Category Archives: কোচবিহার

Viral Fish Bar: সুরা প্রেমীদের জন্য নয়, মৎস প্রেমীদের জন্য সুখবর! জেলায় খুলে গেল ফিস বার!

কোচবিহার: “বার” শব্দটি কানে আসলেই আমাদের মনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া উঁকি দেয়। তবে জেলা শহর কোচবিহারের এক ব্যবসায়ী এই শব্দটির মানেকে একেবারেই পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তিনি নিজের উদ্যোগে শুরু করেছেন এক অভিনব খাবারের দোকান। এই দোকানে কোনরকম সুরা পাওয়া যায় না। তবে এই দোকানে নামের মধ্যে কিন্তু ‘বার’ রয়েছে। তাইতো অনেক মানুষ কৌতূহলের বশেই এই খাবারের দোকানে ঢুকছেন। তবে বলে রাখা ভাল বর্তমান সময়ে কিন্তু এই দোকান কোচবিহারে ব্যাপক ভাইরাল।

আরও পড়ুনঃ গরমকে বলুন টাটা! রোদে পুড়ে বাড়ি আসার ৫ মিনিটে শরীর হবে ঠান্ডা! মানুন ২ টিপস

দোকানের কর্ণধার বিশাল সিং যারা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তিনি খাবারের দোকান করছেন। তাইতো তিনি মনে করেন বাঙালির ভোজন রসিক হওয়ার বিষয়ে একটা আলাদা আবেগ কাজ করে। এছাড়া যদি থাকে মাছের বিভিন্ন রকমের খাবার তবে তো বাঙালির মৎস্য প্রীতি আরও অনেকটা বেড়ে ওঠে। মূলত এই কারণেই বাঙালিকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়। কারণ মাছ ছাড়া বাঙালি কার্যত অচল। মূলত এই চিন্তা ভাবনা থেকে তিনি তাঁর দোকান শুরু করেছেন “ফিস বার” নামে। তাঁর দোকানে রকমারি সমস্ত মাছের খাবারের আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।

রেস্তোরাঁর আরেকজন কর্ণধার রাজীব সিং জানান, “কোচবিহারের মধ্যে এতদিন পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক মাছের খাবারের আইটেম পাওয়া যেত। তাইতো বর্তমান সময় তাঁদের তৈরি দোকান সকলের মন আকর্ষণ করছে। এখানে বহু ধরনের মাছের খাবারের আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মাছের তন্দুরি ও কাবাব সকলের পছন্দ হচ্ছে দারুণ। তাইতো সন্ধ্যে নামলেই দোকানে ভিড় জমাচ্ছে বহু ক্রেতারা। জেলার বুকে এমন মাছের খাবারের একটি অন্যতম দোকান পেয়ে দারুণ খুশি ক্রেতারা।”

এক গ্রাহক রৌনক পাল জানান, “জেলা কোচবিহারের শহরে থাকা খাদ্য রসিকেরা এতদিন পর্যন্ত মাছের বিভিন্ন খাবারের আইটেম মিস করতেন। তবে এই দোকান খোলার পর থেকে এই অভাব পূরণ হয়েছে অনেকটাই। তাইতো সন্ধ্যে নামলেই এই দোকানে ভিড় করেন বহু মানুষ। আগামীতেই দোকান আরও অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এমনটাই আশা তাঁদের। বর্তমান সময়ে কোচবিহার শহরের মাঝে তৈরি হওয়া এই নতুন “ফিস বার” ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জেলার বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই ফিশ বারের নাম।

Sarthak Pandit

Coconut Water: গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফলের চাহিদা ও দাম

কোচবিহার: দাবদাহ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর তা থেকে ক্ষণিকের স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটছে ঠান্ডা পানীয়ের দিকে। তবে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁরা কিন্তু বাজার চলতি সফট ড্রিঙ্কের বদলে ফলের রস কিংবা ডাবের জলের উপরই ভরসা করছেন। এই কারণেই মূলত গরম পড়তেই ডাব ও ডাবের জলের বিক্রি বেড়ে গিয়ূছে কয়েক গুণ।

