ঢাকা: বাংলাদেশ জুড়ে অশান্তি শুরু হওয়ার পর প্রথমবার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক হল শেখ হাসিনা সরকারের৷ শুক্রবার মাঝরাতে এই বৈঠক হয় বলে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷
তবে এই বৈঠকে কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই খবর৷ তবে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে হাসিনা সরকারের কাছে আট দফা দাবি জানানো হয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে হাসিনা সরকার এই দাবিগুলি মানলে তবেই পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় যোগ দেবেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫! কারফিউর মাঝেই দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই আলোচনায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আলি আরাফত৷ অন্যদিকে আন্দোলনরত ছাত্রদের পক্ষ থেকেও তিন জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন৷
বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী ছাত্ররা জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের কাছে প্রাথমিক ভাবে আট দফা দাবি জানিয়েছেন৷ এই দাবিগুলি মানলেই সংরক্ষণ নিয়ে তাঁদের মূল দাবিগুলি নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনায় তাঁরা সম্মতি দেবেন৷ শুক্রবার শেখ হাসিনা সরকারের কাছে যে আট দফা দাবি জানানো হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি গত কয়েকদিনে সংঘর্ষে নিহতদের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া৷ এর পাশাপাশি সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন করার জন্য দায়ের করা যাবতীয় মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই আন্দোলনে যুক্ত কাউকে হেনস্থা করা হবে না, সেই আশ্বাস সরকারের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে৷ তবে শেখ হাসিনা সরকার এই দাবিগুলি কতটা মানবে তা এখনও নিশ্চিত নয়৷
কারণ শুক্রবার যেমন একদিকে এই আলোচনা হয়েছে, সেরকমই গতকাল মধ্যরাতে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ৷ ছাত্র আন্দোলনের সম্বনায়ক পদে থাকা নাহিদ ইসলাম আগেই জানিয়েছিলেন, ছাত্র হত্যার বিচার না কোনও রকম আলোচনা হবে না এবং তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷
ফলে একদিকে যখন আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে এ ভাবে ছাত্রনেতাকে গ্রেফতারের পর হাসিনা সরকার আদৌ কতটা নমনীয় হবে. তা নিয়ে সংশয় থাকছে৷