Tag Archives: Lord Shiva

Bangla Video: আয়লা, আমফানে সুন্দরবনের একমাত্র এই বেল গাছের কিছু হয়নি! সে যেন সাক্ষাৎ মহাদেব

উত্তর ২৪ পরগনা: মন্দির বা শিবলিঙ্গ নয়, গাছকে এখানে শিবরূপে পুজো করা হয়। গত দুই শতাব্দী ধরে এই রীতিই চলে আসছে হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর গ্রামে।

গ্রাম বাংলার প্রায় সব হিন্দু পরিবারেই দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো হয়। আর শিবের পুজোয় বেল পাতা থাকবেই। হিন্দু ধর্মের মানুষরা বিশ্বাস করেন, বেল ও বেল পাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। তাই পুজোর সময় তাঁকে বেলপাতা নিবেদন করা হয়। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ২০০ বছরের প্রাচীন এক বেল গাছকেই বছরের পর বছর ধরে শিবের প্রতীক হিসেবে পুজো করে আসছেন এলাকার মানুষরা।

আর‌ও পড়ুন: বান্ধবীকে নিয়ে নৌকায় তুমুল মদ্যপান, হঠাৎ বার্জে ধাক্কা! তারপর ৬ জনের যা হল

এখানকার অনেকে বিশ্বাস করেন, বেলপাতা নিবেদন করলে মহাদেব খুব খুশি হন। তবে বেল গাছকেই শিবের প্রতিরূপ হিসেবে পুজো করার এই ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। স্থানীয়রা জানান, শাস্ত্রী বাড়ির এই বেল গাছ বহু পুরনো। প্রথম থেকেই এই বেল গাছকে পুজো করা হচ্ছে। তবে ঠিক কত সালে এই পুজো শুরু হয়েছিল সেই বিষয়টি কেউই আজ আর পরিষ্কার করে বলতে পারেন না। তবে শাস্ত্রী পরিবারের দাবি, পুজোটি ২০০ বছরের বেশি পুরনো। কথিত আছে, এই গাছ আমফান, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছে গেলেও আবারও যেন তার পুনর্জন্ম হয়। তা থেকে মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তি আরো বেড়েছে।

জুলফিকার মোল্যা

Lord Shiva: বট গাছের মধ্যে বসে আছেন শিব! দর্শনেই যা চাইবেন ফলে যাবে! ঘরে বসেই দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভক্তি ভরে ডাকলে পূরণ হয় মনের আশা। প্রান্তিক গ্রামে পুরানো বটগাছের কোঠরে থাকা শিবলিঙ্গকে ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। প্রাচীন ইতিহাস ও ভক্তি যেন মিলেমিশে একাকার এখানে।গ্রামের নয়, দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে পুজো দিতে। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে পুরানো এক বটগাছ। তার নেমে আসা ঝুরি, ঘিরে রেখেছে একটি শিবলিঙ্গকে। এটি আসলে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় প্রাচীন এক শিবমন্দির। দুর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায় এই মন্দিরে পুজো দিতে। তবে মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনারও। প্রকৃতি এবং বিশ্বাস এখানে মিলেমিশে একাকার।

ঠিক যেন বিশ্বাসে মিলায় ভগবান। বাইরে মন্দিরের দালান থাকলেও পুরোনো বটগাছের কোঠরে অবস্থান শিবলিঙ্গের। এ যেন পরিচিত মন্দিরের অন্য ছবি। এখানেই প্রায় দেড়’শ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন মহাদেব। পরিবারের সমস্যা থেকে নানা মনস্কামনা পূরণের আশা নিয়ে আসেন দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে ভক্তরা। পুজো করেন গাছের কোঠরের ভেতরে গিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ছাতারকোল গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন শিবালয় মন্দিরটি।

আরও পড়ুন: সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে? শরীর যেন চলেই না! খালি পেটে খান এই ফুলের বীজ!

