লাইফস্টাইল Vitamin: কোন ‘সবজিতে’ সবচেয়ে বেশি ‘ভিটামিন ডি’ আছে বলুন তো…? নাম শুনলে চমকে যাবেন, গ্যারান্টি Gallery July 21, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান যুগে একদিকে যেমন হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে লাইফস্টাইলজনিত একাধিক রোগ, তেমনই বাড়ছে চিকিৎসার খরচ ও ওষুধ বিষূধের দাম। মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিন্তু কেমন হয় যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে ভাল থাকার চেষ্টা করা যায়? কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধের নাগপাশে নিজেকে বেঁধে না ফেলে আয়ুর্বেদ ও ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও সুস্থ থাকা যায় বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকেরা। কিন্তু কী খাবেন আর কী খাবেন না? অথবা কে কোন খাবার খাবেন তা নিয়েও রয়েছে নানা ভিন্নমত। তাই খাওয়ার আগে নিজের শরীরের চাহিদা জানায় আবশ্যক। আর সেই জন্যই প্রয়োজন শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জ্ঞান। মানুষ তাদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এর মধ্যে বই ও সোশ্যাল মিডিয়ার নানা হ্যান্ডেলগুলি কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে আধুনিক এবং কার্যকর পদ্ধতি। এটি মানুষের সাধারণ জ্ঞানকে শক্তিশালী করে এবং এই সব মাধ্যমে তারা এমন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান যা তাঁদের সুস্থ্য জীবনধারণে দারুণ উপকার করে। পুনের মনিপাল হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েট কনসালট্যান্ট নেহা সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “ডায়েট হওয়া উচিত বিভিন্ন ধরনের খাবার সমন্বিত একটি সুষম খাদ্য যাতে অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভূত পরিমানে পাওয়া যায় যা শারীরিক কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং স্থূলতা হ্রাস করে রোগ প্রতিরোধে বড় অবদান রাখে”। যেমন আমরা সবাই জানি শরীরে প্রায়শই ভিটামিন, খনিজ ও পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে একাধিক রোগ হানা দেয়। এক্ষেত্রে অন্যতম হল ভিটামি ডি ঘাটতি যা আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে শোনা যাচ্ছে। অনেকেই তাই নানা সাপ্লিমেন্ট ইত্যাদি ট্রাই করে চলেছেন ভিটামিন ডি ঘাটতি পূরণ করতে। কিন্তু জানেন কী আমাদের বাজারেই রয়েছে এই ভিটামিনের খাজনা। কিন্তু বাজার তো রোজ যাচ্ছেন, তাহলে বলুন তো আপনি কী আদৌ জানেন কোন সবজিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে? হেলথলাইনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মানুষের মতো, মাশরুমগুলিও ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। বস্তুত এই মাশরুম কিন্তু এক্ষেত্রে দুর্দান্ত। কারণ মাশরুম প্রভূত পরিমানে ভিটামিন D2 উত্পাদন করে। মাশরুম: হেলথলাইন বলছে, কিছু মাশরুম, যেমন মাইতা মাশরুম, মোরেল এবং শিতাকে জাতের মাশরুমগুলি সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে টাটকা বাটন মাশরুম মধ্যাহ্নের সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সূর্যের সংস্পর্শে আসে। এই সময় এই মাশরুমগুলি কিন্তু উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন D2 তৈরি করতে পারে। যদিও মাশরুমগুলিকে ডায়েটের নিরিখে সবজি হিসাবেই চিহ্নিত করা হয় তবে আদতে এগুলি উদ্ভিদ নয় বরং ছত্রাক বিশেষ। যদিও এগুলি উদ্ভিদেরই বৈশিষ্ট্য মূলত শেয়ার করে। তবে একইসঙ্গে মাশরুম প্রাণীদের মতো বৈশিষ্ট সম্মতও হয়ে থাকে! মাশরুমে ক্যালোরি কম থাকে। কার্যত কোনও চর্বি নেই এবং কোলেস্টেরল প্রায় নেই বললেই চলে একইসঙ্গে সোডিয়াম মাত্রাও খুব কম। সেই অর্থে এই তালিকায় সবুজ শাক-সবজির মধ্যে শীর্ষে পালং শাক। পালং শাক ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম ধারণকারী সেরা সবজিগুলির মধ্যে একটি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ১ কাপ টাটকা পালং শাক বা আধ কাপ রান্না করা পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, BCBST.com-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বাধিক প্রোটিন পাওয়া যায় সবুজ মটরে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কাপ মটরশুটিতে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এই কারণেই মটরশুঁটিকে প্রোটিনের রাজা সবজি বলা হয়ে থাকে। মটরশুঁটি খাওয়া খুবই সহজ। কারণ চাইলে আপনি যে কোনও কিছুতে কয়েক মুঠো মটরশুঁটি যোগ করতে পারেন। পাশাপাশি এই মটরশুঁটি আপনি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সারা বছর সংরক্ষণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে নেই আলু। একটি মাঝারি আলুতে ৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যা অন্যান্য অনেক সবজির চেয়ে বেশি এবং প্রায় ১/৩ কাপ দুধের সমান। আলুতে যে প্রোটিন থাকে তার গুণমান অত্যন্ত ভাল। এটি হজম করা সহজ এবং এতে যে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে তা উচ্চ বলে মনে করা হয়। আবার সবথেকে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি হল ব্রকোলি। ১কাপ এই সবজিতে ভিটামিন সি থাকে ৯০.২%। আনারসের থেকেও বেশি। আনারস টুকরোর ১ কাপে ভিটামিন সি থাকে ৮৭.৭%। সবজি প্রসঙ্গে আরও একটি তথ্য বেশ অবাক করার মতো। তবে জেনে রাখা জরুরি। সবথেকে বেশি দামের সবজি কোনটি জানেন কী? আর কেনই বা সোনা-রুপোর মতো দামি এই সবজিটি? জানলে চোষ কপালে উঠবে যে এই বিশেষ সবজিটির প্রতি কেজিতে দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ওই সবজিটির প্রতি কেজি কিনতে গেলে খরচ করতে হবে এই বিপুল পরিমাণ টাকাই। বিশেষ এই বিশ্ববিখ্যাত সবজিটির নাম হল Hop Shoots। জানা গিয়েছে, এই সবজি ‘হপ শুটের’ বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। মূলত, ইউরোপের দেশগুলিতেই এই সবজি পাওয়া যায়। Hop Shoots হল সবুজ রংয়ের শঙ্কু আকৃতির এক ধরণের ফুল। এটি সাধারণত বিয়ার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, একাধিক চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, Hop Shoots সবজি টিবি রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে কাজে লাগে। এছাড়াও, এই বিশেষ সবজিটি মানসিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, চিন্তা, বিরক্তি, অস্থিরতা এবং অ্যাটেনশন ডেফিসিট-হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার এর চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। সব মিলিয়ে প্রভূত গুণ এই সবজিকে পৃথিবীর অন্যতম উৎকৃষ্ট ও মূল্যবান সবজি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।