ভগবান শিবের প্রিয় মাস শ্রাবণ শুরু হয়েছে ২২শে জুলাই থেকে। শ্রাবণ মাসে ভগবান ভোলেনাথের পূজা করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। ভগবান মহাদেবকে খুশি করার জন্য শিবভক্তরা শাস্ত্রে বর্ণিত সমস্ত ব্যবস্থা করে থাকেন। একটি সহজ সমাধান হল বেলপাতা নিবেদন করা।কথিত আছে যে বেলপাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়, এটি ছাড়া শিবের পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ, শিবরাত্রি, প্রদোষ, সোমবার ইত্যাদি উপবাসের সময় বেলপাতা নিবেদন করা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়।শিবলিঙ্গে বেলপাতা নিবেদন করলে ভোলেনাথের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তবে বেলপাতা দেওয়ার সময় নিয়ম ভুল হলে রুষ্ট হন মহাদেব৷ পুরীর কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষী ডক্টর গণেশ মিশ্রের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক, শিবলিঙ্গে বেলপাতা দেওয়ার সঠিক উপায় কী?ভোলেনাথকে বেলপাতা নিবেদন করার সময় দেখবেন যেন তিনটি পাতা অবশ্যই থাকে। অন্যথায় এটি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।বেলপাতা বাছাই করার সময় খেয়াল রাখবেন এর পাতা যেন কাটা বা ছেঁড়া না হয় এবং এতে যেন কোনও প্রকার দাগ না থাকে। বেলপাতা তাজা হওয়া উচিত, এটি শুকিয়ে যেন না যায়।বেলপাতা নিবেদনের আগে জল দিয়ে ধুয়ে ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর শিবলিঙ্গে জল নিবেদনের পর বেলপাতার মসৃণ অংশ অর্থাৎ সোজা দিকটা শিবলিঙ্গে স্পর্শ করতে হবে। মসৃণ দিক থেকে শিবলিঙ্গে বেলপাতা নিবেদন করা হয়।জ্যোতিষীর মতে, বেলপাতা অর্পণের সময় বেলপাতা অর্পণ মন্ত্র পাঠ করা উচিত। মনে না থাকলে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রও জপ করতে পারেন।আপনি যদি শিব মন্দিরে গিয়ে থাকেন এবং বেলপাতা না থাকে তাহলে চিন্তা করবেন না। শিবলিঙ্গে ইতিমধ্যে দেওয়া বেলপাতাটি তুলে নিন এবং জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর এটি ভগবান শিবকে নিবেদন করুন। একবার দেওয়া বেলপাতা আবার ব্যবহার করা যেতে পারে।শিবের পূজার সময়, আপনি শিবলিঙ্গে ৫, ১১, ২১ সংখ্যায় বেলপাতা অর্পণ করতে পারেন। বেলপাতায় রামের নাম লিখে ভগবান শিবকে নিবেদন করলে ভোলেনাথ খুব খুশি হন।
