কোচবিহার: বিগত বেশ কিছুদিন ধরে টানা গ্রীষ্মের দাপট চলেছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। দক্ষিণের জেলা গুলিতে বৃষ্টির দেখা মিললেও, উত্তরের জেলা গুলিতে তীব্র গরমের দাপট অব্যাহত ছিল। এই ছবির ব্যতিক্রম ছিল না জেলা কোচবিহারে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কোচবিহারে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়-সহ বজ্রপাত হচ্ছে জেলায়। আর আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে শীতলকুচির এক বাসিন্দার। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। বেশ কিছু বড় গাছ ও বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি।
আরও পড়ুন: কোবরা এবং কিং কোবরার মধ্যে পার্থক্য জানেন কী? কার বিষে একসঙ্গে মৃত্যু হতে পারে ২০ জনের!
সূত্র মারফত জানতে পারা গিয়েছে, ‘এদিন বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘূর্ণিঝড়-সহ বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর এতেই শুরু হয় বিপত্তি। শীতলকুচি এলাকার ছোট শালবাড়িতে গবাদি পশু চরাতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় কুটি হালদার নামে বছর ৫৫ এক ব্যক্তির। এছাড়া রবি বর্মন নামে বছর ৪৫ এর গোলেনাহাটির মীরা পাড়ায় এক ব্যক্তি বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন।
বর্তমানে তিনি শীতলকুচির গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে শীতলকুচি, মাথাভাঙা ও হলদিবাড়ি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি করে বাড়ি। মাথাভাঙা ১টি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে চলন্ত ট্রাকের ওপর গাছ পড়ে যাওয়ার কারনে। ঘোকসাডাঙা এলাকায় উপরে পড়েছে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগের খুঁটি। এছাড়াও মেখলিগঞ্জ এলাকায় একটি দোকান ও মোটর বাইকের ওপর উপরে পড়েছে বড় গাছ।’
আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে
পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “বেশিরভাগ জায়গায় বিপর্যয় মোকাবেলা দল পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলিতে বিপর্যয় মোকাবেলা দল পাঠিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।” এখনও পর্যন্ত জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত এলাকার মানুষদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
Sarthak Pandit