ফের সচিব বদল! রাজ‍্যের একাধিক দফতরের দায়িত্বে বড়সড় রদবদল

Nabanna: প্রশ্নের মুখে শিশুদের স্বাস্থ্য, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই হাল! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সরকারের

কলকাতা: প্রশ্নের মুখে শিশুদের স্বাস্থ্য। রাজ্যের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই শৌচালয়। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট চাঞ্চল্য ফেলে দিল।

রাজ্যের পক্ষে একটি সমীক্ষা করা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে। আর তাতেই  রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি বা আইসিডিএস প্রকল্পের পরিকাঠামো নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠল। রাজ্য সরকারের পঞ্চয়াত ও গ্রামান্নোয়ন দফতরের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১ লক্ষ ৭ হাজার ২১১ সেন্টারের মধ্যে ২২ হাজার ১৯৫ টিতে কোনও শৌচালয় নেই। আরও ২২ হাজার ৫৯১টি সেন্টারের শৌচালয়ে ভগ্নপ্রায়, ব্যবহারের অয়োগ্য। ফলে এই সব সেন্টারের শিশুদের স্বাস্থ্য প্রশ্নের মুখে। টেন্ডার করে আগামী ১৭ সেপ্টাম্বরের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন ও জেলায় থাকা পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের টাকায় এই সব সেন্টারের শৌচালয় তৈরি ও নিকাশী ব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন সচিব।

জেলাশাসকদের দেওয়া চিঠিতে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব পরিষ্কার করে জানিয়েছেন কবে টেন্ডার ডাকতে হবে, কত দিনের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণের কাজে হাত দিতে হবে তার একটি দিন একটি দিনক্ষণও দিয়েছেন। তাতে ১৯ সেপ্টম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ‘এই রাজনীতি আমার জন্য নয়!’ তৃণমূলের সঙ্গে আপোসে নারাজ, অধীরের ফেসবুক পোস্টে জল্পনা

সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আইসিডিএস সেন্টারগুলি বেশিরভাগই সরকারি বাড়িতে চললেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। এই সেন্টারগুলিতে গরির ঘরের শিশুরা আসে। তাদের শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য বিশেষ করে পুষ্টির উপর নজর দেওয়া হয়।এখান থেকেই শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের মিড ডে মিলের নামে পুষ্টিকর রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। সেই কেন্দ্রগুলি অপুষ্টির শিকার।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার। এই জেলায় আইসিডিএস সেন্টারের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৫৩। এর মধ্যে ২ হাজার ১৯টিতে কোনও শৌচালয় নেই। ২ হাজার ৪০২ টি সেন্টারে শৌচালয়ে ভগ্নপ্রায়। এগুলি সবই সরকারি ভবনে অবস্থিত।এরপরই রয়েছে বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদীয়া, হুগলি। একাধিক জেলার এই রিপোর্ট উঠে আসায় এবার নড়েচড়ে বসল নবান্ন। কোন সময়ের মধ্যে তা করে ফেলতে হবে তা নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হল নবান্নের তরফে।