চলছে প্রশিক্ষণের কাজ

South 24 Parganas News: ইলিশ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন মৎস্যজীবীরা? দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ

নামখানা: গভীর সমুদ্রে যদি হঠাৎ অসুস্থ হন মৎস্যজীবীরা তাহলে কী করা হবে? আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ওই মৎস্যজীবীকে সাহায্য করতে পারেন কেবল মাত্র কাছে থাকা অন্য মৎস্যজীবীরা। সেই কারণেই সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের দেওয়া হল প্রশিক্ষণ। মৎস্যজীবীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

চলতি বছরে গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মরসুম। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি মৎস্যজীবী ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আগামীতে দুর্ঘটনা ঘটলে কী কী করণীয় তা বোঝাতে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হল। নামখানা ঘাটে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের নিয়ে এই কর্মশালা হয়। উপকূল রক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি বন ও মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মাঝ সমুদ্রে কোন ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়লে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এরজন্য একটি টোল-‌ফ্রি নম্বর (‌ ১৫৫৪)‌ প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ড্যাট-‌এর (‌ দূর নিয়ন্ত্রক বিপদ সঙ্কেত)‌ সাহায্য নিতে বলা হয়েছে। ড্যাট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও দেখানো হয়েছে।
এছাড়া লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়ার সঠিক ব্যবহার দেখানো হয় মৎস্যজীবীদের। হঠাৎ করে মাঝ সমুদ্রে কোন মৎস্যজীবী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রয়োজনে সিপিআর কী ভাবে দিতে হয় তাও দেখানো হয়।

ইলিশ ধরতে গেলে ১০ থেকে ১৫ দিন মাঝ সমুদ্রে থাকতে হয় মৎস্যজীবীদের। এই সময় মৎস্যজীবীদের সুস্থ থাকতে যোগ ব্যায়াম সহ বেশ কিছু শরীরচর্চার অভ্যাস রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি ট্রলারে ‘‌ফাস্ট-‌এইড বক্স’‌ রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি মৎস্যজীবীরা।

নবাব মল্লিক