকসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। এক কথায় সমস্ত রাজনৈতিক দল কেউ কাউকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ। সূর্যের আলো ফোটা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে তাঁদের প্রচার কর্ম চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কাউকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে বীরভূমের সিউড়ি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত বেণীমাধব মোড় থেকে ১-এর পল্লী বরাবাগান পর্যন্তও রোড শো করলেন অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ দীপক অধিকারী (দেব) অভিনেতাকে একবার দেখার জন্য সাধারণ মানুষের সমাগম ঘটে। শহরের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান। ৮ থেকে ৮০, মহিলা থেকে শুরু করে পুরুষ সকলেই উপস্থিত হন অভিনেতাকে দেখার জন্য।

এ দিন সিউড়িতে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করে সেখান থেকে গাড়িতে চেপে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়কে সঙ্গে নিয়ে রোড শো করেন দীপক অধিকারী। আর দেবকে দেখতেই সিউড়ির রাস্তায় উপচে পড়ল সাধারণ মানুষের ভিড়। আর সেই ভিড় সামাল দিতেই কার্যত নাজেহাল অবস্থা পুলিশ প্রশাসনের।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন।কোথাও দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব দেওয়াল লিখন আবার কেউ নিজেই গান লিখে সেই গানের শুটিং করে প্রচার করছেন।

সৌভিক রায়

WB HS Results 2024: উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে জয় জয়কার বীরভূমের, আনন্দের ছবি গোটা জেলায়

বীরভূম: আজ প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিক এর ফলাফল। পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ হয়। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য। এই বছর মোট ৭ লক্ষ ৫৫ হাজার পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এবছর পাশের হার ৯০%। পাস করেছে মোট ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ছাত্রছাত্রী। এবং প্রথম দশের মধ্যে স্থান করেছে মোট ৫৮ জন।  প্রথম স্থান অধিকার করেছে অভীক দাস তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। ১০ মে ছাত্রছাত্রীরা মার্কশিট হাতে পাবে। আর উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন জয়জয়কার বীরভূমে।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, বাড়ল পাশের হার, এ বছর পাশ ৯০ শতাংশ পড়ুয়া

৫০০ এর মধ্যে ৪৯১ পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবন এর ছাত্র সৌমজিৎ নন্দী। বীরভূমে রামপুরহাট থানার অন্তর্ভুক্ত রামরামপুর শান্তি পাড়ার বাসিন্দা সৌমজিৎ। ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গান বাজনা এবং খেলার প্রতি ভালবাসা রয়েছে তার। বাবা কাঞ্চন নন্দী আয়াশ উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক এবং মা তৃপ্তি কুন্ডু সন্ধিপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। বাবা-মায়ের অদম্য সহযোগিতায় আজ সৌমজিৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে কোন স্থান না করলেও ৭০০ এর মধ্যে ৬৭১ নম্বর পাই।

সৌমজিৎ জানাই সারাদিন তার কোনও পড়াশোনা নির্ধারিত সময় ছিল না। যখনই সময় পেত তখনই পড়াশোনা করত সৌম্যজিত। আগামী দিনে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সৌমজিৎ এর। পড়াশোনার প্রিয় বিষয় মধ্যে ছিল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজি। ছোট থেকে গান বাজনার প্রতি ভালবাসা থাকলেও মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পড়াশোনার চাপে সেই ভাবে আর গানের রেওয়াজ করা হয়ে ওঠে না সৌমজিৎ।  তবে বাড়ির মধ্যেই খেলাধুলা করে সে।

সৌম্যজিত-এর বাবা কাঞ্চন নন্দী জানান “সৌমজিৎ ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ভেবেছিলাম ছেলে কোনও একটা স্থান অধিকার করবে তবে সেই সময় স্থান অধিকার না করলেও ভালো ফলাফল করেছিল ছেলে। আমি প্রচন্ডভাবে সহযোগিতা করেছিলাম পড়াশোনা করানোর জন্য এর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও প্রচন্ডভাবে সহযোগিতা করেছিল।” তিনি আরও বলেন আগামীদিনে ছেলের যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে সেই নিয়ে পড়াশোনা করাবেন ছেলেকে।

সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: : বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে বীরভূমে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ

বীরভূম: অপেক্ষার আর মাত্র হাতে চারটি দিন। তারপরেই চতুর্থ দফায় বীরভূমের লোকসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। এক কথায় সমস্ত রাজনৈতিক দল কেও কারোকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ। সূর্যের আলো ফোটা থেকে শুরু করে সূর্য ডোবা পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে তাদের প্রচার কর্ম চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কারোকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ।

আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য এর সমর্থনে বীরভূমের নলহাটি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত কুরুমগ্রাম হসপিটাল ময়দানে জনসভায় যোগদান করতে আসেনবাংলা চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সেই অভিনেতাকে একবার দেখার জন্য সাধারণ মানুষের সমাগম ঘটে।গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমান। ৮ থেকে ৮০, মহিলা থেকে শুরু করে পুরুষ সকলেই উপস্থিত হন অভিনেতাকে দেখার জন্য।

আরও পড়ুন : ভোটের পর জমিদারদের তৈরি এই প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার চায় গোটা গ্রাম

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ভাবে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন।কোথাও দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব দেওয়াল লিখন আবার কেউনিজেই গান লিখে সেই গানের শুটিং করে প্রচার চালাচ্ছেন নিজের দলকে চাঙ্গা করতে।কেও ঘুরছেন হুডখোলা গাড়িতে, আবার কেউপায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন।কেউনিয়ে আসছেন হেবিওয়েটনেতা নেত্রীদের। সেই মতই বীরভূমে লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এবার প্রচারে এলেন অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ।

আরও পড়ুন : চোখে না দেখেও মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হয়ে লোকসভা নির্বাচন, সাধারণ মানুষ ভোট দেননেতা নেত্রীদের। রুদ্রনীল ঘোষ স্টেজে বক্তব্য রাখতে শুরু করতেই সাধারণ মানুষের উচ্ছাস বাঁধ ভাঙাছিল।রুদ্রনীল তার সিনেমার ডায়লগ শোনানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা শুনিয়ে দর্শকদের মনকাড়েন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এক কথায় ভোটের ময়দানে যুদ্ধ জারি রয়েছে। এখন দেখার বিষয় সাধারণ মানুষ কাকে সমর্থন করে।

সৌভিক রায়

Lok Sabha Election 2024: ভোটের পর জমিদারদের তৈরি এই প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার চায় গোটা গ্রাম

বীরভূম: দিন গোনার প্রহর শুরু, হাতে আর মাত্র চারটে দিন। তারই মধ্যে দিনরাত এক করে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির ভোট প্রচার। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ হবে বীরভূমের দুটি লোকসভা আসনে। এই শেষ বেলায় এসে প্রচারে এতটুকু ঢিলে দিতে রাজি নয় কোন‌ও রাজনৈতিক দল। তবে এই প্রচার পর্বেই বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের। নানান দাবির কথা উঠে আসছে

এই নির্বাচনে যারা রায়দান করবেন সেই জনতা জনার্দন কেমন আছে? তা জানার জন্য আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর জমিদারি গ্রামে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন প্রিয়া সাহা, তৃণমূলের প্রার্থী এখানকার বিদায়ী সাংসদ অসিতকুমার মাল এবং সিপিএম প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধানকে।