এদিকে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেলেও ডাবের পর্যাপ্ত যোগান মিলছে না। ফলে ডাবের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। কোচবিহার শহরের এমন‌ই এক ডাব বিক্রেতা প্রদীপ রায় জানান, গরম যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে দিশেহারা মানুষ। মূলত এই কারণেই ডাবের জলের বিক্রি বেড়েছে অনেকটাই। তবে প্রতিনিয়ত যেভাবে ডাবের বিক্রি বাড়ছে সেই তুলনায় যোগান থাকছে না। তাই দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যোগানের অভাবে অনেকে ডাব কিনতে এসে দোকান থেকে ফিরে যাচ্ছেন।

আর‌ও পড়ুন: অনাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পাট চাষ

এখন গ্রামের দিকের গাছগুলিতে খুব একটা ডাব পাওয়া যায় না। তাই যোগানে ঘাটতি বলে জানাচ্ছেন ডাব ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, অত্যধিক গরমের ফলে শরীর থেকে ঘাম হয়ে সব জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকরা এই সময় বেশি করে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর হাত ধরে শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু দাম ও পর্যাপ্ত যোগানের অভাবে ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই ডাবের জল খেতে পাচ্ছেন না।

সার্থক পণ্ডিত

Green Jackfruit Harvest: ভিন রাজ্যেও তুঙ্গে চাহিদা! ভরা গরমে এঁচোড় চাষ ও বিক্রি করে রাতারাতি বিশাল লাভবান এই জেলার চাষিরা

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: গরমের মরশুমে অনেকেই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। তবে এর পাশাপাশি সুস্বাদু এঁচোড়ের কথা ভুলে গেলে চলবে না। বেশ মশলাদার করে রান্না করা সুস্বাদু এঁচোড় সকলেরই প্রিয়। তাই তো গরমের এই মরশুমে বাজারে প্রচুর এঁচোড় বিক্রি হতে দেখা যায়। এই এঁচোড়গুলির বেশিরভাগই আসে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রাম থেকে। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র কোচবিহারের বাজারেই নয়, ভিন রাজ্যেও পৌঁছে যাচ্ছে কোচবিহারের এঁচোড়। প্রথমে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঘুরে ঘুরে এঁচোড় সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর টোটোর মাধ্যমে সেগুলো কি নিয়ে আসা হচ্ছে মাথাভাঙায়। তারপর সেগুলিকে পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে বস্তা বন্দি করে পাঠানো হচ্ছে ভিন্ন রাজ্যে।

এই কাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন শ্রমিক লালচাঁদ বর্মন জানান, ‘‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কোচবিহার থেকে ভিন রাজ্যে এই এঁচোড় পাঠানো শুরু হয়েছে। আগে এ বিষয়টি খুব একটা চোখে পড়ত না। তবে ভিন রাজ্যে কোচবিহার জেলার সুস্বাদু এঁচোড়ের চাহিদা থাকার কারণে এই কাজ করে মুনাফা অর্জন করছেন চাষিরা। এছাড়াও মুনাফা পাচ্ছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকার মানুষজনও। গরমের মরশুমেই এই কাজটিই করা হয়ে থাকে। সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এঁচোড়গুলিকে ধুয়ে পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে বস্তাবন্দি করে তার পর পাঠানো হয়। এই এঁচোড়গুলোর দাম হয় গাড়ি অনুযায়ী। মূলত পাইকারি দামেই এই এঁচোড় বিক্রি করা হয়।’’

এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক গাড়িচালক মোজিবুর রহমান জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সারা বছর এই কাজটি না থাকলেও বছরের এই গরমের মরশুমে এই কাজটির চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাইতো প্রতিদিন অসংখ্য গাড়িতে করে এই কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হয় ভিন্ন রাজ্যে।”

আরও পড়ুন : AC ছাড়াই সুশীতল ঘর! তীব্র গরমেও থাকুন আরামে! ঘরে লাগান এই গাছগুলি

এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন বিক্রেতা প্রফুল্ল বর্মন জানান, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামগুলি থেকে টোটোর মাধ্যমে এই এঁচোড়গুলি সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেগুলিকে কাগজে মুড়ে বস্তা বন্দি করা হয়। এই কাজটি প্রতিনিয়ত  চলতেই থাকে। প্রতিদিন বহু গাড়ি এভাবে পাঠানো হচ্ছে বাইরে।” বর্তমান সময়ে জেলার কৃষক ও বহু মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে নিচ্ছেন।