প্রসঙ্গত জঙ্গল ছিল গ্রামীণ এলাকার এই স্থান। দেড়’শ বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পান মহাদেব এখানে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এরপর থেকেই রীতিনীতি মেনেই এখানে হয় শিবের উপাসনা। তবে গ্রামীন এলাকার এই মন্দিরে এলে মন জুড়াবে আপনার। একাত্ম হতে পারবেন আধ্যাত্মিকতা এবং প্রকৃতির সঙ্গে। ১৫০ বছরের এই প্রাচীন ছাতারকোল শিবালয় মন্দির। প্রতিদিন নিত্য পুজো হলেও বছরের চৈত্র মাসের নির্দিষ্ট দিনে বড়পুজো হয় এখানে। হয় গাজন উৎসব।

বিভিন্ন জায়গায় বড় মন্দির থাকলেও এখানে নেই সুউচ্চ মন্দির। ঠাকুর দালান থাকলেও সেটি রয়েছে গাছের কাণ্ড ছাড়িয়ে। তবে আসল মন্দির বা দেবস্থানটি রয়েছে বটগাছের কোঠরে। বাইরে দালান থাকলেও মন্দিরের উপর নেই কোনও ছাউনি। রোদ, জল-বৃষ্টিতে গাছের আচ্ছাদনেই থাকেন মহাদেব। মনস্কামনা পূরণের পর এসে পুজোও দেন অনেকে। একবার ঘুরে দেখুন গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত এমন মন্দির, যা আচ্ছাদিত গাছের ঝুরিতে।

রঞ্জন চন্দ

Gajan Festival: মুখে রং মেখে সং সাজা! গাজন উৎসবের প্রাচীন রীতি আজও রয়েছে

চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে গাজন উদযাপন হয়। বহু প্রাচীন উৎসবটি লেখক ও নাট্যকার কালীপ্রসন্ন সিংহের রচনায় উল্লেখ পাওয়া যায়, যিনি গ্রাম বাংলায় তাঁর রচনার জন্য পরিচিত ছিলেন।
চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে গাজন উদযাপন হয়। বহু প্রাচীন উৎসবটি লেখক ও নাট্যকার কালীপ্রসন্ন সিংহের রচনায় উল্লেখ পাওয়া যায়, যিনি গ্রাম বাংলায় তাঁর রচনার জন্য পরিচিত ছিলেন।
গাজন উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালী, শিব সহ বিভিন্ন রূপে সং সাজেন ভক্তরা।
গাজন উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় কালী, শিব সহ বিভিন্ন রূপে সং সাজেন ভক্তরা।
ঢাকের বাদ্যি, ভোলা মহেশ্বরের নামে সন্ন্যাসীদের গর্জন ও গাজনগীতিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। বাঙালি মেতে ওঠে গাজন উৎসবে।
ঢাকের বাদ্যি, ভোলা মহেশ্বরের নামে সন্ন্যাসীদের গর্জন ও গাজনগীতিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। বাঙালি মেতে ওঠে গাজন উৎসবে।
গাজন উৎসবে ধর্মরাজ বা যমরাজ পূজিত হন।
গাজন উৎসবে ধর্মরাজ বা যমরাজ পূজিত হন।
গাজন উৎসব ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে উদযাপিত একটি লোক উৎসব। এই উৎসব শিব, মনসা ও ধর্মরাজ ঠাকুরের পুজো কেন্দ্রিক হয়।
গাজন উৎসব ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে উদযাপিত একটি লোক উৎসব। এই উৎসব শিব, মনসা ও ধর্মরাজ ঠাকুরের পুজো কেন্দ্রিক হয়।
চৈত্র সংক্রান্তির গাজনে কালীর নাচও একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। আর ধর্মের গাজনের বা ধর্ম ঠাকুরের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড শব নিয়ে নাচ।
চৈত্র সংক্রান্তির গাজনে কালীর নাচও একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। আর ধর্মের গাজনের বা ধর্ম ঠাকুরের গাজনের বিশেষ অঙ্গ হল নরমুণ্ড নিয়ে নাচ।
প্রাচীনকাল থেকেই রাঢ়বঙ্গের শৈব-সংস্কৃতির একটি বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে গাজন। গাজন কথাটির মানে হল, গাঁ বা গ্রাম এবং জন বা জনগণ। অর্থাৎ গাজন হল গ্রামের জনগণের নিজস্ব উৎসব।
প্রাচীনকাল থেকেই রাঢ়বঙ্গের শৈব-সংস্কৃতির একটি বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে গাজন। গাজন কথাটির মানে হল, গাঁ বা গ্রাম এবং জন বা জনগণ। অর্থাৎ গাজন হল গ্রামের জনগণের নিজস্ব উৎসব।

Nil Shasthi: নীলের ব্রত পালনে মন্দিরে মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়

