সিভিক ভলেন্টিয়ার 

Civic Volunteer: মিচকে’র ভরসায় রাত হলেই নানান জায়গায় ছুটে যান সুরজিৎ! সিভিক ভলেন্টিয়ারের অবাক জীবন

পূর্ব বর্ধমান: পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও সুরজিৎ পাত্রের জীবনযাত্রা একদম ভিন্ন রকমের। আর পাঁচটা অন্যান্য সিভিক ভলেন্টিয়ারের মত সুরজিতকেও ডিউটি করতে হয়। তবে ডিউটি সামলানোর পরেও নিজের পরিবারের জন্য তাঁকে বিভিন্ন সময় ছুটে যেতে হয় নানান জায়গায়।

পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ পাত্র। বর্তমানে সুরজিৎ আউশগ্রাম থানার গুসকরা ফাঁড়ির অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। জন্ম থেকেই তাঁর একটা কিডনি নেই। অন্যদিকে তাঁর বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি করে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চালানো বড় দায়। তাই সংসারের হাল ধরতে এখন সুরজিতের একমাত্র ভরসা ‘মিচকে’। মিচকেকে জড়িয়ে ধরেই আলাদাভাবে উপার্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই সিভিক ভলেন্টিয়ার।

আর‌ও পড়ুন: বারবার ভাঙনে কতটা সুরক্ষিত কপিলমুনির আশ্রম? বিশেষ বার্তা প্রশাসনের

আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলা পুতুলের ছবি দেখা যেত। একজন ব্যক্তির কোলে থাকত একটা পুতুল। আর ওই ব্যক্তির সঙ্গে সেই পুতুলকে কথা বলতে দেখা যেত। এই শিল্পকলাকে ইংরাজিতে বলা হয় ‘ভেন্ট্রিলো কুইজ’ এবং বাংলায় বলা হয় মায়াস্বর। ঠিক সেরকমই মিচকে হল সুরজিৎ পাত্রের কথা বলা পুতুলের নাম। মিচকে’কে সঙ্গে নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় এখন অনুষ্ঠান করেন সুরজিৎ পাত্র। এই বিষয়ে তিনি জানান, লকডাউনের সময় জানতে পারি জন্ম থেকেই আমার একটা কিডনি নেই। অনেক কিছু মেন্টেন করে আমাকে থাকতে হয়। বাবা অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী, কিন্তু তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। সেই হিসেবে আমার এবং আমার ভাইয়ের উপরেই সংসারের গুরু দায়িত্ব চলে এসেছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরির সঙ্গে সঙ্গে আমি এক্সট্রা উপার্জনের জন্য ভেন্ট্রিলো কুইজের মাধ্যমে স্টেজ অ্যাঙ্কারিং করে।

এই সিভিক ভলেন্টিয়ারের জীবন যুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকা এবং পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমের এই ঘটনা সারা ফেলে দিয়েছে। সকলেই তাঁর প্রশংসা করেছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী