গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী৷

Suvendu Adhikari: ‘চোর, চোর’ স্লোগান তৃণমূলের, শুনেই তেড়ে গেলেন শুভেন্দু! নদিয়ায় তুমুল উত্তেজনা

রঞ্জিৎ সরকার, নদিয়া: তাঁকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর স্লোগান শুনে মেজাজ হারালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ রীতিমতো গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা৷ শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্য করে জুতো খুলেও দেখান তিনি৷

কয়েকদিন আগেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়েছে৷ বিজেপির হাত থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ নির্বাচনের আগে পরে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের হাতে বহু বিজেপি নেতা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ৷ এ দিন সেই নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যান শুভেন্দু৷

এ দিন বিকেলে নদিয়ার গাংনাপুর এলাকা দিয়ে শুভেন্দুর কনভয় যাওয়ার সময়ই ঘটনার সূত্রপাত৷ বিরোধী দলনেতার ওই রাস্তা দিয়ে যাবেন খবর পেয়ে আগে থেকেই সেখানে জমায়েত করেন তৃণমূলের কিছু কর্মী৷ শুভেন্দুর কনভয় ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ওই তৃণমূল কর্মীরা চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন৷ পাশাপাশি জয় বাংলা স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা৷

আরও পড়ুন: সিইএসসি অভিযানের অনুমতি পেল বিজেপি, কী কী শর্ত বেঁধে দিল হাইকোর্ট?

তৃণমূল কর্মীদের চোর, চোর স্লোগান কানে যেতেই গাড়ি থামিয়ে নেমে আসেন বিরোধী দলনেতা৷ তেড়ে যান তৃণমূলকর্মীদের দিকে৷ বিরোধী দলনেতাকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে দেখে আরও জোরে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা৷ মুহূর্তে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন শুভেন্দু নিরাপত্তা রক্ষী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ পুলিশকর্মীরও তৃণমূল কর্মীদের পিছন দিকে সরিয়ে দেন৷

এর পরে অবশ্য ঘটনাস্থল ছাড়েন বিরোধী দলনেতা৷ পরে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে কয়েকজন বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিল প্রত্যেককে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে এসেছি৷ এর পর প্রত্যেককে ধরে ধরে চিহ্নিত করে আদালতে মামলা করব৷ গাংনাপুরের ওসি-র বিরুদ্ধেও মামলা করব৷