পূর্ব মেদিনীপুর: বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। চৈত্র মাসে শিবের গাজন ও চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় বাংলা বছর। গাজন ও চড়ক পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নীল পুজো। প্রচলিত বিশ্বাস, নীল পুজোর দিন মহাদেবকে তুষ্ট করলেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা। ফলে এই নীল পুজোর দিন পূর্ণ্যার্থীদের শিব মন্দিরে মন্দিরে ভিড় করতে দেখা যায়। নীল পুজোর আগে ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে মানতের পুজো দেন, শিবের মাথায় জল ঢেলে ভঙ্গ করেন ব্রত।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত মিরিকপুর গ্রামের প্রাচীন চন্দ্রেশ্বর মন্দিরে নীল পুজো উপলক্ষে এদিন পূর্ণার্থীদের ভিড় নজরে এল। গ্রামবাংলার অন্যতম প্রাচীন ও লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক গাজন উৎসব। গ্রাম বাংলার শিব মন্দিরে মন্দিরে চৈত্র মাসে এই গাজন উৎসব পালিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় গাজন উৎসব। এই গাজন উৎসবের মূল হল নীল পুজো। নীল পুজো অর্থাৎ হর পার্বতীর মিলন উৎসব। নীল পুজো উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য নদী থেকে জল তুলে বিভিন্ন শিব মন্দিরে এসে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন পুণ্যার্থীরা।

আর‌ও পড়ুন: চৈত্র শেষে গাজন উৎসব গোটা জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কিছু প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর চৈত্র মাসে গাজন উৎসব ও নেই পুজো হয়ে থাকে। তমলুক ব্লকের মিরিকপুর গ্রামের চন্দ্রেশ্বর জিউ শিব মন্দিরে গাজন উৎসব উপলক্ষে নীলর দিন সন্ন্যাসী সহ পুণ্যার্থীর জল, দুধ ঢালার ভিড় দেখা যায়। বহু পুণ্যার্থী জল ও দুধ দিয়ে পুজো দিতে আসেন আসেন প্রায় ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রেশ্বর জীউ শিব মন্দিরে।

তমলুকের রূপনারায়ণ নদী থেকে জল তুলে পায়ে হেঁটে মন্দিরে আসেন পূর্ণার্থীরা। কথিত আছে এই মন্দিরে দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পুণ্যার্থীরা যা মানত করেন সেই মনস্কামনা পূরণ হয়। ফলে প্রতিবছর মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

সৈকত শী

Sarvartha Siddhi Yog: রাত পোহালেই ঐশ্বরিক রাজযোগ! চৈত্র শিবরাত্রিতে সর্বার্থ সিদ্ধিযোগে ফুলে ফেঁপে উঠবে সৌভাগ্য, জীবনে বিরাট পরিবর্তন…

