অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার

Sukanta Majumdar: কেন গ্রেফতার নন ধর্মেন্দ্র প্রধান? অভিষেকের প্রশ্নের জবাব দিলেন সুকান্ত মজুমদার

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: নিট দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের মঞ্চ থেকে রবিবার প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হলে কেন ধর্মেন্দ্র প্রধান নয়? তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের বক্তব্যের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা‌ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে প্রশাসন যুক্ত। এখনও পর্যন্ত আমাদের বিরোধীরা এ ব্যাপারে কোনও তথ্য‌ প্রমাণ সামনে আনতে পারেনি যে, নিট কেলেঙ্কারির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্ত‌ কিংবা সংশ্লিষ্ট দফতর যুক্ত।’’

আরও পড়ুন– ভোট বিপর্যয়; ‌দিলীপের গলায় আক্ষেপের সুর, ‌‘সাবালক’ নয় দল…সুকান্তর বক্তব্যে শোরগোল!

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত অভিযোগ সামনে এসেছে যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি মাত্র এফআইআর দায়ের হয়েছে। আমরা আইআইটিকে দিয়ে এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করিয়েছি। যাতে এই প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে কোনও প্যাটার্ন আছে কিনা গোটা দেশে বা কোনও একটি বিশেষ শহরের ছাত্র-ছাত্রীরা সুযোগ পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে। ‌ আমরা এর সম্পূর্ণ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাব।’’

আরও পড়ুন– সোম-মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত এও বলেন, ‘‘রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত বিরোধিতা করা হচ্ছে আর অন্যদিকে নিট নিয়ে শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকর প্রচার করা হচ্ছে। উনি দুটো বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছেন। বুঝতে অসুবিধা হলে আসবেন বুঝিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরাসরি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তোলেন যে, নিট কেলেঙ্কারির পর কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও গ্রেফতার করা হবে না ?’

অভিষেক এও বলেন, ‘‘একুশে জুলাই ২০২২ সালের ঠিক পরের দিন ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে তাঁকে গ্রেফতার করে৷ যদি কেউ দোষ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আমরা কোনও দোষকে, কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিনা ৷ কিন্তু, তথাকথিত এসএসসি বা টেট কেলেঙ্কারির নাম করে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রেড করে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে, তাহলে স্বাধীন ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কেলেঙ্কারি নিট কেলেঙ্কারি, সেই নিট কেলেঙ্কারিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে ইডি কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেড করে তাঁকে অ্যারেস্ট করবে না? কেন এই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ? কেন এই দ্বিচারিতা?’’