ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax: ১ লাখ টাকা বেতনে কত ট্যাক্স দিতে হবে জানেন? নতুন ট্যাক্স স্ল্যাব ভাল না কি ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ Gallery July 31, 2024 Bangla Digital Desk বাজেটে একাধিক কর ছাড়ের ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কর কাঠামোয় বেশ কিছু পরিবর্তনও করেন তিনি। তবে বিভ্রান্তি কাটেনি। মাসিক ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা বেতনে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে বা কোন কর ব্যবস্থা সুবিধাজনক, বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। ২০২৩-এর বাজেট থেকেই নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা ডিফল্ট, অর্থাৎ করদাতা যদি পুরনো এবং নতুন কর কাঠামোর মধ্যে কোনও একটা বেছে না নেন তাহলে তাঁকে নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার আওতাতেই ফেলা হবে। এক্ষেত্রে বেতন যদি ৫০ হাজার টাকা হলে কোনও চিন্তা নেই। কারণ বার্ষিক আয় দাঁড়াচ্ছে ৬ লাখ টাকা। এর মানে তিনি ট্যাক্স ক্যাটাগরিতে আসেন না। মাসিক ১ লাখ টাকা বেতনে কোন কর ব্যবস্থা সুবিধাজনক: এখন প্রশ্ন হল, বেতন মাসে ১ লাখ টাকা হলে নতুন ট্যাক্স স্ল্যাব ভাল না কি ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’? এর সরাসরি উত্তর হল, ১ লাখ টাকা বেতনে কোনও ট্যাক্স দিতে না চাইলে পুরনো কর ব্যবস্থাই বেছে নিতে হবে। তবেই তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ এবং রিইম্বারসমেন্টের উপর ট্যাক্স ছাড় দাবি করতে পারবেন। এর মধ্যে পরিবহন, এলটিএ, বিনোদন, ব্রডব্যান্ড বিল, জ্বালানি খরচ ইত্যাদি রয়েছে। সবার আগে এলটিএ-এর বিষয়টা দেখে নেওয়া যাক। এতে বেড়ানোর খরচ ধরা হয়। চার বছরে ২ বার এই সুবিধা মেলে। বেসিক স্যালারির ১০ শতাংশ এলটিএ হিসাবে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ১২ লাখ টাকার বার্ষিক বেতনে বছরের বেসিক স্যালারি হবে ৬ লাখ টাকা। সুতরাং এলটিএ হবে ৬০ হাজার টাকা। গড়ে বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। মেট্রো শহরে ৫০ শতাংশ এবং নন-মেট্রোতে ৫০ শতাংশ হারে এইচআরএ দেওয়া হয়। মোট ভাড়া থেকে মূল বেতনের ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার পরে যে পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে তা এইচআরএ হিসাবে দাবি করতে পারেন করদাতা। এই পরিস্থিতিতে মেট্রো শহরে বসবাসকারী কোনও করদাতা ২০ হাজার টাকার মাসিক ভাড়ার উপর ১.৮০ লক্ষ টাকা এইচআরএ ছাড় পেতে পারেন। -রিইম্বারসমেন্টে কত ছাড় দাবি করা যায়: মাসিক ১ লক্ষ টাকা বা ১২ লক্ষ টাকার বার্ষিক বেতনে, পরিবহণ ভাতা ১-১.৫০ লক্ষ টাকা। যার মানে এই পরিমাণ সম্পূর্ণ অকরযোগ্য।-৭০০-১০০০ টাকার মাসিক ব্রডব্যান্ড বিলে ট্যাক্স ছাড় দাবি করা যেতে পারে। অর্থাৎ বার্ষিক ১২০০০ টাকা ট্যাক্স ছাড় দাবি করতে পারেন করদাতা।-১ লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ এর আওতায় একজন করদাতা বছরে ২৪ হাজার টাকা করছাড় দাবি করতে পারেন। -অনেক কোম্পানি ইউনিফর্ম, বই বা পেট্রোল বিলে ভাতা দেয়। এর আওতায় বার্ষিক ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারবেন করদাতা।-মোট রিইম্বারসমেন্টের আওতায় ১.৯৮ লাখ টাকা পর্যন্ত করছাড় দাবি করা যায়।-বিনিয়োগ থেকে কত ছাড় মিলবে: একজন করদাতা ইপিএফ, পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, এনপিএস, সন্তানের টিউশন ফি, এলআইসি, হোম লোন ইত্যাদি থেকে আয়করের ধারা ৮০সি-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক কর ছাড় পেতে পারেন। ধারা ৮০সিসিডি (১বি)-এর আওতায় এনপিএস-এ বিনিয়োগ থেকে অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা কর ছাড় দাবি করা যায়। ধারা ৮০ডি-এর অধীনে স্বাস্থ্যবিমার উপর ২৫ হাজার টাকা এবং পিতামাতার স্বাস্থ্যবিমার উপর ২৫ হাজার টাকা কর ছাড় মেলে। অর্থাৎ মোট ৫০ হাজার টাকার কর ছাড়। অর্থাৎ বিনিয়োগ থেকে মোট ২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন করদাতা। তাহলে এখনও পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা আয়ে সব মিলিয়ে ৭.০৮ লাখ টাকা করছাড় দাবি করা হয়েছে। হাতে কর যোগ্য আয় পড়ে থাকছে ৪.৯২ লাখ টাকা। এখন এখানে আয়করের আরেকটা নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পুরনো কর কাঠামোয় করযোগ্য বেতন ২.