এবার চৈত্র শিবরাত্রিতে তিনটি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে যে কাজই করুন না কেন, তাতে সাফল্যের আশা বেশি থাকে। এই শুভ যোগে, আপনি যে সমস্ত ইচ্ছা নিয়ে শিবরাত্রির পুজো করবেন তা ভগবান ভোলেনাথের কৃপায় পূর্ণ হতে পারে।
এবার চৈত্র শিবরাত্রিতে তিনটি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে যে কাজই করুন না কেন, তাতে সাফল্যের আশা বেশি থাকে। এই শুভ যোগে, আপনি যে সমস্ত ইচ্ছা নিয়ে শিবরাত্রির পুজো করবেন তা ভগবান ভোলেনাথের কৃপায় পূর্ণ হতে পারে।
৭ এপ্রিল, রবিবার অর্থাৎ আগামীকাল চৈত্র শিবরাত্রি পড়েছে৷  পুরীর কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষী ডক্টর গণেশ মিশ্রের কাছ থেকে জেনে নিন চৈত্রের শিবরাত্রির পুজোর পদ্ধতি, পুজোর নিয়ম, শুভ যোগ ও শুভ সময় কী কী রয়েছে৷
৭ এপ্রিল, রবিবার অর্থাৎ আগামীকাল চৈত্র শিবরাত্রি পড়েছে৷ পুরীর কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষী ডক্টর গণেশ মিশ্রের কাছ থেকে জেনে নিন চৈত্রের শিবরাত্রির পুজোর পদ্ধতি, পুজোর নিয়ম, শুভ যোগ ও শুভ সময় কী কী রয়েছে৷
৩টি শুভ যোগে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে চৈত্রের শিবরাত্রি পালিত হয়। এবার চৈত্র মাসিক শিবরাত্রিতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে। সেই দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ  দুপুর ১২:৫৮  থেকে ০৬:০৩ (AM) পর্যন্ত। দুপুরের পরে শিবরাত্রি পুজো করলে ভাল হবে কারণ সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের পুজো করলে বেশি ফল পাওয়া যায়৷
৩টি শুভ যোগে প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে চৈত্রের শিবরাত্রি পালিত হয়। এবার চৈত্র মাসিক শিবরাত্রিতে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে। সেই দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ দুপুর ১২:৫৮ থেকে ০৬:০৩ (AM) পর্যন্ত। দুপুরের পরে শিবরাত্রি পুজো করলে ভাল হবে কারণ সর্বার্থ সিদ্ধি যোগের পুজো করলে বেশি ফল পাওয়া যায়৷
এছাড়াও ওই দিন সকালে ব্রহ্ম যোগ শুরু হবে, যা চলবে রাত ১০:১৭ পর্যন্ত। তারপর ইন্দ্র যোগ সেই সময় থেকে পরের দিন ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ০৬:১৪ পর্যন্ত চলবে।
এছাড়াও ওই দিন সকালে ব্রহ্ম যোগ শুরু হবে, যা চলবে রাত ১০:১৭ পর্যন্ত। তারপর ইন্দ্র যোগ সেই সময় থেকে পরের দিন ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ০৬:১৪ পর্যন্ত চলবে।
জ্যোতিষী জানিয়েছেন,চৈত্র শিবরাত্রির দিনে, একটি শুভ সময়ে ভগবান শিবের পুজো করুন। ভগবান শিবের ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করার সময় ভোলেনাথকে বেলপত্র, গঙ্গা জল, গরুর দুধ, ফুল, ফল, শমী পাতা, বেলপত্র, শণ, মাদার ফুল, মিষ্টি ইত্যাদি নিবেদন করুন। পূজার সময় অবশ্যই মাসিক শিবরাত্রির উপবাসের গল্প পাঠ করুন।
জ্যোতিষী জানিয়েছেন,চৈত্র শিবরাত্রির দিনে, একটি শুভ সময়ে ভগবান শিবের পুজো করুন। ভগবান শিবের ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করার সময় ভোলেনাথকে বেলপত্র, গঙ্গা জল, গরুর দুধ, ফুল, ফল, শমী পাতা, বেলপত্র, শণ, মাদার ফুল, মিষ্টি ইত্যাদি নিবেদন করুন। পূজার সময় অবশ্যই মাসিক শিবরাত্রির উপবাসের গল্প পাঠ করুন।
এরপর ঘি প্রদীপ বা কর্পূর দিয়ে ভগবান শিবের আরতি করুন। নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করুন এবং পূজায় ত্রুটিগুলির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
এরপর ঘি প্রদীপ বা কর্পূর দিয়ে ভগবান শিবের আরতি করুন। নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করুন এবং পূজায় ত্রুটিগুলির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
ভগবান শিবের পূজার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে, যা মেনে চলা জরুরি। কখনওই শিবলিঙ্গকে সম্পূর্ণরূপে প্রদক্ষিণ করবেন না। হলুদ, সিঁদুর, নারকেল, কেতকী ফুল, তুলসী পাতা ইত্যাদি ভগবান ভোলেনাথকে নিবেদন করা হয় না। শিবের  পুজোয় শঙ্খের ব্যবহার নিষিদ্ধ।
ভগবান শিবের পূজার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে, যা মেনে চলা জরুরি। কখনওই শিবলিঙ্গকে সম্পূর্ণরূপে প্রদক্ষিণ করবেন না। হলুদ, সিঁদুর, নারকেল, কেতকী ফুল, তুলসী পাতা ইত্যাদি ভগবান ভোলেনাথকে নিবেদন করা হয় না। শিবের পুজোয় শঙ্খের ব্যবহার নিষিদ্ধ।

Shivlingam Puja Rituals: ঠাকুরঘরে শিবলিঙ্গের আরাধনায় মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছেন, কিন্তু এই কাজগুলি না করলে সংসার তছনছ

