চোখে-মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে ফুলবাড়ী হয়ে ভারতে পড়ুয়ারা

Bangladesh Protest: চোখে-মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে ফুলবাড়ী হয়ে ভারতে পড়ুয়ারা

শিলিগুড়ি: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে, আহত বহু।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেমেছে রাস্তায় বাংলাদেশের সেনা। জারি হয়েছে কারফিউ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরছে ছাত্ররা।

জানা গিয়েছে প্রায় ৩০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া দেশে ফিরে এসেছে।ফিরে আসাদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তারি পড়ুয়া। তাঁদের অধিকাংশই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুরাতে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর এবং মেঘালয়ের ডাউকিতে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: রাস্তার ধারেই ওঁতপেতে…এক ছোবলেই মৃত‍্যু! সাপ কামড়ে দিলে ১০০ মিনিটের মধ‍্যে অবশ‍্যই করুন এই কাজ, জানালেন চিকিত্‍সক

ইতিমধ্যেই কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিকেল কলেজের ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কারফিউ থাকায় গত কয়েক দিন থেকে রাস্তায় বেরোতে পারছিলেন না অনেকেই। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে, বন্ধ যানবাহনও।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের তথা প্রতিবেশী দেশ নেপাল এবং ভুটানের পড়ুয়াদেরও ফেরাতে সাহায্য করছে ভারত সরকার।
এখনও পর্যন্ত ফুলবাড়ি দিয়ে মোট ভারতে ফিরেছেন ৫৬ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তারি পড়ুয়া। তাঁদের অনেকের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও না কোনও কোর্স করছিলেন তাঁরা। বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতিতে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই আপাতত দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: হ‍্যান্ডসাম অভিনেতা থেকে আইএএস অফিসার! সাফল‍্য সত‍্যিই ‘হাতের মুঠোয়’ আইআইটি খড়্গপুরের এই ছাত্রের, র‍্যাঙ্ক জানলে ছিটকে যাবেন

বাংলাদেশে ভেটেরিনারি পড়তে গিয়েছিল অসমিতা কারকি। তিনি জানান, ‘‘আমাদের কলেজের ওখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য জায়গায় খুব নাজে অবস্থা। নিরাপত্তার সমস্ত আশ্বাস দেওয়া হলেও নানা আশঙ্কায় দিন কাটছিল। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তাই বাড়িতে ফিরে এলাম।’’

অনির্বাণ রায়