প্রতীকী ছবি

বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তামুক্তি, অবশেষে হাসি ফিরল মানিকচকে

মালদহ: মানিকচক এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তৎপর হল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। আপাতত ভাবে দুটি টাওয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি একটির কাজ শুরু হবে আগামিকাল থেকে। অর্থাৎ বাকি মোট যে তিনটি টাওয়ার কাজ হওয়ার কথা ছিল জমি-জট কাটিয়ে এখন তা প্রায় শেষের মুখে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। ফলে গোটা এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে বলে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে। ফলে হাসি ফুটেছে এলাকাবাসীর মুখে।

আরও পড়ুন: কিভাবে আত্মহত্যা? পুঙ্খানুপুঙ্খ স্কেচ এঁকে মারণ ঝাঁপ কিশোরের
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, গোটা এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোট ২১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত তার সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২.৫ কিলোমিটার তার সম্প্রসারণের কাজ বাকি রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ আগামি ১০ই অগাস্টের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে।

গত ১৮ই জুলাই এই এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি নিয়ে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি নিয়ে অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। সেই নিয়ে সরব হয় শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। তারপর থেকেই গোটা এলাকাই থমথমে।

এতদিন পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে মালদহের ঘোড়াপীর সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আনতে হত মানিকচকে। এবারে সেই দুর্দশা কাটল।
মালদহের মানিকচকে ৬৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। মানিকচক ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি ইংরেজবাজারের শোভানগর পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় মানিকচক বিদ্যুৎ দফতর থেকে। এখানে দৈনিক চাহিদা রয়েছে ১২০০ কেভি বিদ্যুতের। সেখানে বর্তমান পরিকাঠামোতে সর্বাধিক নয়শো কেভি বিদ্যুৎ পরিবহন করা সম্ভব হয়।

এর থেকে বেশি বিদ্যুৎ পরিবহন করতে গেলেই ওভারলোড জনিত কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়ত। অথবা দুটি বিদ্যুৎ খুঁটির মাঝে ‘জাম্পার আউট’ বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। তখন ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে থাকত। রাতের দিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে রাতের শিফটে কোনও মেনটেনেন্স কর্মী থাকতেন না।

ফলে, কোথায় সমস্যা তা দেখাও হত না। পরিনাম রাতভর বিদ্যুৎ বিভ্রাট।   অবশেষে হাসি ফুটল এলাকাবাসীর মুখে। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আলোকিত হতে চলেছে গোটা মানিকচক।