Tag Archives: West Bengal BJP

Sukanta Majumdar: বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ,পুজোর উপহারও দিলেন সুকান্ত মজুমদার

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: বিধানসভায় গিয়ে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি পুজোর উপহারও দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলের সমস্ত বিধায়কদের জন্য পাজামা ও পাঞ্জাবি মঙ্গলবার উপহার দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন- ‘ব্ল্যাক পেপার’ পুস্তিকা প্রকাশ সুকান্তর, কী আছে বঙ্গ বিজেপির পুস্তিকায়?

পুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পদ্ম বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকার এদিন বার্তাও দেন সুকান্ত বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিধানসভায় বিজেপির সমস্ত বিধায়করা হাজির না থাকলেও যে সমস্ত বিধায়করা ছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের হাতেই এদিন সুকান্ত মজুমদারের তরফে পুজোর উপহার হিসেবে পাজামা -পাঞ্জাবি তুলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফেও বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের পুজোর উপহার দেওয়া হয় বলে খবর।

আরও পড়ুন– ‘এখানকার সব ভাল, শুধু ছেলেদের দেখলে…’ মথুরায় এসে এ কী বললেন রাশিয়ান তরুণী! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন

পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আজ, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভার গেটে সুকান্ত মজুমদারের কনভয় এসে পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানান বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেট থেকে পায়ে হেঁটে সোজা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে পৌঁছন সুকান্ত মজুমদার। যদিও শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার বাইরে থাকায় সুকান্ত- শুভেন্দু সাক্ষাত হয়নি এদিন। সুকান্ত মজুমদারকে গেরুয়া উত্তরীয় ও মিষ্টিমুখ করানো হয় পরিষদীয় দলের তরফে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিধানসভায় আসা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘বিধায়কদের সঙ্গে পুজোর আগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’’

Sukanta Majumdar: ‘ব্ল্যাক পেপার’ পুস্তিকা প্রকাশ সুকান্তর, কী আছে বঙ্গ বিজেপির পুস্তিকায়?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ২০১১ সাল থেকে এ যাবৎ নারী নির্যাতনের ঘটনার খতিয়ান তুলে ধরে ‘ব্ল্যাক পেপার’ প্রকাশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ‘‘দেশের সমস্ত রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের নারী নির্যাতনের তালিকার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী’’, তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের । যে ব্ল্যাক পেপার আজ, মঙ্গলবার প্রকাশ করা হল সেই ব্ল্যাক পেপার পুজো মণ্ডপ লাগোয়া দলীয় বুক স্টল এবং বিভিন্নভাবে দর্শনার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার জানান সুকান্ত।

বিজেপির প্রকাশ করা ২৮ পাতার ব্ল্যাক পেপারে আরজি করের পাশাপাশি কামদুনি, পার্কস্ট্রিট, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, শিলিগুড়ি, রানাঘাট-সহ একাধিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এই ব্ল্যাক পেপারে NCRB-এর নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের দাবি, ‘‘মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের যে গড় হিসেব তার গ্রাফে অনেক এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।’’

আরও পড়ুন– পুজোর আনন্দে ললিত ছন্দে এক হল দুই বাংলা; মোরগ রোস্ট স্যালাড, মাছের পিঠে, কড়াইশুটির ভুনার মতো নতুন বাঙালি পদের স্বাদ কেবল গ্রেট ইস্টার্নে

সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শামীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত পশ্চিমবঙ্গের সমাজ সমাজের সর্বত্র আজ হতাশার পরিমণ্ডল এরা যে কেউই নিরাপদ নয়, সবচেয়ে আতঙ্কিত এ রাজ্যের মহিলারা। রাজ্যের মানুষ শক্তির আরাধনা করে দুর্গা বা কালী পূজার মধ্য দিয়ে। অথচ এ রাজ্য এখন ধর্ষক ও নারী পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।’’

