হাওড়া-মুম্বই মেল ট্রেন দুর্ঘটনা।

হাওড়া-মুম্বই মেল দুর্ঘটনায় জখম মালদহের তিন যুবক, উৎকণ্ঠায় পরিবার-পরিজন

মালদহ: হাওড়া-মুম্বই মেল  দুর্ঘটনায় জখম মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীঘাট এলাকার তিন যুবক। পেশায় ফল বিক্রেতা তিনজন গতকাল মালদহ থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ভোররাতে দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার খবর পায় পরিবার। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে পুরুষদের দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার খবরে চরম উৎকণ্ঠায় পরিবার।

রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন প্রতিবেশীদের। মালদহের ইংরেজবাজারের নরহাট্টা পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীঘাট গ্রাম। এই গ্রামের তিন যুবক জামশেদ শেখ, কাদির শেখ ও সোহরাব শেখ মুম্বই মেলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরার যাত্রী ছিলেন। ইদে বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁরা। গতকাল সকালে মালদহের বাড়ি থেকে কর্মস্থল মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত দশটা নাগাদ প্রত্যেকেই পরিবারের লোকজনকে জানান তাঁদের ট্রেন হাওড়া থেকে রওনা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে জামশেদ ও কাদির সম্পর্কে জামাই ও শ্যালক। ট্রেন দুর্ঘটনায় যে কয়েকটি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের মধ্যে ছিল জামশেদ কাদির ও সোহরাব। ঘুমন্ত অবস্থায় ওপরের নির্দিষ্ট আসন থেকে নীচে পড়ে যায় কাদির। কামরা পাল্টি খাওয়ায় শরীরের চোট পান জামশেদ ও সোহরাব। জানলার কাঁচ ভেঙে বের হতে হয় তিনজনকেই। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শুরু হয় চিকিৎসা।

ভোর চারটে নাগাদ পরিবারের লোকজন দুর্ঘটনার খবর পান। এরপর থেকেই কার্যত খাওয়া, ঘুম ছুটেছে মহিলাদের। সকলেই চাইছেন প্রিয়জনেরা দ্রুত সুস্থ হোক। একইসঙ্গে উৎকণ্ঠা কবে আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবে তাঁরা। এরই মধ্যে পরিবার-পরিজনদের ক্ষোভ রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রতিবেশীরা বলেন, প্রায় তিন হাজার দু’শো টাকা দিয়ে টিকিট কেটে তাঁরা গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। রেলের ভাড়াও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু, যেভাবে পরপর দুর্ঘটনা হচ্ছে তাতে স্পষ্ট, নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও সুরক্ষিত নয়।