আমাদের অনেকের বাড়িতেই থাকে সে শিবলিঙ্গ। কিন্তু শিবলিঙ্গ রাখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেগুলি করতে পারলে শিব পুজো করার ফল পাওয়া যায় দ্বিগুণ।
আমাদের অনেকের বাড়িতেই থাকে সে শিবলিঙ্গ। কিন্তু শিবলিঙ্গ রাখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেগুলি করতে পারলে শিব পুজো করার ফল পাওয়া যায় দ্বিগুণ।
সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্য দামোদর চক্রবর্তী বলছেন, শিবলিঙ্গের জলাধারী, অর্থাৎ জল বয়ে যাওয়ার জায়গা সব সময় উত্তরমুখী রাখা উচিত। সঠিক স্থানে শিবলিঙ্গ রেখে পুজো করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্য দামোদর চক্রবর্তী বলছেন, শিবলিঙ্গের জলাধারী, অর্থাৎ জল বয়ে যাওয়ার জায়গা সব সময় উত্তরমুখী রাখা উচিত। সঠিক স্থানে শিবলিঙ্গ রেখে পুজো করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।
তিনি বলছেন, বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখলে অবশ্যই তার সামনে রাখতে হবে ছোট্ট একটি নন্দী মূর্তি। নন্দীদেব শিবের সব থেকে প্রিয় ভক্ত। তাই শিব পুজোর পর নন্দীর কানে জানানো উচিত প্রার্থনা। তাহলে সেই প্রার্থনা দ্রুত ফলপ্রসু হয়।
তিনি বলছেন, বাড়িতে শিবলিঙ্গ রাখলে অবশ্যই তার সামনে রাখতে হবে ছোট্ট একটি নন্দী মূর্তি। নন্দীদেব শিবের সব থেকে প্রিয় ভক্ত। তাই শিব পুজোর পর নন্দীর কানে জানানো উচিত প্রার্থনা। তাহলে সেই প্রার্থনা দ্রুত ফলপ্রসু হয়।
তিনি এও জানিয়েছেন, বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে তার সঙ্গে অবশ্যই একটি ত্রিশূল রাখতে হবে। বাড়িতে ত্রিশূল থাকলে বিভিন্ন নেতিবাচক শক্তি দূরে চলে যায়। তবে চেষ্টা করতে হবে যাতে পিতল অথবা কাঁসার ছোট ত্রিশূল রাখা যায়।
তিনি এও জানিয়েছেন, বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে তার সঙ্গে অবশ্যই একটি ত্রিশূল রাখতে হবে। বাড়িতে ত্রিশূল থাকলে বিভিন্ন নেতিবাচক শক্তি দূরে চলে যায়। তবে চেষ্টা করতে হবে যাতে পিতল অথবা কাঁসার ছোট ত্রিশূল রাখা যায়।
দামোদর বাবু বলছেন, দেবাদিদেব মহাদেবের অন্যতম প্রিয় জিনিস তার ডমরু, অর্থাৎ ডুগডুগি। তাই বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে তার কাছে ছোট্ট একটি ডমরু রেখে দিন। প্রত্যেক সোমবার পুজোর পর একবার বাজিয়ে দিন এই ডমরু। তিনি বলছেন, বিশ্বাস করা হয় ডমরু নাদ বাড়িতে শোনা গেলে, গোটা ঘরে খুশি, সুখ-শান্তি আসে।
দামোদর বাবু বলছেন, দেবাদিদেব মহাদেবের অন্যতম প্রিয় জিনিস তার ডমরু, অর্থাৎ ডুগডুগি। তাই বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে তার কাছে ছোট্ট একটি ডমরু রেখে দিন। প্রত্যেক সোমবার পুজোর পর একবার বাজিয়ে দিন এই ডমরু। তিনি বলছেন, বিশ্বাস করা হয় ডমরু নাদ বাড়িতে শোনা গেলে, গোটা ঘরে খুশি, সুখ-শান্তি আসে।

Mahadev Puja: চৈত্রমাস ‘বাবা’-র মাস, এই সময়ে বাড়ির পাশে জঙ্গলে ফুটে থাকা ফুলে করুন শিবের আরাধনা, যা চাইবেন তাই ফলবে