আরও পড়ুন- ট্রেনের টয়লেট থেকে ভেসে আসছিল অদ্ভুত শব্দ, গেট খুলতেই চমকে গেল জিআরপি, ‘এমনও হয়!’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী দলকে নেতৃত্ব দিতেন বাম আমলে তখন তিনি এ রাজ্যের মানুষকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিতেন যে, তাঁরা ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে গণতন্ত্র সম্প্রসারিত হবে, নারীরা সুরক্ষিত হবে। অথচ সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের আমলে এ রাজ্যের মহিলাদের উপর যে ভয়ঙ্কর অত্যাচার হতো, ধর্ষককে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার একটি কৌশলের ব্যবহার করা হতো, বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই বামেদেরও ছাপিয়ে গেছে।’

রাজ্য বিজেপির তরফে ‘ব্ল্যাক পেপার’ নামের যে পুস্তিকা আজ প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কু-কথা’র একাধিক অভিযোগও স্থান পেয়েছে।

Mithun Chakraborty Dadasaheb Phalke Awards: দাদাসাহেব ফালকে পাচ্ছেন মিঠুন, ‘যোগ্য লোককে যোগ্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে…’ প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু-সুকান্তর

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: তাঁদের দলের তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু- সুকান্তরা? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘যোগ্য লোককে যোগ্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার সঠিক ব্যক্তিকেই পুরস্কৃত করেন। যোগ্য অভিনেতা প্রকৃত অভিনেতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বাংলা বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর আত্মিক যোগ রয়েছে। তাছাড়া আমি যে দল করি সেই দলের তিনি একজন শুভ চিন্তক। তাই মিঠুন চক্রবর্তীকে মনোনীত করায় আমরা গর্বিত, আনন্দিত।’’

আরও পড়ুন– একই নামের তিনটি ছবি, প্রত্যেকটিতেই নায়কের ভূমিকায় কাপুর তারকা; দু’টি সুপারহিট হলেও একটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে

অন্যদিকে সমাজ মাধ্যমে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন বাংলার তথা ভারতবর্ষের অন্যতম গর্ব মাননীয় মিঠুন চক্রবর্তী মহাশয়। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলা তথা সমগ্র বাঙালি জাতির মুখ উজ্জ্বল করার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই। আমরা গর্বিত।’’

আরও পড়ুন- রাশিফল অক্টোবর ২০২৪: দেখে নিন এই মাস নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী৷ আগামী ৮ অক্টোবর এই সম্মানে ভূষিত হতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।‌ ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে বড় সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। ভারতীয় সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

গতকাল, সোমবার প্রথম কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এ খবর প্রকাশ্যে আনেন। মিঠুনকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমি আনন্দিত যে শ্রী মিঠুন চক্রবর্তী ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অতুলনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মর্যাদাপূর্ণ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি একজন সাংস্কৃতিক আইকন, তাঁর বহুমুখী অভিনয়ের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তাঁকে অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।’’

Jagannath Chatterjee: বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণের ৩ হাজার কোটি টাকা লুঠ! বিস্ফোরক অভিযোগ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: একদিকে যখন রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।‌ তখন অন্যদিকে জেলায় জেলায় প্লাবন পরিস্থিতির জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি দায়ী নয় বলে পাল্টা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে একাধিকবার সরব হয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির। আর এবার বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন– দিল্লির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বাংলার ৬ বিজেপি সাংসদ, কারা কারা পেলেন সুযোগ?

রাজ্য সরকারকে নিশানা করে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাঙ্কের ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণে চলা মুণ্ডেশ্বরীর পলি তোলা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের যে কাজ হয়েছে তা যথার্থ ভাবে করা হয়নি। ‘তোলাবাজি’-‘সিন্ডিকেট’ এর সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা।’’

রাজ্য বিজেপির এই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘যথার্থ ভাবে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার ফলে খানাকুলের ৬ লক্ষ মানুষ বানভাসি হয়েছেন। এর দায় তৃণমূল কংগ্রেসের। দামোদর অববাহিকা নিম্ন অববাহিকা ও রূপনারায়ণ অববাহিকার অন্তর্গত অন্তত ৩০ টি বিধানসভা এলাকা রয়েছে। এই সমস্ত বিধানসভার দুজন তৃণমূল বিধায়ক ছাড়া বাকি ২৮ জন শাসক দলের বিধায়ক থেকে শুরু করে ৩০ টি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও পলি সংস্কার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে‌ অন্যান্য কাজের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে নেওয়া বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ঋণের টাকা লুঠ করেছেন।’’

