টাচস্ক্রিনযুক্ত ফোল্ডেবল ফোনের আগমন মোবাইল ফোনের জগতে বিপ্লবের চেয়ে কম নয়। ফোল্ডিং ফোনের ব্যবহার বহু বছর ধরেই প্রচলিত তবে ফোনের পুরো ডিসপ্লে কাচের পর্দা দিয়ে তৈরি হত না।সম্প্রতি এমন একটি ফোন এসেছে যা দেখতে সিঙ্গল স্ক্রিনের মতো তবে এটি মাঝে ফোল্ডেবল। এখন প্রশ্ন হল এই ফোনগুলি কীভাবে কাজ করে।আসলে, বেশিরভাগ ফোল্ডেবল ফোনের স্ক্রিন হল ওএলইডি। আমরা আমাদের ফোনে যে ছবি দেখি তা লক্ষ লক্ষ রঙিন স্ট্রাইপ দিয়ে তৈরি। এই স্ট্রাইপ থেকে ইমেজ পাওয়ার বিভিন্ন উপায় আছে, এই পদ্ধতিকেই বলা হয় এলসিডি।গ্লাস প্লাস্টিক নয়-যে উপাদানের উপর লক্ষ লক্ষ রঙিন দাগ থাকে তাকে সাবস্ট্রেট বলে। বহু বছর ধরে ফোনের এই স্তরটি কাচ থেকে তৈরি করা হত। আমরা জানি যে, কাচ খুব বেশি বাঁকানো যায় না। পরিবর্তে তাই এসেছে প্লাস্টিকের ডিসপ্লে যা ফোল্ডেবল। ফোন বারবার খোলা এবং দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকলে ডিসপ্লে যাতে নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।এলসিডি এবং ওএলইডি-এর মধ্যে পার্থক্য-একটি এলসিডি ডিসপ্লেতে ব্যাকলাইট প্রদানের জন্য পর্দার একটি স্তর প্রয়োজন। ব্যাকলাইট প্রদানের জন্য যে স্ক্রিন ইনস্টল করা হয় তার কারণে এলসিডি মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ওএলইডি-তে এমনটা হয় না। পাওয়ার সরবরাহ করা হলে এর পিক্সেল আলোকিত হয়। অতএব, ওএলইডি স্ক্রিন পাতলা, তাই এটি সহজেই ফোল্ডেবল।ওএলইডি-র লেভেল-ওএলইডি ডিসপ্লেতেও অনেকগুলি স্তর রয়েছে তবে সেগুলি খুব পাতলা। এই স্তরগুলি হল• সাবস্ট্রেট লেয়ার- এটি যে কোনও লেভেলের ভিত্তি। ফোল্ডেবল ফোনে এটি প্লাস্টিকের তৈরি হয়।• টিফিটি লেয়ার- এরপর আসে টিফিটি লেয়ার। এর কাজ হল প্রতিটি পিক্সেল দ্বারা প্রাপ্ত শক্তি নিয়ন্ত্রণ করা। এটি এক ধরনের পাওয়ার গ্রিড।• ওএলইডি লেয়ার- পিক্সেল দিয়ে তৈরি একটি স্তর যা আলো প্রকাশ করে। এটি লাল, সবুজ এবং নীল সাবপিক্সেল দ্বারা গঠিত।• কভার লেয়ার- এটি সবচেয়ে উপরের স্তর। এই স্তরের কাজ হল অন্যান্য স্তরগুলির সুরক্ষা প্রদান করা।
