North 24 Parganas News: পর্দার বান্টি-বাবলি বাস্তবেও! মাথায় হাত শতাধিক মহিলার, সর্বহারা হয়ে পথে বসার জোগাড়

উত্তর ২৪ পরগনা: পর্দার বান্টি-বাবলির মতোই এই দম্পতিও অভিনব উপায়ে প্রতারণা করেছেন বহু লোককে! এলাকার প্রায় ৪০০ জন মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা বলেই অভিযোগ। এমন ঘটনার কথা সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নিউ ব্যারাকপুর এলাকায়। আরতি রায় ও বিনয় রায় নামে  দম্পতির বিরুদ্ধে মোটা টাকা সুদ বাড়ি, গয়নার প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন এলাকার গরীব মহিলাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ।

নিউ ব্যারাকপুর থানার অন্তর্গত নব কামারগাথি কলোনি এলাকার এই ঘটনা এদিন প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ এলাকার প্রায় ৪০০ মহিলার কাছ থেকে এই টাকা তোলেন ওই দম্পতি সহ তার গোটা পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হচ্ছে আভাস পেয়েই, চম্পট দেয় ওই প্রতারক পরিবার। বর্তমানে প্রতারণার শিকার হওয়া এলাকার শত শত মহিলারা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকায়। ওই প্রতারক পরিবারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতির সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। প্রতারণার শিকার হওয়া মহিলারা এখন রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই পরিস্থিতিতে।

কেউ জমি-বাড়ি বন্ধক রেখে, কেউ আবার সোনার গয়না বন্ধক রেখে লোন করে প্রতারকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রথম অবস্থায় বেশ কয়েক জনকে সুদের মোটা অঙ্কের টাকা ফিরিয়ে দিলে তা থেকেই এলাকার মহিলাদের বিশ্বাস জন্মায় ওই প্রতারক দম্পতির উপর। এলাকার মহিলারা আশা করেছিলেন এই দম্পতির কথা শুনলে আগামীদিনে তাঁদের জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। মুছে যাবে সমস্ত সমস্যা। তার পরিণতি যে এমন হবে তা যেন, ঘুণাক্ষরেও বুঝে উঠতে পারেনি কেউই। সর্বস্ব খুইয়ে এখন পথে বসেছে ওই এলাকার প্রায় সকল মহিলারাই। তাঁদের এখন মৃত্যুর পথ বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলেও জানান।

আরও পড়ুন: বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর প্রচার

আরও পড়ুন: সহজে দেখা মেলেনা, হাওড়ায় মিলল বিরল সোনালী কচ্ছপ! দেখতে উপচে পড়া ভিড়

নিউ ব্যারাকপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে থানার তরফ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রতারণার শিকার হওয়া মহিলাদের এই বিপুল অঙ্কের টাকা এখন কীভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হবে তার দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা।

রুদ্র নারায়ণ রায়