আরও পড়ুন– বেইরুটে ফের এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের, খতম হিজবুল্লাহর ড্রোন কমান্ডার Mohammed Srur

যদিও শাসকদলের কোন কোন বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য এখনই নাম প্রকাশ্যে আনতে চায়নি বিজেপি। তবে বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত আকারে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে দাবি করে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘‘রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর ডিভিসি সর্বকালীন রেকর্ড পরিমাণ জল ছেড়েছে। এটা একেবারে ভুল তথ্য।‌ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকলেও এই সমস্ত জায়গা থেকে অনেক আগেই জল ছাড়াতেই বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।’’

BJP: দিল্লির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বাংলার ৬ বিজেপি সাংসদ, কারা কারা পেলেন সুযোগ?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: মোদির মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বাংলা থেকে আগেই সুযোগ পেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর এবার লোকসভার সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে এ রাজ্যের একাধিক বিজেপি সাংসদ মনোনীত হলেন।

আরও পড়ুন– জাল পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে থাকার অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে গ্রেফতার বাংলাদেশি অ্যাডাল্ট ফিল্ম তারকা!

বিজেপি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বঙ্গের ৬ জন সাংসদ বিভিন্ন দফতরের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এঁরা হলেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু।‌ যাঁকে রেলের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবং পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে হোম অ্যাফেয়ার্স, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে অর্থ দফতরের , রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রতিরক্ষা দফতর এবং তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে শিক্ষা, নারী, শিশু, যুব এবং ক্রীড়া দফতরের সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– কেকেআরের নতুন মেন্টর, গৌতম গম্ভীরের জায়গায় এলেন এবার সদ্য অবসর নেওয়া ডোয়েন ব্র্যাভো

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে প্রথমে তিনটি বিষয় ভিত্তিক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কৃষি কমিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটি এবং পরিবেশ ও বন কমিটি ৷ এই কমিটিগুলি তৈরি হয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য৷ সংসদে সরকারের বৃহত্তর দায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রাথমিকভাবে এই কমিটিগুলি গঠিত হয়। পরবর্তীকালে এই ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও বিভাগগুলির অধীনে এইভাবে ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে ১৭টি ডিআরএসসি গঠিত হয়েছিল । ২০০৪ সালের জুলাই মাসে এই ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করা হয় ৷ তখন ডিআরএসসি কমিটির সংখ্যা ১৭ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করা হয় ৷ এই কমিটিতে লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যার অনুপাত প্রায় ২:১। প্রতিটি কমিটিতে লোকসভা থেকে ২১ জন এবং রাজ্যসভা থেকে ১০ জন সদস্য রয়েছেন ৷ ২৪ টি কমিটির মধ্যে ৮ টি কমিটি রাজ্যসভার সচিবালয় ও ১৬ টি লোকসভা সচিবালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। এই কমিটির চেয়ারপার্সনদের যথাক্রমে নিয়োগ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও লোকসভার অধ্যক্ষ।‌ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদরা এই কমিটিতে জায়গা পান।

Dilip Ghosh-Ashok Dinda: ‘নাটক’ ও ‘সেলফিশ’ মন্তব্য করে বিপাকে দিলীপ-অশোক ! কড়া বার্তা বঙ্গ বিজেপির

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: একজন বলেছিলেন ‘নাটক’। আর অন্যজন বলেছিলেন ‘সেলফিশ’ আন্দোলন। আরজি কর ইস্যুতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে দুই বঙ্গ বিজেপি নেতার বক্তব্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। পাল্টা আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকাও বিজেপি নেতাদের নিশানা করেন। যদিও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব প্রথম দিন থেকেই আরজি কর ইস্যুতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দুই বিজেপি নেতার বক্তব্য নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ পদ্ম শিবির।

