Category Archives: শিলিগুড়ি
Weather Updates: দক্ষিণ ও উত্তর দুই বঙ্গেই টানা চলবে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! কোথায় জারি হল কমলা সতর্কতা? জানুন
Summer Travel: পাহাড়ের কোলে এক টুকরো স্বর্গ! গরমের ছুটিতে যান এই ৫ অচেনা পাহাড়ি গ্রামে! খুব সস্তা! জানুন
Darjeeling Paragliding Service: পর্যটকদের জন্য সুখবর! সাত বছর পর দার্জিলিংয়ে চালু হল দারুণ এক পরিষেবা
Bangla Video: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! এবার ঘুরতে গিয়ে আরও সুবিধা
শিলিগুড়ি: পর্যটকদের জন্য দারুন খবর। এবার উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাজলডোবা যাওয়া যাবে আরও তাড়াতাড়ি। ভোরের আলো’র পথে ক্যানাল রোডে সেতু সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো। এতদিন সেই ‘ভোরের আলো’য় পৌঁছতে নাজেহাল হতে হচ্ছিল পর্যটক সহ গ্রামবাসীদেরও।
প্রায় ২ বছর আগে, সাহুডাঙি থেকে গাজোলডোবা যাওয়ার পথে করতোয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর সেই সেতু সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন থমকে ছিল। বিকল্প পথ হিসেবে সকলে আমবাড়ি হয়ে গাজোলডোবায় যাচ্ছিলেন। কেউবা নদী পার করে জঙ্গল হয়ে শহরে যাতায়াত করতেন। তবে সেই পথে যাওয়াটাও নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন
আমবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেট থাকায়, সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এবিষয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা মিলছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে অবশেষে করতোয়া সেতুর পাশে ডাইভারশন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ডাইভারশন খুলে দিলেই এই রাস্তা দিয়ে ‘ভোরের আলো’ আরও তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা ভগবান সিংহ জানান, এই সেতু সংস্কারের কাজ বহুদিন ধরে আটকে ছিল। ফলে যাতায়াতে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেহেতু কোনও বড় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না, তাই শুধুমাত্র বাইক নিয়েই পারাপার করা যায়। তবে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এই রাস্তা তৈরি হলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
ব্রিজের কর্মরত সুপারভাইজার শরৎ চৌধুরি বলেন, বিগত এক বছর ধরে আমরা এই ব্রিজ মেরামতির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। গজলডোবা যাওয়ার পথে করোতোয়া এবং নিম দুটি সেতু পরে। এই দুইটি সেতুর অবস্থাই খুব একটা ভাল নয়। তাই ডাইভারশন তৈরির কাজ চলছে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই এটি খুলে দেওয়া যাবে। ডাইভারশন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করা শুরু হলে পাশ দিয়ে নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে। অন্যদিকে গাজলডোবা ঘুরতে যাচ্ছিলেন শঙ্কর মাহাত। তিনি বলেন, এই ব্রিজটা তৈরি হয়ে গেলে সত্যিই আমাদের খুব সুবিধা হবে। নয়ত আমবাড়ি দিয়ে ঘুরে যেতে অনেকটাই সময় লাগে, মাঝে রেল ব্রিজ পড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই ডাইভারশন দিয়ে যাতায়াতটা শুরু হলে অন্তত আধা ঘন্টা সময় বাঁচবে।
অনির্বাণ রায়
Rabindranath Tagore Birth Anniversary: আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে অবস্থিত ‘উত্তরের শান্তিনিকেতন’-এর মন্দিরে ঈশ্বর রূপে পূজিত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ঠাকুরনগর এলাকায় অবস্থান মন্দিরের। লোকমুখে “উত্তরের শান্তিনিকেতন” বলেই পরিচিত এই জায়গাটি।শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা শংকর ঘোষ ২০০২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শংকর বাবুর কথায়, তাঁর গুরু শরৎচন্দ্র দাস মহাশয়ের ইচ্ছায় “শ্রী শ্রী গৌড় ভবামিত বিশ্ব কল্যাণকামী হরিগুরু সংঘ” শুরু করেছিলেন। এই সংঘের নামটিও রবি ঠাকুরের দেওয়া বলে তাঁদের দাবি। শংকর বাবুর গুরুদেব ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরম ভক্ত। গুরুর আদেশ মতোই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বের দরবারে পূজিত করার লক্ষ্যে মন্দির স্থাপনা করেছিলেন তিনি এবং পুজোও শুরু করেছিলেন এই মন্দিরে। মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্মবার্ষিকীতে সকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে মনে করলেও, আজও তিন বেলা রবি ঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে। জন্মবার্ষিকীতে ভোগ দিয়ে, রীতিমতো ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে এখানে।
