গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক গ্রামের বাসিন্দাদের 

গঙ্গা গিলে খেতে বসেছে স্কুল! ভাঙনের গ্রাসে ভিটেমাটি, বাড়ি-ঘর

মুর্শিদাবাদ: এবার গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রামে। মধ্য রাতে প্রায় ৫০ মিটার ফাঁকা জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। আর তাতেই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

নদী কাটতে কাটতে একেবারেই বাঁধের কাছে এসে পৌঁছেছে। আর একটিবার ভাঙলেই যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে মাটির বাঁধ। আর সেই বাঁধের পাশেই রয়েছে বাড়িঘর।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনের পর বাংলাদেশ, ভবিষ্যৎ অথৈ জলে! ডাক্তার হতে পারবে তো অর্ক?

শিবপুরের ভাঙনের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রতাপপুরে নতুন করে ভাঙনের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।ভাঙন কবলিত এলাকাতে ৫০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে একটি MSK স্কুল এবং উত্তর চাচন্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়।

স্বাভাবিক কারণেই ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাত থেকে আতঙ্কে ঘুম বন্ধ এলাকাবাসীর। বাড়ির গুরুত্বপুর্ণ সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন তারা।

এদিকে সামসেরগঞ্জের শিবপুরে গঙ্গা ভাঙনের পর নতুন করে লোহরপুরে ভাঙন ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি থেকে জমি বাগান।

সেই আতঙ্কের মাঝেই এদিন রাতে লোহরপুরে বেশ কিছুটা অংশে গঙ্গার পার ধ্বসে যায়। এতেই ভাঙনের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অনেকেই ভাঙনের আশঙ্কায় ঘর বাড়ি ছেড়ে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- হাতে ১ ঘণ্টা সময়, বাজ থেকে সাবধান! দক্ষিণের ৫ জেলায় তোলপাড় বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্থানীয়দের এও দাবি, এলাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধের যে কাজ শুরু হয়েছে তা যথেষ্ট নয় । এই ভাঙন রোধের সেই কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সানাউর সেখ বলেন, ” রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ পাড়ার মানুষ ডেকে বলল নদী ভাঙছে । আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। কী করব, কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না”। রাতে বেশকিছু জমি নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।

কৌশিক অধিকারী