আরও পড়ুন: গ্রামের ভরসাতেই টিকে হাতপাখা

একসময় জমিদাররা এই গ্রামে বসবাস করতেন। তা থেকেই এমন নামকরণ। এই গ্রামের মধ্যেই অবস্থিত রয়েছে জমিদারদের তৈরি করে যাওয়া সর্বমঙ্গলা মন্দির। তবে কালের করাল গ্রাসে একদিকে যখন জমিদারদের আধিপত্য কমেছে, ঠিক তেমনই এই মন্দিরের অবস্থাও ভগ্নপ্রায়। জমিদার আমলের এই সর্বমঙ্গলা মন্দির আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমের এই গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন, যে প্রার্থীই জয়ী হোক না কেন অতি প্রাচীন এই সর্বমঙ্গলা মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব যেন নেয়। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে হাজার অজানা ইতিহাস। দুর্গাপুজোর পর দ্বাদশীর দিন এই মন্দিরে বড় পুজোর আয়োজন করা হয়। এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে দূর দূরান্ত থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এখানে ভোগ গ্রহণ করতে আসেন।

সৌভিক রায়

Birbhum News: বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নিশীথ প্রামাণিক

বীরভূম: দিন গোনার প্রহর শুরু৷ হাতে আর মাত্র পাঁচটি দিন।ইতিমধ্যেই আজকে তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল থেকেই চলছে নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। চলতি মাসের ১৩ তারিখ চতুর্থ দফায় বীরভূমে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে সমস্ত রাজনৈতিক দল সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত নিজেদের ভোট প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের আবেদন করছেন আবার কেউ হুড খোলা গাড়িতে করে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের রাস্তায় নিজেদের প্রচার কর্ম চালাচ্ছেন। আবার অন্যদিকে নিজের দল এবং প্রচারকে চাঙ্গা করতে নিজেই গান লিখে সেই গানের শুটিং করে প্রচার চালাচ্ছেন।

আর এই নির্বাচনের আগে বীরভূম লোকসভার অন্তর্ভুক্ত হাসান বিধানসভার অন্তর্গত বিষ্ণুপুরে রোড শো করেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজ্য যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ তিনি হাসন বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত বিষ্ণুপুরের বাজারের মধ্য দিয়ে গাড়িতে চেপে রোড শো করেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে।

আরও পড়ুন: ‘খুব খুশি’, শিক্ষকদের চাকরি বহালের নির্দেশে তৃপ্ত মমতা! ‘সত্যের জয়’, লিখলেন অভিষেক

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে নিশীথ প্রামাণিক এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।দেবতনু ভট্টাচার্যকে নিয়ে গাড়িতে চেপে ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রচার সারেন। পাড়ার মধ্য দিয়ে নিশীথ প্রামাণিককে দেখার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷ এ ছাড়াও এই প্রচার পর্বে কয়েক হাজার  মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন।

হাসন বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত বিষ্ণুপুরের রোড শো করার পর সেখান থেকে জনসভা করতে নলহাটি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত কুরুমগ্রাম হসপিটাল ময়দানে যান নিশীথ প্রামাণিক।এরপর সেখান থেকে তিনি মুরারই বিধানসভার পলসা ফুটবল ময়দানে জনসভা করেন।এক কথায় লোকসভা নির্বাচনের আগে কেউ কাউকে একবিন্দু জায়গা ছাড়তে নারাজ। এখন দেখার বিষয় জনতা কাকে সমর্থন করেন।

সৌভিক রায়

Health Tips: গরমের এই সবজিকে দেখে ভয়ে কাঁপে কোলেস্টেরল-ডায়াবেটিস-হাঁপানি, ওজন কমে হুড়মুড়িয়ে, কীভাবে খাবেন? পড়ুন