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে আকন্দ সংক্রান্ত কিছু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা করলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কথিত আছে যে প্রতিদিন ভগবান শিবকে আকন্দ ফুলের মালা নিবেদন করলে তিনি খুশি হন।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে আকন্দ সংক্রান্ত কিছু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা করলে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কথিত আছে যে প্রতিদিন ভগবান শিবকে আকন্দ ফুলের মালা নিবেদন করলে তিনি খুশি হন।
হিন্দু ধর্মে গাছপালাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কথিত আছে গাছ-গাছালিতে দেব-দেবীর বাস। ভগবান গণেশ আকন্দ গাছে বাস করেন বলে মনে করা হয়। আবার আকন্দ ফুল ভগবান শিবেরও খুব প্রিয়।
হিন্দু ধর্মে গাছপালাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। কথিত আছে গাছ-গাছালিতে দেব-দেবীর বাস। ভগবান গণেশ আকন্দ গাছে বাস করেন বলে মনে করা হয়। আবার আকন্দ ফুল ভগবান শিবেরও খুব প্রিয়।
তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত গোলক মহারাজ বলেন জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি ঘরে পজিটিভ শক্তি বজায় রাখতে চান, তাহলে বাড়িতে একটি সাদা আকন্দ ফুলের গাছ লাগান। এতে অশুভ শক্তি কখনও ঘরে প্রবেশ করবে না।
তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত গোলক মহারাজ বলেন জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি ঘরে পজিটিভ শক্তি বজায় রাখতে চান, তাহলে বাড়িতে একটি সাদা আকন্দ ফুলের গাছ লাগান। এতে অশুভ শক্তি কখনও ঘরে প্রবেশ করবে না।
শাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগে আক্রান্ত হন তবে মাসের চারটি সোমবার শিবলিঙ্গে ১১টি সাদা আকন্দ ফুল অর্পণ করুন। এতে রোগ থেকে মুক্তি মিলবে এবং ভগবান শিবের কৃপা বজায় থাকবে।
শাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কোনও রোগে আক্রান্ত হন তবে মাসের চারটি সোমবার শিবলিঙ্গে ১১টি সাদা আকন্দ ফুল অর্পণ করুন। এতে রোগ থেকে মুক্তি মিলবে এবং ভগবান শিবের কৃপা বজায় থাকবে।
মহারাজ আরও জানান আকন্দ ফুল মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়। এই ফুল নিবেদন করা হলে তিনি খুবই খুশি হন। সাদা ও নীল রঙের আকন্দ ফুল দেখা যায়। প্রতি সোমবার সকালে স্নান সেরে মহাদেবকে আকন্দ ফুল নিবেদন করুন।সুখে শান্তিতে ভরে যাবে আপনার সংসার। Input Souvuk Saha
মহারাজ আরও জানান আকন্দ ফুল মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়। এই ফুল নিবেদন করা হলে তিনি খুবই খুশি হন। সাদা ও নীল রঙের আকন্দ ফুল দেখা যায়। প্রতি সোমবার সকালে স্নান সেরে মহাদেবকে আকন্দ ফুল নিবেদন করুন।সুখে শান্তিতে ভরে যাবে আপনার সংসার। Input Souvuk Saha

Neel Sashthi Vrat 2024: সন্তানের মঙ্গলকামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত করেন? এভাবে পুজো করলে সন্তানের কল্যাণ ও শুভ হবে

সন্তান সন্ততির মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় গৃহিণীরা নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন। যুগ যুগ ধরে এই লৌকিক পার্বণ পালিত হয়ে আসছে বাংলার ঘরে ঘরে।
সন্তান সন্ততির মঙ্গল ও কল্যাণকামনায় গৃহিণীরা নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করেন। যুগ যুগ ধরে এই লৌকিক পার্বণ পালিত হয়ে আসছে বাংলার ঘরে ঘরে।

 

সাধারণত চৈত্র মাসে চড়কপুজোর একদিন বা দু’দিন আগে পালিত হয় নীলষষ্ঠী ব্রত।
সাধারণত চৈত্র মাসে চড়কপুজোর একদিন বা দু’দিন আগে পালিত হয় নীলষষ্ঠী ব্রত।

 

এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত পালিত হবে বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল৷ সেদিনই সব রীতিনীতি পালন করে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পুজো করবেন মায়েরা৷
এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত পালিত হবে বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল৷ সেদিনই সব রীতিনীতি পালন করে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পুজো করবেন মায়েরা৷

 

নীলষষ্ঠী আসলে ভগবান শিবের পুজো। সন্তানের মঙ্গলকামনা করা হয় বলে এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘ষষ্ঠী’ শব্দটি। তাই সেদিন যে তিথিই হোক না কেন, বলা হয় নীলষষ্ঠী।
নীলষষ্ঠী আসলে ভগবান শিবের পুজো। সন্তানের মঙ্গলকামনা করা হয় বলে এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ‘ষষ্ঠী’ শব্দটি। তাই সেদিন যে তিথিই হোক না কেন, বলা হয় নীলষষ্ঠী।

 