Pointed Gourd Benefits: তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারে পটল! খেলেই আরাম! বহু রোগের মহা-ওষুধ! জানুন চিকিৎসকের মত

গরমের তাপপ্রবাহ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই গরমে পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায়। আবার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ভাজা হোক বা ভর্তা‌, পটল খেতে ভালবাসেন।
গরমের তাপপ্রবাহ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই গরমে পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায়। আবার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ভাজা হোক বা ভর্তা‌, পটল খেতে ভালবাসেন।
রোজের পাতে পটল রাখলে পাওয়া সম্ভব বহু উপকার। সুগার থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে এই সবজির মাধ্যমে। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্ম্পকে জেনে নিন।
রোজের পাতে পটল রাখলে পাওয়া সম্ভব বহু উপকার। সুগার থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে এই সবজির মাধ্যমে। পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্ম্পকে জেনে নিন।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, পটলে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়বেটিসে অনেকটাই উপকারী এই সবজি।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, পটলে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়বেটিসে অনেকটাই উপকারী এই সবজি।
শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখতে পটলের জুড়ি নেই। দূষিত রক্ত সহজে পরিশ্রুত করে এটি। এতে ত্বকের সমস্যা সহজেই কমে যায়। দীর্ঘ মেয়াদী সময় শরীরে রক্ত সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয় না।
শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখতে পটলের জুড়ি নেই। দূষিত রক্ত সহজে পরিশ্রুত করে এটি। এতে ত্বকের সমস্যা সহজেই কমে যায়। দীর্ঘ মেয়াদী সময় শরীরে রক্ত সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয় না।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। পটল খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায় রক্তে। ফলে হার্টের সমস্যা সহজে দূর হয়।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। পটল খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায় রক্তে। ফলে হার্টের সমস্যা সহজে দূর হয়।
রোজের ডায়েটে পটল রাখলে সহজেই ত্বকের বার্ধক্যে এড়ানো সম্ভব। পটলের মধ্যে ভিটামিন A ও C রয়েছে। এই দুই উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রোজের ডায়েটে পটল রাখলে সহজেই ত্বকের বার্ধক্যে এড়ানো সম্ভব। পটলের মধ্যে ভিটামিন A ও C রয়েছে। এই দুই উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
জল কম খেলে, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় মানব শরীরে। রোজকার ডায়েটে পটল রাখলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব সহজ ভাবে।
জল কম খেলে, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় মানব শরীরে। রোজকার ডায়েটে পটল রাখলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব সহজ ভাবে।
পটলে ভিটামিন A, B1, B2, C, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম উপাদান রয়েছে। এই সকল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে এবং রোগ থেকে বাঁচায়।
পটলে ভিটামিন A, B1, B2, C, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম উপাদান রয়েছে। এই সকল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে এবং রোগ থেকে বাঁচায়।
 যাঁরা অনেকটাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। তাঁরা ওজন কমানোর ডায়েটে পটল খেতে পারেন। এই সবজির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ নেই বললেই চলে। তাই এই সবজি দারুণ উপকারী।
যাঁরা অনেকটাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। তাঁরা ওজন কমানোর ডায়েটে পটল খেতে পারেন। এই সবজির মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ নেই বললেই চলে। তাই এই সবজি দারুণ উপকারী।

Summer Hair Care Tips: এই গরমেও ওর এত সুন্দর চুল! লোকের ঈর্ষার কারণ হতে মানুন সহজ টিপস

