নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা৷

Mamata Banerjee: নায়ডু, হিমন্তদের ১৫-২০ মিনিট করে সময়, নীতি আয়োগের বৈঠকে ঠিক কী হল? বিস্ফোরক মমতা

নয়াদিল্লি: তাঁর আগে বক্তব্য রাখেন পাঁচ জন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের প্রত্যেককেই ন্যূনতম দশ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ কুড়ি মিনিট পর্যন্ত বলতে সময় দেওয়া হয়৷ কিন্তু তিনি বলতে উঠতেই পাঁচ মিনিটের মাথায় বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে তাঁর আগে বক্তব্য রাখেন অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, অসম, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীরা৷ এ দিনের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র হাজির ছিলেন মমতাই৷
নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপির জোট শরিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে কুড়ি মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে৷ এর পর অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্তরাও ১০ থেকে ১৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন৷

আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী, শোকপ্রকাশ করে অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা মমতার!

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমার আগে পাঁচ জন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন৷ তাঁদের প্রত্যেকেই কুড়ি মিনিট, দশ মিনিট, পনেরো মিনিট করে সময় দেওয়া হয়৷ আমি বলার সময়ই পাঁচ মিনিটে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল৷ ক্ষুব্ধ মমতার অভিযোগ, আমার আরও কিছু বলার ছিল, কিন্তু বলতে দেওয়া হয়নি৷’

কিন্তু যেটুকু সময় পেয়েছিলেন, তার মধ্যে কোন কোন দাবিতে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না৷ তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ৷ গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই৷ বাজেটে এ বছরও শূন্য৷ এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷’

নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়েই দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, এ দিনের ঘটনা নিয়ে সেখানেই অভিষেকের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর৷ নীতি আয়োগের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা দলনেত্রীর অপমান হিসেবেই দেখছে তৃণমূল৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এর প্রতিবাদে দলের সাংসদরাও সরব হবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন বলে খবর৷

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এই চিত্রনাট্য উপস্থাপিত করতেই তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন৷ তাঁর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্মান জানানো, তাঁর লক্ষ্য একটাই অন্ধ মোদি বিরোধিতা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েও বিরোধী দলের নেতার মতো আচরণ করছেন৷’