নকল সোনার মুর্তি দেখিয়ে টাকা লুঠ

Crime News: রানিনগরে ফিল্মি কায়দায় নকল সোনার মুর্তি দেখিয়ে সাত লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগরে ফিল্মি কায়দায় নকল সোনার মূর্তি দেখিয়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। ঘটনার তদন্তে নেমে তাজ্জব বনে গেল পুলিশ। এ যেন হলিউড সিনেমা।

জানা গিয়েছে, রানিনগরের কাতলামারী পরানপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম সেখ নকল সোনার মূর্তি দেখিয়ে টাকা লুট করার ফন্দি আঁটে। সেই মতো একই পাড়ার বাসিন্দা মুজিবর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তার বাড়ির পিছনে বহু প্রাচীন গুপ্তধন আছে সেই গল্প সোনায়। বলা হয় বাড়ির পিছনে মাটির তলায় সোনার মূর্তি, প্রদীপ সহ অন্যান্য অলংকার রয়েছে। এগুলো নিতে গেলে মসজিদ, গির্জায় কিছু টাকা দান করতে হবে। গরীব, দুঃস্থদের মাঝে কিছু বিতরণ করতে হবে। মানুষকে খুশি করতে হবে। এরপর সব কথা বিশ্বাস করে কিছু টাকাও দিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণ…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি ঘণ্টা খানেকেই কাঁপাবে দক্ষিণের ৪ জেলা, ভাসবে কলকাতা? সতর্ক করল আলিপুর

ইতিমধ্যেই সেলিম সেখ মজিবর রহমানের বাড়ির পিছনে লুকিয়ে নকল সোনার মূর্তি পুঁতে রাখে। এরপর থেকেই সুযোগ পেয়ে বসে সেলিম সেখ। সেখান থেকেই প্রতারনা করা শুরু। বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতে থাকে। ধার দেনা করে টাকা দেন। মাঝখানে বিশ্বাস অর্জন করতে সেলিম সেখ বাড়ির পিছনে আগে থেকে পুঁতে রাখা সোনার মূর্তি দেখায় মজিবর রহমান এবং তার স্ত্রী মঞ্জুরা বিবিকে। সে কথা কাউকে জানালে তার সন্তান মারা যাবে বলে ভয় দেখান হয়। এরপর দফায় দফায় টাকা নিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সবকিছু ফুরিয়ে গেলে দু বারে দশ কাঠা করে এক বিঘা জমি বিক্রি করে টাকাও দিয়ে দেয়। নিঃস্ব হয়ে যায় মজিবর রহমান। এরপরেই কানাঘুষা করতে করতে পাড়া প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে। তারপরেই রানিনগর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ পৌঁছে মজিবর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে নকল সোনার লক্ষ্মী মূর্তি, প্রদীপ সহ অন্যান্য অলংকার উদ্ধার করে। ঘটনার পর সেলিম সেখের স্ত্রী হিরা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতারক সেলিম সেখ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।

প্রণব রাকিবুল, মুর্শিদাবাদ