ঢেঁড়সে আছে আঁশ যা উন্নত হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। ঢেঁড়সের আঁশ পেট পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকার করে এবং হজমক্রিয়া উন্নত করে। এমনটাই জানাচ্ছেন ডক্টর আশীষ রায়। তিনি আরও জানান, কোলেস্টেরলের শোষণ কমিয়ে ঢেঁড়স হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ঢেঁড়সে আছে আঁশ যা উন্নত হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। ঢেঁড়সের আঁশ পেট পরিষ্কার করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকার করে এবং হজমক্রিয়া উন্নত করে। এমনটাই জানাচ্ছেন ডক্টর আশীষ রায়। তিনি আরও জানান, কোলেস্টেরলের শোষণ কমিয়ে ঢেঁড়স হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঢ্যাঁড়স ভেজানো জল খুবই উপকারী। ঢ্যাঁড়সে থাকা ফাইবার যেমন শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে, তেমনি কম ক্যালোরি থাকার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঢ্যাঁড়স ভেজানো জল খুবই উপকারী। ঢ্যাঁড়স থাকা ফাইবার যেমন শর্করা মাত্রা ঠিক রাখে, তেমনি কম ক্যালোরি থাকার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিসের মাত্রা অনুযায়ী ঢ্যাঁড়সের জল খাওয়া ঠিক হবে কি না সেই বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আগে পরামর্শ করা উচিত। ঢ্যাঁড়সের মধ্যে থাকা উপাদানে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিসের মাত্রা অনুযায়ী ঢ্যাঁড়সের জল খাওয়া ঠিক হবে কি না সেই বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আগে পরামর্শ করা উচিত। ঢ্যাঁড়সের মধ্যে থাকা উপাদানে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে।
 চিকিৎসক আশীষ রায় জানাচ্ছেন গাজর, পালংশাক, কুমড়া, বিটের মতো ঢেঁড়সও অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী একটি সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করে ঢেঁড়স।
চিকিৎসক আশীষ রায় জানাচ্ছেন গাজর, পালংশাক, কুমড়া, বিটের মতো ঢেঁড়সও অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী একটি সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। ডায়াবেটিস, অ্যাস্থমা, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করে ঢেঁড়স।
ঢেঁড়শের বিপুল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হল, হাঁপানি রোগে খুব উপকারী ঢেঁশড়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই গরমে প্রত্যেকদিন নিয়মিত ৫ থেকে ৬ টি ঢেঁড়স খেলে শরীর অনেকটা সুস্থ এবং ঠান্ডা থাকে।
ঢেঁড়শের বিপুল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হল, হাঁপানি রোগে খুব উপকারী ঢেঁশড়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই গরমে প্রত্যেকদিন নিয়মিত ৫ থেকে ৬ টি ঢেঁড়স খেলে শরীর অনেকটা সুস্থ এবং ঠান্ডা থাকে।

Madhyamik Examination: চোখের জ্যোতি নেই, কিন্তু স্বপ্ন অনেক, হাত না থেকেও মাধ্যমিকে সফল জগন্নাথ পড়তে চান বাংলা নিয়ে

বীরভূম: ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ বীরভূমের এই ছেলেটি। প্রতিবন্ধকতা একটি শব্দ মাত্র।জন্ম থেকেই নেই দুটি হাত।তাই তার মা বাবা ভালোবেসে নাম রেখেছিল জগন্নাথ। ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ কথাটাকে সত্যি করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দৃষ্টি শক্তিও ক্ষীণ হতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সকালের খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে নৈশ আহার পর্যন্ত সবকিছুতে নির্ভরশীল থাকতে হয় তার মায়ের ওপর। সে এবছর সব প্রতিকূলতাকে না দেখার ভান করে দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা।

তার ফল প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া তার পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে।পরীক্ষায় এত প্রতিকূলতাকে জয় করে ৩৪৩ পেয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম জগন্নাথ। শুধু তাই নয় সুরেন ব্যানার্জি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় এর এই ছাত্র সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে স্কুলের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারীর তকমা।তাতে স্বভাবতই খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সারাদিনই জগন্নাথ নিজের পড়াশোনা নিয়েই থাকত বলে জানান স্কুলের শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন – Bollywood Gossip: তাঁর ছেলের নামে সিঁথিতে সিঁদুর পরতেন নায়িকা, ‘ ও সকলকে বোঝায় ওকে যে কেউ পেতে পারে! ও একটা ডাইনি’-মারাত্মক অভিনয় নার্গিসের

