Income Tax: বছরে ১০ লাখ আয়ও হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত, দিতে হবে না এক টাকাও ট্যাক্স, শুধু এই কাজটা করে রাখুন

বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থায় বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ট্যাক্স স্ল্যাবেও এসেছে বড় বদল।
বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থায় বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ট্যাক্স স্ল্যাবেও এসেছে বড় বদল।
সহজ কথায়, নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিলে বার্ষিক ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় এখন সম্পূর্ণ করমুক্ত। কিন্তু যদি বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকাও হয়, তাহলেও এক টাকা কর দিতে হবে না। কীভাবে? এর জন্য শুধু একটা বিকল্প বেছে নিতে হবে।
সহজ কথায়, নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিলে বার্ষিক ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় এখন সম্পূর্ণ করমুক্ত। কিন্তু যদি বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকাও হয়, তাহলেও এক টাকা কর দিতে হবে না। কীভাবে? এর জন্য শুধু একটা বিকল্প বেছে নিতে হবে।
১০ লাখ টাকা আয় করমুক্ত করতে চাইলে পুরনো কর ব্যবস্থা বেছে নিতে হবে। এতে অনেক ধরণের ডিডাকশনের সুবিধা রয়েছে। করদাতা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। তাহলেই আর এক টাকা কর দিতে হবে না।
১০ লাখ টাকা আয় করমুক্ত করতে চাইলে পুরনো কর ব্যবস্থা বেছে নিতে হবে। এতে অনেক ধরণের ডিডাকশনের সুবিধা রয়েছে। করদাতা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। তাহলেই আর এক টাকা কর দিতে হবে না।
পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল সেই পরিমাণ যা ইতিমধ্যেই মোট আয় থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তির করযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৯.৫০ লক্ষ টাকা।
পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল সেই পরিমাণ যা ইতিমধ্যেই মোট আয় থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তির করযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৯.৫০ লক্ষ টাকা।
এখন করদাতা যদি ইপিএফ, পিপিএফ, এনএসসি-র মতো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে ধারা ৮০সি-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। তাহলে ৯.৫ লক্ষ টাকা থেকে আরও ১.৫ লাখ টাকা বাদ দিলে করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ৮ লক্ষ টাকা।
এখন করদাতা যদি ইপিএফ, পিপিএফ, এনএসসি-র মতো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে ধারা ৮০সি-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। তাহলে ৯.৫ লক্ষ টাকা থেকে আরও ১.৫ লাখ টাকা বাদ দিলে করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ৮ লক্ষ টাকা।
এরপর করদাতা যদি এনপিএসে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন, তাহলে ধারা ৮০সিসিডি (১বি)-এর আওতায় আরও ৫০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে। তাহলে ৮ লাখ টাকা ৫০ হাজার বাদ দিলে করযোগ্য আয় হচ্ছে ৭.৫ লাখ টাকা।
এরপর করদাতা যদি এনপিএসে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন, তাহলে ধারা ৮০সিসিডি (১বি)-এর আওতায় আরও ৫০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে। তাহলে ৮ লাখ টাকা ৫০ হাজার বাদ দিলে করযোগ্য আয় হচ্ছে ৭.৫ লাখ টাকা।
হোম লোন নিলে আয়করের ধারা ২৪বি-এর আওতায় সুদের উপর ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এখন ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা বাদ দিলে ৫.৫ লাখ টাকা পড়ে থাকছে।
হোম লোন নিলে আয়করের ধারা ২৪বি-এর আওতায় সুদের উপর ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এখন ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা বাদ দিলে ৫.৫ লাখ টাকা পড়ে থাকছে।
স্বাস্থ্যবিমা নিলে আয়করের ধারা ২৫ডি-এর আওতায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স সাশ্রয়ের সুবিধা মেলে। আর যদি করদাতার সঙ্গে স্ত্রী এবং সন্তানেরও স্বাস্থ্য বিমা থাকে তাহলে ছাড় পৌঁছে যায় ৫০ হাজার টাকায়। এখন ৫.৫ লাখ টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা বাদ দিলে আয় দাঁড়াচ্ছে ৪.৭৫ লক্ষ টাকা। পুরনো কর ব্যবস্থায় বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। ফলে ১০ লাখ টাকা আয়েও এক পয়সা কর দিতে হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যবিমা নিলে আয়করের ধারা ২৫ডি-এর আওতায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স সাশ্রয়ের সুবিধা মেলে। আর যদি করদাতার সঙ্গে স্ত্রী এবং সন্তানেরও স্বাস্থ্য বিমা থাকে তাহলে ছাড় পৌঁছে যায় ৫০ হাজার টাকায়। এখন ৫.৫ লাখ টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা বাদ দিলে আয় দাঁড়াচ্ছে ৪.৭৫ লক্ষ টাকা। পুরনো কর ব্যবস্থায় বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। ফলে ১০ লাখ টাকা আয়েও এক পয়সা কর দিতে হচ্ছে না।