দুই বিজেপি নেতা হলেন দিলীপ ঘোষ আর অশোক দিন্দা। একজন দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আর অন্যজন দলীয় বিধায়ক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা প্রথম দিন থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন। বিজেপির এ রাজ্যের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য কার্যত স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে দিলীপ ঘোষ কিংবা অশোক দিন্দার বক্তব্যকে দল অনুমোদন করে না।

আরও পড়ুন– শক্তি খুইয়ে দুর্বল নিম্নচাপ, আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে, ফের বৃষ্টি বাড়বে কবে থেকে? জেনে নিন

দলের দুই নেতার তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের সমালোচনা তাঁরা কোন পরিপ্রেক্ষিতে করেছেন তা তাঁর জানা নেই বলে শমীক মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ব্যক্তিগত মত কেউ প্রকাশ করতেই পারেন।’’ আর এবার বৃহস্পতিবার সল্টলেক অফিসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে আগামী দিনে আন্দোলনের রণকৌশল-সহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি এই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।‌ সুকান্ত মজুমদার, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালভিয়া-সহ বৈঠকে অন্যান্য বিজেপি পদাধিকারীদের উপস্থিতিতেই পদ্ম নেতৃত্ব স্পষ্ট জানায়, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কোনও সমালোচনা নয়। দলের নীতির বাইরে গিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না, এ ব্যাপারে শুধুমাত্র দলীয় মুখপাত্ররাই যা বলার বলবেন বলে বৈঠকে মন্তব্য করা হয় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন- ‘ভুয়ো জিএসটির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে…’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে পদ্ম নেতৃত্বের এই কড়া বার্তা এক প্রকার দিলীপ ঘোষ ও অশোক দিন্দাদের উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়। কারণ বিজেপি নেতারা মনে করেন, জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একটা বিরাট অংশের সাধারণ মানুষের যোগসূত্র রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে বিজেপির কেউ যদি সমালোচনা করেন তাহলে তার কুপ্রভাব দলে পড়তে পারে। আর এই কারণেই ‘সতর্ক’ বঙ্গ বিজেপি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে দিলীপ ঘোষ থেকে দলীয় বিধায়ক অশোক দিন্দা একাধিক প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বর্ধমানে দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘রাত জাগার পর আরজি করের যে ঘটনা তার কি কোনও পরিবর্তন হল? ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে ক’জন দোষী সাজা পেয়েছে? যাদের পদত্যাগ চেয়েছেন ওনারা, তারা প্রমোশন পেয়েছে। পিছন থেকে এই আন্দোলনকে যারা চালাচ্ছে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানোর জন্য এসব নাটক করছেন না তো? রাত জাগো, চলো রাতের বেলা একটু বাতি জ্বালিয়ে ছবি তুলে চলে আসি, এইজন্য কি দেড় মাস ধরে বাংলার মানুষ কষ্ট পেল?’’

একদিকে যখন দিলীপ ঘোষ এই একাধিক প্রশ্ন তোলেন তখন অন্যদিকে ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘‘জুনিয়র চিকিৎসকরা যে আন্দোলন করেছেন তাঁরা তা নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবে করেছেন। আরজি কর কাণ্ডে ফাঁসি কিম্বা অন্যান্য দাবি-দাওয়া ছিল না জুনিয়ার চিকিৎসকদের।‌ ওঁদের আন্দোলন ছিল ‘সেলফিশ’ আন্দোলন।’’

Bengal BJP: ‘আর অনুমতি নয়…!’ মমতার গড়ে রনংদেহি শুভেন্দু, হুঙ্কার সুকান্তরও

কলকাতা: বুধবার হাজরাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকায় সভায় আরজি কর ইস্যুতে ফের গলা চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে দলীয় সভামঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আর জি কর কাণ্ডের যারা আসল অপরাধী সেই সমস্ত মাথাদের যতক্ষণ না পর্যন্ত ধরা হচ্ছে বিজেপি আন্দোলনের রাস্তায় থাকবে।”