জগন্নাথের মা ঝর্ণা দলুই বলেন ” স্কুলের পরিবেশ কেমন হয় তা জানেন না তিনি বা তার স্বামী। কারণ কোনও দিন স্কুলমুখো হননি তারা।তাই সহ্য করেছেন অনেক লাঞ্ছনা।ইচ্ছা ছিল সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার।এর আগে পরিবার থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছিল মেয়েও।কিন্তু অভাব অনটনের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের মেয়েকে তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেননি।ছেলে জগন্নাথই এখন শেষ সম্বল।তাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাইলেও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে আদৌ তাকে পড়ানো যাবে কী না তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম আমরা।তবে তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উৎসাহে ভর করেই ছেলের পড়াশোনা চালিয়েছি । এতদিনে তার ফলও মিলল ।”

শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে জগন্নাথ বলে, “আমি কোনও দিনও ভাবিনি যে আমি মাধ্যমিক পাস করব।কিন্তু আমার স্যার ম্যাডামরা না থাকলে আমার পক্ষে পরীক্ষায় পাস করা সম্ভব ছিল না।বই থেকে পড়া শোনানো থেকে শুরু করে আমার পরীক্ষার জন্য অনুলেখক জোগাড় করে দেওয়া পর্যন্ত সব কিছু তারাই আমার জন্য করেছেন।অন্যদিকে আমার বাড়িতে আমাকে সবরকম সাহায্য করেছে আমার মা।এরা না থাকলে আমার স্বপ্ন পূরণ হত না।”

জগন্নাথের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রী। মা পরিচারিকার কাজ করেন৷ তাই আগামী দিনে যদি সরকারি বা বেসরকারি কোনও সহযোগিতা মেলে তবে বাংলা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা রয়েছে জগন্নাথের। তার এই অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছে এলাকার বাসিন্দারা।

Souvik Roy

Mamata Banerjee: লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন কার্তিক দাস বাউলের গান, বীরভূমের রাঙা মাটির সুরে ভাসলেন মমতা

বীরভূম: আর দিন কয়েকের অপেক্ষা, তারপর এই মাসেই ১৩ তারিখ লোকসভা নির্বাচন।আর এই লোকসভা নির্বাচনের আগে একদম জোর কদমে নেমে পড়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দল। এক কথায় কেউ কাউকে এক বিন্দু জায়গা ছাড়তে নাজার।আর সেই মতোই বীরভূমে দ্বিতীয়বার জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমের লাভপুরে ফুল্লরা মন্দিরের ময়দানে জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই বীরভূমের তাপমাত্রা প্রায় ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। আর ঠিক সেই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল কেউ কাউকে এক ফোঁটা জায়গা ছাড়তে নারাজ। আর সেই মতোই প্রথমে হাসন বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত তারাপুরে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই রবিবার বীরভূমের লাভপুর ফুল্লরা মন্দিরের কাছে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন এবং তারপর সেখান থেকে জনসভার পর সেখান থেকে যান ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দিতে।

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর লোকসভার অন্তর্ভুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে রবিবার জনসভায় যোগদান করেন। দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করার পর সেখান থেকে কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা করার জন্য বক্তব্য রাখেন।প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য। প্রথমে হেলিপ্যাড থেকে অবতরণ, তারপর স্টেজে বক্তব্য এবং তারপরে কার্তিক দাস বাউলের বাউল গানে তাল মেলান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বীরভূম জেলার লাভপুর শহরের কাছে একটি মন্দির কেন্দ্রিক জনপদ। এটি বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি হিন্দু তীর্থস্থান ও পর্যটন কেন্দ্র। এই মন্দিরে কোনও বিগ্রহ নেই। আর মুখ্যমন্ত্রী স্টেজে বক্তব্য রাখতে গিয়েই ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি ফুল্লরা মন্দিরে পুজো দেবেন।

সৌভিক রায়