বর্তমান সময়ের তীব্র ও প্যাচপ্যাচে গরমে শরীরের পাশাপশি ত্বকেও ক্ষতি হচ্ছে দারুণ। এমনকী অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে সারাক্ষণই স্ক্যাল্প ঘামতে থাকছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে চুলের।
বর্তমান সময়ের তীব্র ও প্যাচপ্যাচে গরমে শরীরের পাশাপশি ত্বকেও ক্ষতি হচ্ছে দারুণ। এমনকী অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে সারাক্ষণই স্ক্যাল্প ঘামতে থাকছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে চুলের।
অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আবার অনেকেই ব্যবহার করে চলেছেন দামী সমস্ত জিনিসপত্র। তবে এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।
অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আবার অনেকেই ব্যবহার করে চলেছেন দামী সমস্ত জিনিসপত্র। তবে এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেব কুমার সামন্ত জানান, স্ক্যাল্পে ঘাম, তেল এবং ধুলো-ময়লা জমে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। ফলে গরমে স্ক্যাল্প ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেব কুমার সামন্ত জানান, স্ক্যাল্পে ঘাম, তেল এবং ধুলো-ময়লা জমে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। ফলে গরমে স্ক্যাল্প ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
গরমে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে মাথার তালুতে প্রচুর পরিমাণে ঘাম জমে। সেখানেই ধুলো, বালি বসে আটকে যায়। ফলে স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রার হেরফের হয় এবং চুলের ক্ষতি হয় অনেকটা।
গরমে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে মাথার তালুতে প্রচুর পরিমাণে ঘাম জমে। সেখানেই ধুলো, বালি বসে আটকে যায়। ফলে স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রার হেরফের হয় এবং চুলের ক্ষতি হয় অনেকটা।
এই গরমের মরশুমে চুলের সমস্যা কমাতে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত শ্যাম্পু করা ভাল। তবে যদি সমস্যা থাকে তবে সপ্তাহে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
এই গরমের মরশুমে চুলের সমস্যা কমাতে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত শ্যাম্পু করা ভাল। তবে যদি সমস্যা থাকে তবে সপ্তাহে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
স্ক্যাল্প ক্লিনজিংয়ের জন্যে আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে ১ থেকে ২ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
স্ক্যাল্প ক্লিনজিংয়ের জন্যে আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে ১ থেকে ২ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া চুলের উজ্জ্বলতা ও সিল্কি ভাব বজায় রাখতে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম লাগানো উচিত। এতে চুলের পুষ্টির যোগানে ভাটা পড়ে না চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
এছাড়া চুলের উজ্জ্বলতা ও সিল্কি ভাব বজায় রাখতে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম লাগানো উচিত। এতে চুলের পুষ্টির যোগানে ভাটা পড়ে না চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

Fruit Garden: অবাক কাণ্ড! সরকারের পরিত্যক্ত জমি এখন ফলের বাগান

কোচবিহার: তুফানগঞ্জ সদর মহকুমাশাসকের দফতর চত্বরে থাকা পতিত জমিকে বাগানে রূপান্তর করা হল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েজে এই পতিত জমিতে। তবে এই কাজ কিন্তু আজকে শুরু করা হয়নি। অনেকটা সময়ে কেটে গিয়েছে কাজ শুরু করার পরে। গত বছরের অগস্ট মাসের সময় থেকে এই বাগান তৈরির কাজ শুরু করা হয়।

তুফানগঞ্জ মহকুমা শাসকের দফতরের নাজির বাবু সুকিল চন্দ্র রাভা জানান, বর্তমান সদর মহকুমাশাসক বাগান অত্যন্ত পছন্দ করেন। গাছপালার প্রতি তাঁর প্রেম অনেকটাই বেশি। এখানে আসার পর থেকেই তিনি দেখছিলেন দফতরের পেছনের একটি জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। একেবারে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে জঙ্গল ও ঝোপঝাড় হয়ে রয়েছে সেখানে। তাই তাঁর উদ্যোগে এবং দফতরের কর্মীদের সহায়তায় এখানে বাগান গড়ে তোলা হয়। বাগানের বিষয়ে একজন গাছপ্রেমী ব্যক্তি অনেকটাই সহায়তা করেছেন।