এই ব্রত পালনের সময় কী কী করবেন, কীভাবে পুজো দেবেন, জেনে নিন। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।
এই ব্রত পালনের সময় কী কী করবেন, কীভাবে পুজো দেবেন, জেনে নিন। বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ ত্রিপাঠী।

 

দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় অভিষেকে শঙ্খধ্বনি করা হয় না। সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
দেবাদিদেব মহাদেবের পুজোয় অভিষেকে শঙ্খধ্বনি করা হয় না। সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

 

মহাদেবের মাথায় জল ঢালার জন্য লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন না। সব সময় পিতল, তাম্রপাত্র বা অন্য কোনও ধাতুর পাত্র থেকে জল অর্পণ করুন।
মহাদেবের মাথায় জল ঢালার জন্য লোহা বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন না। সব সময় পিতল, তাম্রপাত্র বা অন্য কোনও ধাতুর পাত্র থেকে জল অর্পণ করুন।

 

প্যাকেটের দুধের বদলে নিবেদন করুন গরুর খাঁটি দুধ। দুধ না পেলেও ক্ষতি নেই। শুধু জলেই মহাদেব সন্তুষ্ট।
প্যাকেটের দুধের বদলে নিবেদন করুন গরুর খাঁটি দুধ। দুধ না পেলেও ক্ষতি নেই। শুধু জলেই মহাদেব সন্তুষ্ট।

 

মহাদেবের পুজোয় তুলসিপাতা ব্যবহার করবেন না। সাদা ফুল অর্পণ করলেও চম্পা ও কেতকী ফুল পুজোয় দেবেন না।
মহাদেবের পুজোয় তুলসিপাতা ব্যবহার করবেন না। সাদা ফুল অর্পণ করলেও চম্পা ও কেতকী ফুল পুজোয় দেবেন না।

 

মহাদেবের পুজোয় সিঁদুরও ব্যবহার করতে নেই। রাখবেন না হলুদ রঙের কোনও জিনিসও।
মহাদেবের পুজোয় সিঁদুরও ব্যবহার করতে নেই। রাখবেন না হলুদ রঙের কোনও জিনিসও।

 

নারকেলের জল শিবপুজোয় নিবেদন করবেন না। অর্পণ করতে পারেন ডাবের জল। চালের গুঁড়ো কখনওই দেবেন না। সৌভাগ্য ও শুভ ফল পেতে দিন গোটা আতপ চাল।
নারকেলের জল শিবপুজোয় নিবেদন করবেন না। অর্পণ করতে পারেন ডাবের জল। চালের গুঁড়ো কখনওই দেবেন না। সৌভাগ্য ও শুভ ফল পেতে দিন গোটা আতপ চাল।

 

নীলপুজোয় অবশ্যই পাঠ করবেন নীলষষ্ঠীর ব্রতকথা। এ দিন উপবাস ভঙ্গ করুন সাত্তিক আহার গ্রহণ করে।
নীলপুজোয় অবশ্যই পাঠ করবেন নীলষষ্ঠীর ব্রতকথা। এ দিন উপবাস ভঙ্গ করুন সাত্তিক আহার গ্রহণ করে।

Local News: পায়ে হেঁটে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন, পকেটে নেই একটাও পয়সা!

পুরুলিয়া: হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের বিরাট মাহাত্ম্য। অনেকেই জীবনে একটিবার দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে চান। অনেক সময় সেই ইচ্ছা পূরণ হয়ে, আবার নানান কারণে অনেকের এই ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে যায়। তবে মনের জোর আর ইচ্ছা শক্তির উপর প্রবল বিশ্বাস থাকলে যে কোনও অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়। ১০০, ২০০ বা হাজার কিলোমিটার নয়, ১২ হাজার কিলোমিটার পথ কোনও রকম টাকা-পয়সা ছাড়াই পায়ে হেঁটে ভ্রমণে বেরিয়েছেন ভোপালের দুই যুবক। এছাড়াও তাঁরা ঘুরে দেখবেন চারধাম।