তিন বিঘা জমির উপর ঠাকুরনগরের “উত্তরের শান্তিনিকেতন” তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা চিন্তা করে। তবে সাহায্যের অভাবে পরিকাঠামোগত অভাবে আজও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে শংকরবাবুর।
আরও পড়ুন : গরমে বিউলির ডাল খাচ্ছেন? এঁরা ভুলেও কলাইয়ের ডাল খাবেন না! এই ডাল খেলেই চরম বিপদ এঁদের
মন্দিরের পূজো দিতে এসে শংকরবাবু বলেন, ” গোটা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যে মন্দিরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা দিয়ে থাকি আমরা। প্রতিদিন তিন বেলা পুজো দেওয়া হয়। এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নিজের হতে পায়েস রান্না করে ভোগ দিই।” করোনা কালের পর থেকে যদিও সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান পালন করা বন্ধ হয়েছে।
শংকর বাবু আরও জানান, “আমি আজও দুয়ারে দুয়ারে ছুটছি সাহায্যের জন্য, সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এলেই এখানে গরিব অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয়ের জায়গা তৈরি করব।” বর্তমানে শংকর বাবু এবং মন্দিরের এক পূজারী রয়েছেন। তাঁরাই মন্দিরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।
IMD Weather Update: ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝড়ের দাপট, আকাশ কালো করে বৃষ্টি! সপ্তাহ জুড়ে কোথায় হবে তাণ্ডব
Dotara Making: দোতারাকে সঙ্গী করে দিব্যি আছেন শিলিগুড়ির সুভাষ
শিলিগুড়ি: “ভাল কইরা বাজাও গো দোতারা / সুন্দরী কমলা নাচে…”
এই গান সকলেই শুনেছেন। দোতারার সুরে কমলারা আজকাল নাচে না। বর্তমানে দোতারার জায়গা করে নিয়েছে উকুলেলে। কালের বিবর্তনে আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হারিয়ে গেছে এমনই অনেক বাদ্যযন্ত্র। এসবের জায়গায় দখল করে আছে আধুনিক ঘরানার নানান বাদ্যযন্ত্র। বর্তমানে সঙ্গীতে পাশ্চাত্য যন্ত্রের বেশি ব্যবহার এবং দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের প্রতি অনান্তরিকতা ও উদাসীন মনোভাবের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দোতারা। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রশিল্পীরা দীর্ঘদিন চর্চা করেও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনার সুযোগ, পরিবেশের অভাবে চর্চার আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এমনি পরিস্থিতিতে দোতারা চর্চার ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিগত কয়েক বছর ধরে নিজের হাতে দোতারা তৈরি করছেন শিলিগুড়ির ক্ষুদিরাম কলোনির বাসিন্দা সুভাষ কর্মকার। ছোটবেলার বাবার কাছে দোতারায় গান শেখেন। দোতারা বাদক হিসেবে প্রচুর জায়গায় অনুষ্ঠান করেছেন। তবে মাঝে পেটের টানে অন্য পেশায় যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু দোতারাকে তিনি ভুলতে পারেননি সুভাষ। নিজের হাতে দোতারা বানিয়ে এখন তাঁর দিব্যি কাটছে। নাতিদের নিয়ে মাঝে মাঝে দোতারার পাঠও দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, এই দোতারাকে সম্বল করেই আমার বেঁচে থাকা। এখন সবাই দেশী বাদ্যযন্ত্র ভুলে পাশ্চাত্য বাদ্যের প্রেমে পড়েছে। তবে আমি আমার মাটির জিনিসকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে লবণ সহনশীল বিকল্প চাষ! প্রশিক্ষণ বাসন্তী ও কুলতলিতে
সুভাষবাবু আরও জানান, এখন ক্রেতাও সঠিকমূল্য না পাওয়ায় বাদ্যযন্ত্রের প্রস্তুতকারক ও মেরামতকারীরা পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন। ধীরে ধীরে এসব বাদ্যযন্ত্রের ক্রেতা কমে যাওয়ায় কারিগরদেরও এখন আর সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকেই পেটের দায়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য পেশায়। তবে তিনি কিন্তু হাল ছাড়েননি। শিলিগুড়িতে সুভাষবাবু একমাত্র দোতারা প্রস্তুতকারক হিসেবে পরিচিত। অর্ডার অনুযায়ী তিনি দোতারা তৈরি করে থাকেন। এক একটা দোতারা তৈরি করতে তাঁর তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। সকাল থেকেই ছেনি, হাতুড়ি, বাটালি নিয়ে বসে পড়েন দোতারা তৈরিতে। এর মাঝেই নাতি এসে গান শোনাতে বললে তাদের আবদার মেটাতে কিন্তু ভোলেন না সুভাষ
অনির্বাণ রায়