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “যেভাবে পুলিশ আরজিকর কাণ্ডের প্রমাণ লোপাট করেছে তারপর মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর এক মুহূর্তও উচিত নয় ক্ষমতায় থাকা।” একইসঙ্গে শারদ উৎসবের মধ্যেও রাজ্য জুড়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি আরজি কর ইস্যুকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদ মিছিল, সভা, গণস্বাক্ষর অভিযান-সহ বিজেপি টানা নানা কর্মসূচি পালন করবে বলেও এদিন জানান সুকান্ত।

আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টা…! ১৫ রাজ্য কাঁপাবে ঝড়-জল-বৃষ্টি-দুর্যোগ! কী সতর্কতা বাংলায়? আবহাওয়ার চরম আপডেট দিল IMD

একইসঙ্গে এদিন হাজরার সভামঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না।‌ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ আমরা চাই। আগামী দিনে বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটে জিতেই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’

West Bengal BJP: বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচি, মমতার গড়ে দাঁড়িয়ে কী বলবেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা? নজর রাজনৈতিক মহলের

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে আজ, বুধবার বিজেপির ‘কালীঘাট চলো’ কর্মসূচি। আরজি কর ইস্যুতে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি চাই এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ, বুধবার হাজরাতে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের সভা রয়েছে। ‌বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব আজ, বুধবার হাজরা মোড়ের‌ সভায় উপস্থিত থাকবেন।‌ এছাড়াও লকেট চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য সাংগঠনিক নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিরাও এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন– স্ব-মহিমায় ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল? ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন

আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে বিচার চাই , এই দাবিতে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের ধরনা অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একগুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। ‌ সেই কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল ‘কালীঘাট চলো’। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পুলিশের কাছে অনেক আগেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতির আবেদন জানানো হলেও কলকাতা পুলিশ সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।‌’

আরও পড়ুন– তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু এবার থেকে তৈরি হবে নন্দিনী ঘি দিয়ে, বিতর্কের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত

এরপরেই হাজরা মোড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ পদ্ম শিবির। শেষমেষ আদালত শর্তসাপেক্ষে হাজরা মোড়ে সভা করার অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই জোর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় রাজ্য বিজেপি। ‌ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আঁতুড়ঘর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির‌ অদূরে হাজরা মোড়ে‌ এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে রাজ্য বিজেপি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দলকে নিশানা করে হুংকার দিয়েছেন সুকান্ত- শুভেন্দুরা। আজ, বুধবার ফের সেই হাজরা মোড়ের সভা থেকে পদ্ম নেতাদের সুর যে সপ্তমে থাকবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। আরজি করের ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে চলেছেন বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।‌ স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে সুকান্ত, শুভেন্দু থেকে দিলীপ ঘোষরা ফাটিয়ে চলেছেন একের পর এক বোমাও।‌ ডাক দিয়েছেন আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করার। ‌এই প্রেক্ষাপটে সোমবার হাজরার প্রতিবাদ সভা থেকে পদ্ম শিবিরের নেতারা কী বলেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। ‌

Samik Bhattacharya-Ashok Dinda: অস্বস্তি পদ্মে! জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ‘সেলফিশ’! বেফাঁস বিজেপি বিধায়ক, কী বললেন শমীক?

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: দলীয় বিধায়কের ‘বেফাঁস’ মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে বঙ্গ পদ্ম শিবির।‌ আরজি কর ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের আন্দোলনকে তোপ দাগলেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। সংবাদমাধ্যমকে দিন্দা বলেন, ‘‘ডাক্তাররা তো আন্দোলন শুরু করেছিলেন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এক কথায় সেলফিশ মুভমেন্ট ছিল। চিকিৎসক তরুণীর খুন ধর্ষণের বিচার চেয়ে তো তাঁরা পথে নামেননি। যে সব দাবি নিয়ে ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেন সেগুলো তো নিজে থেকেই হয়ে যেত। বিনীত গোয়েলও সরে যেতেন। তার জন্য এভাবে আন্দোলন করা অর্থহীন।’’

আরও পড়ুন- পুলিশের ‘না’! সুকান্ত- শুভেন্দুর নেতৃত্বে বুধবার ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি ঘিরে অনিশ্চয়তা, আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় দলীয় বিধায়ক অশোক দিন্দাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি বিধায়কের এও দাবি, ‘‘আসলে নিজেদের স্বার্থ পূরণ করতেই আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে মোটেই তাঁরা পথে নামেননি।’’ বলা বাহুল্য, আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে কলকাতা-সহ দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামেন ডাক্তাররা। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে বিদেশেও। ৪২ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের চাপে বেশ কিছু দাবি দাওয়া মেনেও নিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের মাধ্যমে সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবন চত্বর থেকে আন্দোলন থেকে সরে আসার কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই বিজেপির তারকা বিধায়ক অশোক দিন্দার নিশানায় জুনিয়র ডাক্তাররা।‌

আরও পড়ুন- সৌন্দর্য আর সমাজসেবাকে মিলিয়েছেন এক খাতে, Miss India Worldwide ধ্রুবি প্যাটেলের জীবন এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা

যদিও দলীয় বিধায়কের এই ধরনের ‘বেফাঁস’ মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘উনি কি বলেছেন আমার জানা নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের ৫ দফা দাবি নিয়ে‌ যে আন্দোলন তাদের নিজস্ব কিছু দাবি থাকবেই।‌ আমরা এই আন্দলোনকে যেমন সমর্থন জানিয়েছি তেমনি সহযোগিতাও করেছি।‌ আমাদের দফা একটাই, তৃণমূলের বিসর্জন। আমি জানি না অশোক দিন্দা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। ‌তবে যে কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে।’’

West Bengal BJP: পুলিশের ‘না’! সুকান্ত- শুভেন্দুর নেতৃত্বে বুধবার ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি ঘিরে অনিশ্চয়তা, আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: হাতিয়ার আরজি কর। হাজরায় বিজেপির সভায় পুলিশের ‘না’। আগামিকাল, বুধবার হাজরায় বিজেপির সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিল। রাজ্য বিজেপির তরফে হাজরা মোড়ে সভা করার আবেদন জানিয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, পুলিশ ‘নীরব’। সভা করার অনুমতি চেয়ে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পদ্ম শিবির।

আরও পড়ুন– সৌন্দর্য আর সমাজসেবাকে মিলিয়েছেন এক খাতে, Miss India Worldwide ধ্রুবি প্যাটেলের জীবন এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের ধরনা অবস্থানের শেষ দিন মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছিলেন যে, ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হাজরা চলো’ কর্মসূচি পালন করা হবে বিজেপির তরফে। সেদিনই সুকান্ত মজুমদার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে অনুমতি না মিললে আদালতের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। ‌ রাজ্য বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের আবেদনের বিষয়ে কলকাতা পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি। ধর্মতলায় টানা ধরনা অবস্থান মঞ্চ থেকে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তার মধ্যে যেমন ছিল আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল রাজ্যজুড়ে থানা শুদ্ধিকরণ অভিযান, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে গণস্বাক্ষর অভিযান-সহ নানান কর্মসূচি।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে ঢুকেছিল ৪৭ জন জঙ্গি, আরোহীদের পণবন্দি বানিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ, আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন সকলে! তারপর…

ইতিমধ্যেই এই সব কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা ও জেলা নেতৃত্বরা অংশ নিচ্ছেন। বুধবার আরজি কর ইস্যুতে হাজরার সভাতেও সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যদেরও উপস্থিত থাকার কথা।‌ তবে এই সভা ঘিরে তৈরি হল অনিশ্চয়তা।‌ যদিও রাজ্য বিজেপি নেতারা আশাবাদী আদালতের তরফে তাদের আগামিকাল, বুধবার হাজরা মোড়ে প্রতিবাদ সভা করার অনুমতি মিলবে।‌