আরও পড়ুন: বাড়ির অল্প জমিতে এটা চাষ করুন, কোন‌ওদিন অভাব হবে না পশুখাদ্যের

ঋত্বিক চৌহান ও অভিষেক যদুবংশী নামে ওই দুই যুবক প্রথমে জ্যোতির্লিঙ্গ কাশি বিশ্বনাথ দেখেছেন। এরপর তাঁরা বৈদ্যনাথ হয়ে এবার কলিযুগের ধাম পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের দিকে হেঁটে চলেছেন। এই পথেই তাঁরা বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়া শহরে পা রাখেন। সেখানে রাত কাটিয়ে শুক্রবার রওনা দেন আবার। মহাশিবরাত্রিতে পুরুলিয়া-১ ব্লকের চাকলতোড়ে রাত কাটান।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের রহেটি জেলার শ্রীহোরের বাসিন্দা ঋত্বিক চৌহান, আর হড়দা জেলায় বাড়ি অভিষেক যদুবংশী’র। গত ৫ জানুয়ারি পায়ে হেঁটে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দেখবেন বলে তাঁরা দু’জনে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। মনের শান্তির জন্যই এই ১২ টি জ্যোতির্লিঙ্গ ও চারটি ধাম দর্শন করার পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে সেই অর্থে কোন‌ও টাকা পয়সা নেই। তবে যেখানেই যাচ্ছেন স্থানীয়রা খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত শুক্রবার সকালে তাঁর পুরুলিয়া শহরের কার্যালয়ে ওই দুই যুবককে গেরুয়া উত্তরীয় ও গলায় মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এই বিষয়ে সাংসদ বলেন, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ওনারা যেন সুস্থ থাকেন এবং নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। নিজের ফেসবুকে ওই দুই যুবকের ছবি দিয়ে বার্তা দিয়েছেন সাংসদ।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Mahashivratri 2024: শিবরাত্রিতে মনবাঞ্ছা পূরণ! মহাদেবকে নিবেদন করুন ‘এই’ ৪ জিনিস! রকেটের গতিতে হবে উন্নতি

মহাশিবরাত্রির উত্সব সারা দেশে ধুমধাম করে উদযাপিত হয়। এই দিনে ভোলেনাথের ভক্তরা শিব মন্দিরে আসেন তাঁর পুজো করতে। এই দিনে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজো করা হয়।
মহাশিবরাত্রির উত্সব সারা দেশে ধুমধাম করে উদযাপিত হয়। এই দিনে ভোলেনাথের ভক্তরা শিব মন্দিরে আসেন তাঁর পুজো করতে। এই দিনে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর পুজো করা হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিবকে খুশি করার জন্য কিছু কাজ করা যেতে পারে। শিবের আশীর্বাদ আপনার ও পরিবারের উপর থাকবে। কী কী জিনিস দিলে মহাদেব খুশি হবেন দেখে নিন-
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিবকে খুশি করার জন্য কিছু কাজ করা যেতে পারে। শিবের আশীর্বাদ আপনার ও পরিবারের উপর থাকবে। কী কী জিনিস দিলে মহাদেব খুশি হবেন দেখে নিন-
বেলপাতা-ভগবান শিব বেলপাতা ভালবাসেন। মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে বেল পাতা নিবেদন করলে ভগবান শিব দ্রুত প্রসন্ন হন। এটি করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
বেলপাতা-ভগবান শিব বেলপাতা ভালবাসেন। মহাশিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গে বেল পাতা নিবেদন করলে ভগবান শিব দ্রুত প্রসন্ন হন। এটি করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
ধুতরা-ভগবান ভোলেনাথকে নিবেদিত জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ধুতরা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিন  ধুতরা দেওয়া খুবই শুভ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগানো উচিত নয়, তবে ধতুরা হল একমাত্র গাছ যা ঘরে লাগালে সুখ, সমৃদ্ধি আসে এবং বাড়ির সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
ধুতরা-ভগবান ভোলেনাথকে নিবেদিত জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল ধুতরা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিন ধুতরা দেওয়া খুবই শুভ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগানো উচিত নয়, তবে ধতুরা হল একমাত্র গাছ যা ঘরে লাগালে সুখ, সমৃদ্ধি আসে এবং বাড়ির সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
দুধ- ভগবান শিব দুধ খুব ভালবাসেন। তাই তাঁকে দুধ দিয়ে স্নান করালে তিনি প্রসন্ন হবেন। তাহলে জীবনে কোনও সমস‍্যা থাকবে না।
দুধ- ভগবান শিব দুধ খুব ভালবাসেন। তাই তাঁকে দুধ দিয়ে স্নান করালে তিনি প্রসন্ন হবেন। তাহলে জীবনে কোনও সমস‍্যা থাকবে না।
জাফরান- জাফরান দিয়ে মহাদেবকে তিলক দিলে সব নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়। এটিকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। (Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷)
জাফরান- জাফরান দিয়ে মহাদেবকে তিলক দিলে সব নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়। এটিকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। (Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷)