কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের দর্শনায় দাঁড়িয়ে পড়ল।

Bangladesh Student Protests: ছাত্র আন্দোলনের আঁচে ৩ ঘণ্টা আটকে মৈত্রী এক্সপ্রেস! কী হল তার পর?

বাংলাদেশ : ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এর আঁচ রেল পরিবহণেও। শুক্রবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে বিভ্রাটে যাত্রীরা। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের দর্শনায় দাঁড়িয়ে  রইল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক বাংলা থেকে ওপার বাংলায় যেতে সমস্যার সম্মুখীন হলেন ১৩১০৯ আপ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা।

অনিশ্চয়তার প্রহর কাটছিল ট্রেনে বসেই।  সূত্রের, কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১৩ নাগাদ ছেড়ে ৯টা বেজে ১২ মিনিটে গেদে পৌঁছায় এই ট্রেন। এর পর ৯টা ৩৪ নাগাদ বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পৌঁছে যায়। তার পর থেকেই আটকে ছিল এই ট্রেন। ৯টা ৪৫ মিনিটের পর অনেকক্ষণ চালানো যায়নি ট্রেন। বহু ক্ষণ আটকে থাকার পর ১৩১০৯ ট্রেনটি বেলা ১২:২০ তে পুনরায় দর্শনা থেকে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানা যায়। তবু যাত্রাপথে আশঙ্কা থেকেই যায়।

সরকারি চাকরিতে কোটা বা সংরক্ষণে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষ চলছে দফায় দফায়। অগ্নিগর্ভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২।

আন্দোলনের জেরে জনজীবন স্তব্ধ। ঢাকা থেকে সমস্ত রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। গাড়িতে, মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের দমাতে পুলিশ হিংস্র হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ, সব জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, আগুন টেলিভিশন ভবনে

বৃহস্পতিবার আলো বন্ধ করে নির্মম হত্যালীলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হয়েছে৷ রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা, অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধের দিকে এই হামলা ঘটেছে৷ এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে টিভি সম্প্রচার ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধের দিকে ‘হাতিরঝাল’ অ়ঞ্চলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB) একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