আর‌ও পড়ুন: হর-গৌরীর পুজোয় ভক্তের ঢল

গত বছরের অগস্ট মাস থেকে এই বাগান তৈরির কাজ শুরু করা হয়। তারপর গাছগুলিও নিজেদের মতন বাড়তে শুরু করেছে। বাগানের বেশিরভাগ গাছে ফলও এসেছে। আর বাগানের গাছের এই ফলগুলি এটাই নিশ্চিত করে যে পরিত্যক্ত জমিকে বাগানে রূপান্তরিত করার সরকারি উদ্যোগ সফল হয়েছে। এখানকার গাছের ফল দেখে খুশি সদর মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে দফতরের প্রত্যেক কর্মী।

বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকায় এই বাগান ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বহু গাছপ্রেমী মানুষ এই বাগান দেখে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন নিজেদেরও বাগান তৈরি করার। এছাড়াও অন্যান্য মহকুমা শহরের সরকারি দফতর গুলিও নিজেদের মতন প্রচেষ্টা শুরু করেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে হয়তো তাঁরাও এই ধরনের বাগান তৈরি করতে সফল হবেন।

সার্থক পণ্ডিত

Har Gauri Puja: হর-গৌরীর পুজোয় ভক্তের ঢল

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মধ্যে লোক সংস্কৃতির নানান ঐতিহ্য ও পুজো-পার্বণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি আজও বেশকিছু গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে বিভিন্ন ধরনের পুজো আমরা বিভিন্ন সময় হতে দেখি। তবে গ্রাম বাংলা একটি বিশেষ পুজো দেখতে পাওয়া যায়। এই বিশেষ পুজোর নাম চড়ক পুজো। বিশেষ এই পুজোর পুরোহিত রাজীব চক্রবর্তী জানান, চড়ক পুজোর সম্পর্কে তো অনেকেই জানেন। চড়কের একদিন আগের রাতে এক বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই পুজোয় যে দেবতার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করা হয় সেই মূর্তির অর্ধেক অংশ হয় দেবীর এবং অর্ধেক অংশ হয় দেবতার। মূলত দেবী পার্বতী ও মহাদেবকে এখানে কল্পনা করা হয়। এই কারণেই এই পূজোর নাম হর-গৌরী কিংবা শিব-পার্বতী পুজো।

আর‌ও পড়ুন: এখানে রাখা থাকত বাঘের দুধ! বন্ধ ‘উল্টো ঘর’ আবার খুলবে?

বিশেষ এই পুজোর আয়োজন করা হয় সকলের মঙ্গল কামনা করার জন্য। কবে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল সেটা বলা অসম্ভব। তবে প্রাচীন লোকমতে এই পুজো আজও হয়ে আসছে বিভিন্ন এলাকায়। এই পুজোর দুই উদ্যোক্তা রবি সন্ন্যাসী ও বাদল দাস জানান, বর্তমান সময়ে এই পুজো কোথাও খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে যে সমস্ত এলাকায় এখনো চরক পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।

দীর্ঘ সময় ধরে তারা চড়ক পুজো করেন। তাই এই বিশেষ পুজোরও আয়োজন করা হয়। এই পুজোর সময় দুজনকে শিব এবং পার্বতী সাজানো হয়। ঢাকের তালে তাঁরা দু’জন নৃত্য করেন। আজও বহু মানুষ এই পুজোগুলিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। তাই তো বছরের এই বিশেষ সময় গ্রাম বাংলার বহু এলাকায় এই বিশেষ পূজোর আয়োজন হতে দেখা যায়।

সার্থক পণ্ডিত

Lucky Number: সূর্য দেবের আশীর্বাদে নাম-যশের অভাব হয় না, কারা পান সূর্যের আশীর্বাদ? আপনিও কি আছেন সেই তালিকায়? জেনে নিন

