ওয়াশিংটন: বেশ কয়েকবছর ধরেই চিন পাকিস্তানকে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছে৷ এর ফলে ইসলামাবাদের উপর চিনের আধিপত্যও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ পাকিস্তানের বেশ কিছু জায়গা কার্যত চীন ব্যবহার করছে৷ কিন্তু এই দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বাজেটে ইসলামাবাদের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করতে চায়৷
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এক প্যানেলে জানিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ইসলামাবাদকে দেওয়ার অন্যতম কারণ, সেই দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলা৷
আরও পড়ুন:সরকারি নথিতে মৃত, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘটালেন এই ভয়ঙ্কর ঘটনা!
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আশা করব, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পাকিস্তান এই অর্থ ব্যবহার করবে”। চলতি দশকের শুরু থেকেই পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও অভাবও রয়েছে প্রকটভাবে৷
এমন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে অশান্ত পাকিস্তানের জন্য এই ধরনের আর্থিক সাহায্য পৃথিবীর জিও পলিটিকসে এক নতুন মাত্রা সংযোজিত করবে৷ লু আরও যোগ করেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেজিংয়ের উপর ইসলামাবাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা প্রতিরোধ করতে চাইছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন অতীত; আমরাই ভবিষ্যত’’৷
তিনি এছাড়াও অভিযোগ করেছেন ‘‘পাকিস্তান চীনের নতুন শিকার। আমরা জানি চিন পাকিস্তানকে সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে৷ পাকিস্তানের মাটিতে চিনা ফাঁড়ি এবং রাস্তা, মিলিটারি মোতায়েন করা হচ্ছে৷’’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানকে এই আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত পৃথিবার জিও পলিটিক্সে কী প্রভাব ফেলবে অপেক্ষা তারই৷