বন্দরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবোঝাই গাড়ি

Bangladesh Protest: অশান্ত বাংলাদেশ! ভারতের দৈনিক বাণিজ্য ক্ষতি প্রায় ১৮ কোটি!

মালদহ: অশান্ত বাংলাদেশ। দেশ জুড়ে কার্ফু জারি। ভারতের দৈনিক লোকসান প্রায় ১৮ কোটি। শুধুমাত্র মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দরে এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার লোকসান। কারণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মহদিপুর স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। অনান্য স্থলবন্দর গুলি কয়েকদিন আগেই বন্ধ করা হলে মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দরে পণ্য বোঝাই লড়ি যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। আপাতত বাংলাদেশ সরকার ২২ জুলাই পর্যন্ত আমদানি রফতানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে। ফলে বন্ধ করা হয়েছে মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি। বহু পণ্য বোঝাই লড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে মহদিপুরে। তারমধ্যে কিছু কাঁচা সবজি ও ফলের গাড়ি রয়েছে। দ্রুত আমদানি রফতানি চালু না হলে লড়িতে পচনশীল পণ্যগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। লোকসানের মুখে পড়বেন ভারতীয় রফতানিকারকেরা। রফতানিকারক ভূপতি মন্ডল বলেন, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে রফতানি। আমাদের লোকসান হচ্ছে। গাড়িতে পণ্য বোঝায় রয়েছে। পেঁয়াজ সহ অন্যান্য পচনশীল পণ্যগুলি নষ্ট হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ চোখে-মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে ফুলবাড়ী হয়ে ভারতে পড়ুয়ারা

মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে মূলত পাথর বাংলাদেশে রফতানি করা হয়। এছাড়াও এখান দিয়ে ইদানিং পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা ও বিভিন্ন ফল রফতানি শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে ৪০০ বছর লড়ি বাংলাদেশ যায়। বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে, সমস্ত বন্দরগুলি। তার মধ্যে রয়েছে মালদহের মহদিপুর স্থল বন্দর। জানা গিয়েছে এই মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি করে ভারত সরকারের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য শুল্ক থেকে ভারত সরকারের রোজগার হয়, প্রায় দুই কোটি টাকা। কিন্তু হঠাৎ বাংলাদেশে কার্ফু জারি হওয়ায় রফতানি বন্ধ হয়ে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে লোকসান হচ্ছে ভারত সরকারের। মহদিপুর স্থল বন্দরের আধিকারিক দেশদুলাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই দিন আমদানি রফতানি বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে এই বন্দর থেকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। রফতানিকারক বন্ধ থাকায় লোকসান হচ্ছে সরকারের।

পরিস্থিতি এখনও উত্তাল রয়েছে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতিতে কবে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক হবে তা কারো জানা নেই। এদিকে মহদিপুর সীমান্তে একের পর এক পণ্য বোঝায় লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাথরের কোন ক্ষতি না হলেও পচনশীল পণ্যগুলি দ্রুত রফতানি করতে না পারলে ব্যবসায়ীরাও লোকসানের মুখে পড়বেন। কবে স্বাভাবিক হবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারপরে হয়তো ফের চালু হবে অন্যান্য স্থল বন্দরের সঙ্গে মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি।

হরষিত সিংহ