নিউমেরোলজি অনুযায়ী বিভিন্ন সংখ্যা মানুষকে চালনা করে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষের উপর বিভিন্ন সংখ্যার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। জন্ম তারিখ অনুসারে প্রত্যেক মানুষের একটি করে মূলাঙ্ক থাকে।
নিউমেরোলজি অনুযায়ী বিভিন্ন সংখ্যা মানুষকে চালনা করে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষের উপর বিভিন্ন সংখ্যার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। জন্ম তারিখ অনুসারে প্রত্যেক মানুষের একটি করে মূলাঙ্ক থাকে।
জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদ অশোক শাস্ত্রী জানান,
জ্যোতিষশাস্ত্র বিশারদ অশোক শাস্ত্রী জানান, “মাসের ১, ১০, ১৯ বা ২৮ তারিখে জন্মানো মানুষরা সকলেই ১ মূলাঙ্কের জাতক। নিউমেরোলজির মত অনুযায়ী ১ সংখ্যার অধিপতি গ্রহ হল সূর্য।
১ মূলাঙ্কের জাতকদের উপর সূর্য দেবতার আশীর্বাদ থাকে সর্বদা। সূর্য হল শক্তি, সাহস, বীরত্ব, এনার্জি ও ক্ষমতার প্রতীক। সকল প্রতীকের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় এই জাতকদের উপর।
১ ১ মূলাঙ্কের জাতকদের উপর সূর্য দেবতার আশীর্বাদ থাকে সর্বদা। সূর্য হল শক্তি, সাহস, বীরত্ব, এনার্জি ও ক্ষমতার প্রতীক। সকল প্রতীকের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় এই জাতকদের উপর।
এই সকল জাতকরা সর্বদা সত্‍ থাকেন। জীবনে কোনও অবস্থাতেই এঁরা অধর্মের রাস্তায় হাঁটেন না। এই জাতকদের আত্মমর্যাদাবোধ অত্যন্ত প্রবল। এঁরা উচ্চাকাঙ্খী, আকর্ষণীয়, নানা কাজে দক্ষ।
এই সকল জাতকরা সর্বদা সত্‍ থাকেন। জীবনে কোনও অবস্থাতেই এঁরা অধর্মের রাস্তায় হাঁটেন না। এই জাতকদের আত্মমর্যাদাবোধ অত্যন্ত প্রবল। এঁরা উচ্চাকাঙ্খী, আকর্ষণীয়, নানা কাজে দক্ষ।
এই জাতকরা দূরদর্শী হন এবং ভবিষ্যতের বিষয় আগেই টের পান। সেই কারণে এঁদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ সময় সঠিক হয়। অন্য কারও অধীনে থেকে এঁরা কাজ করেন না।
এই জাতকরা দূরদর্শী হন এবং ভবিষ্যতের বিষয় আগেই টের পান। সেই কারণে এঁদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ সময় সঠিক হয়। অন্য কারও অধীনে থেকে এঁরা কাজ করেন না।
এই জাতকরা সব সময় নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেন। সেই কারণে কখনও কখনও এঁরা স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন। এঁরা উচ্চশিক্ষিত হন এবং গবেষণামূলক কাজে সাফল্য লাভ করেন।
এই জাতকরা সব সময় নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেন। সেই কারণে কখনও কখনও এঁরা স্বার্থপরের মতো আচরণ করেন। এঁরা উচ্চশিক্ষিত হন এবং গবেষণামূলক কাজে সাফল্য লাভ করেন।
এই জাতকরা জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তাই এঁদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল হয়। এঁরা জীবনে কখনও আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েন না। প্রভাব প্রতিপত্তির সঙ্গে জীবন কাটান এঁরা।
এই জাতকরা জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। তাই এঁদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল হয়। এঁরা জীবনে কখনও আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েন না। প্রভাব প্রতিপত্তির সঙ্গে জীবন কাটান এঁরা।

Missing Couple: গ্রাম থেকে শহরে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ দম্পতি

কোচবিহার: নিশিগঞ্জের মাঘপালা এলাকার বাসিন্দা দীপক বর্মন ও অঞ্জনা বর্মন। তাঁদের বেশ সুখে-শান্তির সংসার। কিন্তু হঠাৎই গোটা পরিবার ভেসে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। দীপক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তবে অঞ্জনা সম্পূর্ণ সুস্থ সবল। গত ১১ এপ্রিল ডাক্তার দেখানোর জন্য তাঁরা মাঘপালা থেকে কোচবিহার শহরে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ওই দম্পতির আর কোন‌ও খোঁজ মিলছে না।

নিখোঁজ দম্পতির বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানা গিয়েছে, তাঁরা কথামত ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই আর সন্ধান নেই। ওদিকে ওই নিখোঁজ দম্পতির ছেলে দেবাশিস বর্মন বাইরে থাকেন। পড়াশোনা ও কাজ দুই’ই বাইরে। বাবা-মার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র আলোকপাত করতে পারেননি। বিষয়টি জেনে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: নৌকার হাল ধরলেন সন্দেশখালির রেখা, বসিরহাটে বিজেপির হাল ধরতে পারবেন?

