শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাব

Langcha: শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবে অতর্কিত অভিযান, দেখা হল কী কী? আসল কারণ কী? চমকে দেবে কারণ!

বর্ধমান: একুশে জুলাই ব্যাপক বিক্রিবাটা হয়। সভা থেকে ফেরার পথে হাজার হাজার মানুষ শক্তিগড় থেকে ল্যাংচা কেনেন। তাই তার আগে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চলল শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে ল্যাংচা বাজারে। বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশকে সাথে নিয়ে ১০টি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযান চালানো হয়। দোকানে থাকা প্যাকেট জাত দ্রবের ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ডেট দেখা হয়। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে খাদ্য তৈরির পাশাপাশি ব্যবসার কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা সেটাও দেখা হয়।

বর্ধমান উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, আমাদের কাছে এখানকার খাবার নিয়ে আগেও অভিযোগ এসেছিল। কলকাতায় কোনও বড় সমাবেশ হলে এই রাস্তা দিয়ে প্রচুর লোক যায় খাওয়া দাওয়া করে তখন খাবার নিয়ে অভিযোগ আসে। খাবারের গুণগত মান খারাপ  ও যাদের দোকানের কাগজপত্র ঠিক নেই তাঁদের আমরা নোটিশ করছি।

১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বর্ধমানের আমড়ায় এই শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব দিনে দিনে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে প্রতিদিন বেশ কয়েক লক্ষ টাকার বেচাকেনা হয় এখানে। কলকাতায় বড় রাজনৈতিক সভা হলে দলের কর্মী সমর্থকরা ফেরার পথে শক্তিগড়ে গাড়ি থামায় টিফিন করার পাশাপাশি বাড়ির জন্য প্রায় প্রত্যেকেই ল্যাংচা কিনে নিয়ে যায়।

অভিযোগ এইসব দিনগুলিতে ল্যাংচার মান অতি খারাপ হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের ল্যাংচা তৈরি করে মোটা টাকা মুনাফা লোটার চেষ্টা করে। তার ফলে বদনাম হয় শক্তিগড়ের ল্যাংচা শিল্পের। সে কারণেই এদিন হানা দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ।
বাসিন্দারা বলছেন অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ল্যাংচার ব্যবসা করে চলেছেন। অনেকেরই রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নয়। অনেকে আবার দীর্ঘদিনের পুরনো তেল, রস ব্যবহার করছেন। তার ফলে ক্রেতাদের শরীর খারাপের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চালানো প্রয়োজন।