৫ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এর উপর ৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স চাপলে ১২,৫০০ টাকা কর দিতে হবে। আবার ৫ লাখ টাকা আয়ে ধারা ৮৭এ-এর আওতায় ১২৫০০ টাকা করছাড় পাওয়া যায়। তাহলে ১২,৫০০ – ১২,৫০০, অর্থাৎ এক পয়সা কর দিতে হচ্ছে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax: বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকার বেশি? ১৭,৫০০ নয়, ১৮,২০০ টাকা কর সঞ্চয় করতে পারবেন, দেখে নিন কীভাবে Gallery July 30, 2024 Bangla Digital Desk বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। সংশোধিত আয়কর স্ল্যাবে বার্ষিক ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তিদের উপর থেকে করের বোঝা অনেকটা কমবে। সঞ্চয় বাড়বে। বেশ কিছু আলোচনায় উঠে এসেছে, বার্ষিক ১০ লাখ টাকার বেশি আয়ের ব্যক্তিরা ১৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন। তবে এটা ছিল প্রাথমিক অনুমান। এখন দেখা যাচ্ছে, ১৭,৫০০ টাকা নয়, তাঁরা ১৮,২০০ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন। কীভাবে? সংশোধিত ট্যাক্স স্ল্যাব এবং নতুন কর ব্যবস্থায় বর্ধিত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের অধীনে, ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয়ের ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে বার্ষিক ১৭,৫০০ টাকা কর সাশ্রয় হবে বলে প্রাথমিকভাবে আশা করা হয়েছিল। যাইহোক, এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস হ্রাসের ফলে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। কত টাকা? কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত ৭০০ টাকা অতিরিক্ত কর সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। ১৭,৫০০ টাকার ৪ শতাংশ। যার ফলে মোট বার্ষিক কর সঞ্চয় দাঁড়াবে ১৮,২০০ টাকা। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। যদি কারও বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে হয়, তাহলে তিনি সারচার্জে ১,৭৫০ টাকা (১৭,৫০০ টাকার ১০ শতাংশ) সাশ্রয় করবেন। যার ফলে ২০,০২০ টাকার সেস সহ নেট সঞ্চয় হবে৷ ১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকার মধ্যে আয়ের জন্য, ১৫ শতাংশ সারচার্জ লাগু হলে সারচার্জ এবং সেস সহ তাঁর মোট সঞ্চয় বেড়ে হয় ২০,৯৩০ টাকা। ২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে, লভ্যাংশ এবং মূলধন লাভ ছাড়া ২৫ শতাংশ সারচার্জ সহ মোট ২২,৭৫০ টাকা সঞ্চয় হবে। বাজেটে ট্যাক্স স্ল্যাব সংশোধনের পর নতুন কর কাঠামোর অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পর ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। পাশাপাশি ব্যক্তির আয় এই থ্রেশহোল্ডের নিচে হলেও কোনও কর লাগু হবে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax: অনলাইনে ট্যাক্স জমা দিন এক ক্লিকে! রসিদও মিলবে ঘরে বসেই? কোথায় মিলছে এই সুবিধা? জেনে নিন Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk আলিগড়ের বাসিন্দাদের বাড়ির কর জমা দিতে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে যেতে হবে না। এখন এই কাজটি শুধুমাত্র একটি ক্লিকেই করা যাবে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হাউস ট্যাক্স সংগ্রহের একটি দুর্দান্ত উপায় তৈরি করেছে। এতে শুধু জনসাধারণের সুবিধাই হবে না, কর্মচারীদেরও মানুষের বাড়িতে যেতে হবে না। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের গৃহীত এই ব্যবস্থার পরে, জনসাধারণ এক ক্লিক করে কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘরে বসেই তাদের বাড়ির কর জমা দিতে পারবে।আয়ের উৎসের উপর ভিত্তি করে যথাযথ আইটিআর ফর্ম বেছে নিতে হবে। বেতনভোগী ব্যক্তি, যাঁদের আয় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের জন্য রয়েছে আইটিআর ১ (সহজ) ফর্ম। বাড়ি কর বিল জমা দেওয়ার জন্য পৌর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এর জন্য পৌর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি লিঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দিনেই সেই লিঙ্কের মাধ্যমে ৫০০ এর বেশি মানুষ বাড়ির কর জমা দিয়েছেন। পৌর কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিশেষ পদ্ধতিটি জনস্বার্থে তৈরি করা হয়েছে। এতে বাড়িতে বসেই বাড়ির ট্যাক্স জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং এর রসিদ বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ট্যাক্সের কর্মকর্তা অশোক কুমার জানিয়েছেন যে, ‘‘পৌর কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার করদাতা উপস্থিত রয়েছেন। এর আগে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এর জন্য বিল প্রস্তুত করত। তারপর সেই বিলগুলি কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেন।’’ তবে এখন ১ লাখ ৮২ হাজার কাগজ আর খরচ করতে হবে না। এর কারণে অনেক গাছপালা কাটা যাবে না। গাছপালা কাটা না হলে দূষণ কমবে। এই কারণে সবাই এখন পৌর কর্পোরেশনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন। এই প্রচেষ্টা সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। ট্যাক্স মূল্যায়ন কর্মকর্তা অশোক কুমার বলেন, ‘‘প্রথমে সকল করদাতার মোবাইল নম্বর পৌর কর্পোরেশন রেজিস্টার করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের নথিপত্রে মোবাইল নম্বর যোগ করা হচ্ছে। এর পরে, পৌর কর্পোরেশন অফিস থেকে মোবাইল নম্বরে একটি বার্তা পাঠানো হবে। যেটিতে ক্লিক করার পর, ঘরে বসেই অনলাইনে প্রয়োজনীয় বিল জমা দেওয়া যাবে। এর জন্য তাঁদের পৌর কর্পোরেশন অফিসে আসার প্রয়োজন হবে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax: বছরে ১০ লাখ আয়ও হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত, দিতে হবে না এক টাকাও ট্যাক্স, শুধু এই কাজটা করে রাখুন Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থায় বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ট্যাক্স স্ল্যাবেও এসেছে বড় বদল। সহজ কথায়, নতুন কর ব্যবস্থা বেছে নিলে বার্ষিক ৭.৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় এখন সম্পূর্ণ করমুক্ত। কিন্তু যদি বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকাও হয়, তাহলেও এক টাকা কর দিতে হবে না। কীভাবে? এর জন্য শুধু একটা বিকল্প বেছে নিতে হবে। ১০ লাখ টাকা আয় করমুক্ত করতে চাইলে পুরনো কর ব্যবস্থা বেছে নিতে হবে। এতে অনেক ধরণের ডিডাকশনের সুবিধা রয়েছে। করদাতা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন। তাহলেই আর এক টাকা কর দিতে হবে না। পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল সেই পরিমাণ যা ইতিমধ্যেই মোট আয় থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ব্যক্তির করযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৯.৫০ লক্ষ টাকা। এখন করদাতা যদি ইপিএফ, পিপিএফ, এনএসসি-র মতো স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে ধারা ৮০সি-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। তাহলে ৯.৫ লক্ষ টাকা থেকে আরও ১.৫ লাখ টাকা বাদ দিলে করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ৮ লক্ষ টাকা। এরপর করদাতা যদি এনপিএসে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন, তাহলে ধারা ৮০সিসিডি (১বি)-এর আওতায় আরও ৫০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে। তাহলে ৮ লাখ টাকা ৫০ হাজার বাদ দিলে করযোগ্য আয় হচ্ছে ৭.৫ লাখ টাকা। হোম লোন নিলে আয়করের ধারা ২৪বি-এর আওতায় সুদের উপর ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এখন ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা বাদ দিলে ৫.৫ লাখ টাকা পড়ে থাকছে। স্বাস্থ্যবিমা নিলে আয়করের ধারা ২৫ডি-এর আওতায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স সাশ্রয়ের সুবিধা মেলে। আর যদি করদাতার সঙ্গে স্ত্রী এবং সন্তানেরও স্বাস্থ্য বিমা থাকে তাহলে ছাড় পৌঁছে যায় ৫০ হাজার টাকায়। এখন ৫.৫ লাখ টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকা বাদ দিলে আয় দাঁড়াচ্ছে ৪.৭৫ লক্ষ টাকা। পুরনো কর ব্যবস্থায় বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। ফলে ১০ লাখ টাকা আয়েও এক পয়সা কর দিতে হচ্ছে না।
ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax: ১০ লাখ টাকা বেতনেও এক পয়সা ট্যাক্স দিতে হবে না, এভাবে করুন প্ল্যানিং Gallery May 23, 2024 Bangla Digital Desk ২০২৩ সালের বাজেটে আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নতুন কর কাঠামোয় ৭ লাখ টাকা বার্ষিক আয়ে সম্পূর্ণ করছাড় ঘোষণা করা হয়। তবে তার বেশি আয়ে আয়কর দিতে হবে। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্ষিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা হলেও কোনও আয়কর দিতে হবে না। শুধু বুদ্ধি করে কর পরিকল্পনা করতে হবে। তবে সবার আগে, ১০ লক্ষ টাকার আয় করমুক্ত করতে বেছে নিতে হবে পুরনো কর ব্যবস্থা। এখানে বলে রাখা ভাল, পুরনো কর ব্যবস্থায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত। এবার ১০ লাখ টাকা বার্ষিক আয়কে করমুক্ত করতে একজন চাকরিজীবী ব্যক্তির কীভাবে এগোনো উচিত দেখে নেওয়া যাক। এভাবে হবে ১০ লাখ টাকা আয়ে শূন্য কর: সরকার পুরনো কর কাঠামোর অধীনে বেশ কিছু কর ছাড় দেয়। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করেই ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করা যায়। প্রথমেই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ছাড় নিতে হবে। এখন করযোগ্য আয় দাঁড়াল ৯.৫০ লক্ষ টাকা। এবার পিপিএফ, ইপিএফ, ইএলএসএস এবং এনএসসি-র মতো স্কিমে বিনিয়োগ করে ধারা ৮০সি-র অধীনে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় নিতে পারেন আয়করদাতা। তাহলে এখন করযোগ্য আয় ৮ লাখ টাকায় নেমে এল। এনপিএস-এ বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারী ধারা ৮০সিসিডি-র অধীনে ৫০ হাজার টাকা করছাড় পেতে পারেন। এখন আয় নেমে এসেছে সাড়ে ৭ লাখ টাকায়। আয়কর আইনের ধারা ২৪বি-র আওতায় হোম লোনে ২ লাখ টাকা করছাড় পাওয়া যায়। এখন আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫ লাখ টাকা। আয়করের ধারা ৮০ডি-র আওতায় পরিবারের চিকিৎসা বিমা নেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং মা-বাবার স্বাস্থ্য বিমা নিলে ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায়। তাহলে এখন আয় দাঁড়াল ৫ লাখ টাকা। এখন পুরনো কর ব্যবস্থায় ধারা ৮৭এ-র অধীনে ছাড়ের কারণে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। তাহলে এই ৫ লাখ টাকায় কোনও কর দিতে হচ্ছে না। এভাবে চাকরিজীবী ব্যক্তি বার্ষিক ১০ লাখ টাকা আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত করতে পারেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য New or Old Tax Regime: নতুন না কি পুরনো কর ব্যবস্থা? চাকরিজীবীদের জন্য লাভজনক কোনটা? এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk চাকরিজীবীদের নির্দিষ্ট সময় আইটিআর ফাইল করতে হয়। বর্তমানে দু’রকম কর কাঠামো রয়েছে। পুরনো কর ব্যবস্থা এবং নতুন কর ব্যবস্থা। চাকরিজীবীরা যে কোনও একটা বেছে নিতে পারেন। এখন প্রশ্ন হল, এই দুটি কর কাঠামোর মধ্যে চাকরিজীবীদের জন্য লাভজনক কোনটা? কোন কর কাঠামোয় বেশি সুবিধা মিলবে? নতুন কর কাঠামো: নতুন ট্যাক্স স্ল্যাবে বার্ষিক ২.৫ লাখ টাকা আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না। বার্ষিক বেতন ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে ৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হবে। ৫ লক্ষ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে। একইভাবে ৭.৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়েছে। বার্ষিক আয় যদি ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ১২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে কর দিতে হবে ২৫ শতাংশ হারে। বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। পুরনো কর কাঠামো: পুরনো কর ব্যবস্থায় আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনও কর দিতে হত না। যে সকল করদাতাদের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে, তাঁদের ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।একই সময়ে, যদি বার্ষিক বেতন ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়, তবে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। করছাড়: নতুন কর ব্যবস্থায়, আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে কোনও ছাড় নেই। যদিও করদাতারা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় নিতে পারেন। পুরনো কর ব্যবস্থায়, আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড় দেওয়া হয়। এতে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর সুবিধা মিলবে। কোনটা লাভজনক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক জায়গায় বিনিয়োগ থাকলে পুরনো কর ব্যবস্থা বেছে নেওয়াই লাভজনক। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর কাঠামো বেছে নিতে হবে। নাহলে করদাতাকে স্বয়ংক্রিয় নতুন কর কাঠামোর আওতায় ধরা হবে।