এদিকে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু তারা ওই দম্পতির কোন‌ওরকম সন্ধান দিতে পারেনি। এদিকে মা-বাবা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় দেবাশিসবাবু ছোট ভাইকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাবা-মা ছাড়া তাঁদের সংসার একপ্রকার ভেসে যাওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

MadanMohan Temple: কোচবিহারে মদনমোহনদেবের ঐতিহ্যবাহী নৌকোবিহারের সাক্ষী থাকতে অগণিত ভক্ত সমাগম

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: রাজ আমলের রীতি মেনে কোচবিহারের মদনমোহন বাড়িতে মদন কাম পুজো হয়। রীতি অনুযায়ী কথিত, এই পুজোতে  মদনমোহন সাগরদিঘিতে আসেন নৌকাবিহার করতে। বানেশ্বর, ষান্ডেশ্বর এবং গুঞ্জবাড়ি থেকে বিগ্রহ আসেন এই মদনমোহন বাড়িতে। দীর্ঘ সময় ধরে এই রীতি মেনেই চলে আসছে এই পুজো। প্রাচীন পুজো ও মদনমোহন দেবের নৌকাবিহারের সময় বহু মানুষ ভিড় জমান।

মন্দিরের পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী জানান, ‘‘দ্বাদশীর দিন কাঠামিয়া মন্দিরের সামনে কয়েকটি বাঁশে লাল কাপড় পরানো হয়। এর পর সোমবার চতুর্দশীর দিন সকালে পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশেষ পুজোর পর পূর্ণিমার সন্ধ্যায় সাগরদিঘিতে নৌকাবিহার করেন মদনমোহন দেব। দীর্ঘ সময়ের এই প্রাচীন রীতি ও প্রথা রাজ আমল থেকে অটুট রয়েছে। এই নিয়ম বা প্রথার কোনওরকম অন্যথা হয়নি। বর্তমান সময়ে এই পুজো চলাকালীন বহু ভক্ত ভিড় জমান। আবার অনেকে কৌতূহল প্রকাশ করেন এই বিশেষ পুজোর বিষয়ে।”

কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্টবোর্ডের সেক্রেটারি কৃষ্ণগোপাল ধারা জানান, ‘‘প্রতিবছরের মতো এই বছরেও বেশ সমারোহের সঙ্গে এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। মদনমোহন দেবকে সাগরদিঘিতে নৌকোবিহার করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বিশেষ এই রীতির সাক্ষী থাকতে কোচবিহারের বহু মানুষ ভিড় জমান। তবে সুরক্ষার বিষয় মাথায় রেখে ডুবুরি ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে এই বিশেষ নিয়ম চলাকালীন সময়ে। উৎসবে ভক্তদের জল থেকে দূরে রাখতে পুলিশ থাকছে পর্যাপ্ত।’’

আরও পড়ুন : ডাবের জল নাকি লেবুর শরবত? কোনটা বেশি উপকারী? গরমে সুস্থ থাকতে কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন? জানুন

বর্তমান সময়ের রাজ আমল অতীত। রাজ আমলের সমস্ত দায়ভার বা দায়িত্ব পালন করে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। তবে রাজ আমলের রীতি ও প্রথা কোনো অংশে ক্ষুণ্ণ হতে দেয়নি এই বোর্ডের কর্মকর্তারা। বর্তমান সময়েও একই রকম জাঁকজমকের সঙ্গে এই বিশেষ রীতির পালন করা হয়। মদনমোহন দেবের নৌকাবিহার করার সময় তাঁর সঙ্গে নৌকায় থাকেন মন্দিরে পুরোহিত। এছাড়া বাকি বিগ্রহ দিঘির পাড়ে রাখা থাকে সুসজ্জিত ভাবে।”